শেষ সালাত বিতর,Inside the last prayer


শেষ সালাত বিতর
১)     ‘বিতির’ শব্দের  অর্থ  ও  উদ্দেশ্য 
        ‘বিতর’ শব্দের অর্থ বিজোড়। মূলতঃ এই শব্দের অর্থের সাথে, এই সালাতের লক্ষ্য বুঝা যায় রাতের সালাতকে বিজোড় করার জন্য বিতর পড়ানো হয়।বিতরকে মহান আল্লাহ পছন্দ করেনকারন মহান আল্লাহ বিতর।
এক যোগ না করলে, কোন সালাতই “বিজোড়” হয় না। বিতর বা বিজোড় সংখ্যা অনেকগুলো।যার মধ্যে তিন সংখ্যায়ও বিজোড় আছে। কিন্তু মহানআল্রাহ ১ সংখ্যায় বিজোড় বলে, বিতর ১ সংখ্যা বিজোড় অনুসারে পড়তে হয়যেমন৩ , কিন্তু শুধু ৩ সংখ্যাটিই যে, এক সংখ্যার বিজোড় তা নয়। বরং ১,৩,৫,৭,৯ এই পাচটি সংখ্যাই , একমাত্র  ১ সংখ্যার বিজোড়। কাজেই এই সংখ্যাগুলোর যে কোন একটি অনুসারে বিতর পড়া যেতে পারে
        কিন্তু মহান আল্লাহ ১  সংখ্যায় বিজোড় ও একজনই। ৩ ,৫ , ৭ বা ৯ জন নন। সুতরাং ১ রাকাত ‘বিতর’ উত্তম। কিন্তু  অনান্য সংখ্যার বিতর পড়া হাদিস থেকে প্রমানিত।  
২)   বিতির সালাত  সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, ওয়াজিব নয়  
বিতর’  সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।   (ফিকহুস সুন্নাহ ১/১৪৩,নাসাঈ-১৬৭৬,মিরআত-২/২০৭- ৪/২৭৩-৭৪ , শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-২/১৭ , আবু দাউদ–    
তথ্যঃ   বুখারী/তাওহীদ পাবলিকেশন্স, মুসলিম/  ,  আবু দাউদ, যাদুল মা’আদ/ হাফিয ইবনুল ক্বইয়্যিম আল-জাওযী (রহঃ) ,
বিতির পড়তে হয় এশার ফরয সালাতের পর থেকে ফজর পর্যন্ত, এবং সুন্নাত ও নফল সালাতগুলোর শেষে( ফিকহুস সুন্নাহ-১/১৪৪,সহীহ- আত-তারগীব—৫৯২-৯৩)বিতর ফরজ বা ওয়াজিব সালাতের মত বাধ্যতামূলক নয়। বরং তা সুন্নত, যেটা প্রবর্তন করেছেন, রসূলুল্লাহ (সঃ)
#       আলী(রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, “বিতরের সালাত ফরয সালাতের ন্যায় অপরিহার্য নয়। কিন্তু নবী(রাঃ) এটাকে প্রচলিত করেছেন (অর্থাৎ এটি সুন্নত)। তিনি বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ বিতর (বিজোড়)। সেহেতু তিনি বিজোড় ভালবাসেন। অতএব হে কুরআনের ধারক-বাহকগন! তোমরা বিতর পড়  আবু দাউদ-১৪১৬,তিরমিযী-৪৫৩, নাসায়ী-১৬৭৫,ইবনু মাজাহ- ১১৬৯,  তিরমিযী-৪৫৩, নাসাঈ- ১৬৫৮, মুসান্নাম ইবনু আবী শাইবাহ-২/২৯৬, মুসান্নাফ ইবনু আব্দুর রাজ্জাক-৩/৩,-৪৫৬৯ ,সহীহ নাসাঈ- ১/৩৬৮
#       আল কানাবী(র)…….. আবু মুহাম্মাদ(র) হতে বর্নিত হতে বর্নিত। তিনি বলেন, বিতিরের নামায ওয়াজিব।রাবী মাখদাযী বলেন, তখন উবাদাহ ইবনুস সামিত(র)-এর নিকট  উপস্থিত হয়ে বলি, আবু মুহাম্মাদ(র) এরুপ বর্ননা করেছেন। তিনি বলেন, আবু মুহাম্মাদ(র) ভুল করেছেন।  আমি রাসুলুল্লাহ(সঃ) কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ তার বান্দাদের উপর ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যাক্তি তা সঠিক ভাবে আদায় করবে ও অলসতা হেতু কিছুই পরিত্যাগ করবেনা, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবার অংগীকার করেছেন। আর যে ব্যাক্তি তা সঠিক ভাবে আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর অংগীকার নাই।তিনি ইচ্ছা করলে তাকে,শাস্তি  প্রদান করবেন এবং ইচ্ছা করলে জান্নাতেও দিতে পারেন।         আবু দাউদ-১৪২০,নাসাঈ,ইবনে মাজা    
#     রাসুল বলেন(সঃ), “বিতর  রাত্রির শেষে, এক রাকাত মাত্র।  মুসলিম-মিশকাত-১২৫৫
#    তালহা ইব্‌ন উবাইদুল্লাহর হাদিস, তিনি বলেন: নজদ থেকে এক ব্যক্তি বিক্ষিপ্ত কেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত হল, আমরা তার আওয়াজের গুঞ্জন শুনতে ছিলাম, কিন্তু সে কি বলছে বুঝতে ছিলাম না, অবশেষে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করে, বলে: হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে বলুন আল্লাহ আমার ওপর কোন কোন সালাত ফরয করেছেন? তিনি বললেন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, তবে তুমি যদি নফল পড়তে চাওসে বলল: আমাকে বলুন আমার ওপর আল্লাহ কোন কোন সিয়াম ফরয করেছেন? তিনি বললেন: রমযান মাসের সিয়াম, তবে তুমি যদি নফল পড়তে চাওসে বলল: আমাকে বলুন আমার ওপর আল্লাহ কি পরিমাণ যাকাত ফরয করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাকাতের কথা বললেন। সে বলল: এ ছাড়া আর কিছু আছে? তিনি বললেন: না, তবে তুমি যদি নফল আদায় করতে চাও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শরীয়তের নিদর্শন ও মৌলিক বিধানগুলো বললেন। তালহা বলেন: লোকটি চলে গেল, যাওয়ার সময় বলতে ছিল: তার কসম, যে আপনাকে সম্মানিত করেছে, আমি কোন নফল আদায় করব না, আল্লাহ আমার ওপর যা ফরয করেছেন তার থেকে কমও করব নারাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: লোকটি সফল হল, যদি সত্য বলে থাকে, অথবা জান্নাতে প্রবেশ করল, যদি সত্য বলে থাকে
#      ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায ইব্‌ন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে প্রেরণ করেন, তাকে উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন: “… তুমি তাদের জানাবে যে, আল্লাহ তাদের ওপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন…
৩)      ওয়াজিবের দলিল
৪)     ‘বিতিরে’র পড়ার সময় 
#     আবদুল্লাহ বিন উমার(রাঃ)  হতে বর্নিত, তিনি বলেন ,”রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন, বিতর হল এক রাকাত, রাতের শেষাংশে”।
#     মুহাম্মাদ  ইবনে আহমদ(র)……..   কাতাদা থেকে বর্নিতঃ তিনি বলেনঃ-  রাসুল(সঃ) হযরত আবুবকর(রাঃ)কে ডেকে বলেন, আপনি কখন বিতর পড়েন ? তিনি বলেন রাত্রির প্রথম আংশে। অতঃপর ওমরকে(রঃ) জিজ্ঞসা করেন, আপনি কখন বিতর আদায় করেন ? তিনি বলেন রাত্রির শেষ অংশে । আবু বকরকে(রাঃ)  বলেন,  আপনি সতর্কতার সাথে আমল করতে থাকুন আর  ওমর(রাঃ)কে বলেন, আপনি সাধ্যনুযায়ী আমল করতে থাকুন।      আবু দাউদ-১৪৩৪ 
বিতর সালাত এশার সালাতের পর থেকে ফজরের সালাতের ওয়াক্তের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত পড়া যায়।এটা দিন,প্রথম রাত ও শেষ রাতের শেষ সালাত।এটা সমস্ত বছর ‘তাহাজ্জুদ’ নামাজ ও রমজানে ‘তারাবীর পরে হিসাবে পড়তে হয়।  তারপর শুরু হয় ফজর সালাত।রমজানে  “কিয়ামুল লাইলের” সাথে যোগ হয়, ‘তারাবী’র সালাত। আর ‘কিয়ামুল লাইলের’ কোন সালাতই ওয়াজিব নয়, সুন্নত  কিংবা নফলকেউ রাতে বিতর পড়তে ভুলে কিংবা বিশেষ কোন কারনে পড়তে না পারলে, সকালে বিতর পড়ে নিবে(তিরমিযী, আবু দাউদ,ইবনে মাজা, মিশকাত-১২৬৮-১২৭৯, নায়ল-৩/২৯৪,৩১৭-১৯,মির আত-৪/২৭৯
৫)      বিতির  সর্বোচ্চ কত রাকাত ও  কত বার পড়া যায় ?
বিতর সর্বোচ্চ ০৯ রাকাত। বিতর এশার সালাতের পর থেকে ফজর সালাতের, পূর্ব পর্যন্ত ১ বার পড়া যাবে।
#     হযরত কায়েস ইবনে তুলক(রা:) বলেন, ‘রমযান মাসে আমার পিতা তুলক ইবনে আলী(রা:) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। তিনি আমাদের সাথে রাতে থাকেন। তিনি ঐ রাতে আমাদের নিয়ে তারাবীর নামায ও বিতরের নামায পড়েনতারপর তিনি এক মসজিদে যেয়ে তার সাথীদের সাথে নামায পড়েন। শেষে বিতরের নামায বাকী থাকলো। তিনি এক ব্যাক্তিকে সামনে ঠেলে দিয়ে বলেন,তুমি তাদেরকে নিয়ে বিতিরের নামায পড়ো।নিশ্চয় আমি রাসুল্লাহকে(রা:) বলতে শুনেছি, এক রাতে ২ বার বিতিরের নামায পড়তে নাই নাসায়ী-১৬৮০
৬)      বিভিন্ন ধরনের বিতর পড়ার নিয়ম ও হাদিস
বিতর ৩ ভাবে পড়া যায়ঃ-
ক)    ১ রাকাত বিতরঃ
নিয়ত(মনে বিতর ও মুখে ‘আল্লাহু আকবর’) বিতরের। ১ রাকাত পড়া হচ্ছে, দিন,প্রথম রাত ও শেষ রাতের শেষে,  মহান আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষী দেয়া। 
খ)    ৩ ও ৫ রাকাত বিতরঃ
সরাসরি ৩/৫ রাকাত পড়া, কোন  বৈঠক/সালাম ফিরানো  ছাড়া। উভয় ক্ষেত্রেই  শেষ রাকাতে দোয়া কুনুত পড়া।                  অথবা
(২+১)  কিংবা  (২+২+১) করে ২ রাকাতগুলোতে  নফল/বিতরের  নিয়ত করা ও ১ রাকাতগুলোতে  বিতরের নিয়ত করা। ১ রাকাত বিতর ২ রাকাত নফলগুলোতে  বিতর বা বিজোড়ে  পরিনত করবে।  এই  পদ্ধতির হাদিসগুলো  সবচেয়ে শক্তিশালী ও রাবী/সনদ সবচেয়ে বেশী বিশ্বাসযোগ্য।পড়তে ও হিসাবে সুবিধা, যখন কেউ বেশী সংখ্যক বিতর পড়বে।
গ)     ৭ ও ৯ রাকাত  বিতরঃ
বিতরের নিয়ত করে, ৬ রাকাত পড়ার পর বৈঠক করা ও পরের রাকাতে সালাত শেষ করা।একই ভাবে  ৮ রাকাতে বৈঠক করে ৯ রাকাতে সালাত শেষ করা।      অথবা  
  (২+২+২+১) এবং  (২+২+২+২+২+১)  করে  খ-এর নিয়মে পড়া।

   উম্মে সালমা(রা:) থেকে বর্নিত,’ রাসুলুল্লাহ(স:) ৭ কিংবা ৫ রাকাত বিতরের নামায পড়তেন এবং মাঝখানে সালামও ফিরাতেন না এবং কোন কথাও বলতেন না    ইবনে মাজাহ- ১১৯২
#     দুই রাকাত দুই রাকাত করে ০৮ রাকাত সালাত পড়তেন।অতঃপর মাঝখানে না বসে, এক সালামে ৫ রাকাত বিতর পড়তেন।    বুখারী,মুসলিম
#    হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্নিত, “একত্রে ০৯ রাকাত পড়তেন। ক্রমাগত ০৮ রাকাত পড়ে, ৮ম রাকাতে বসতেন এবং সেই বসায় আল্লাহর জিকির ও হামদ করতেন এবং দুয়া করতেন।তারপর দাড়িয়ে নবম রাকাত(বিতর) পড়ে সালাম ফিরাতেন”।
 মুসলিমমিশকাত-১২৫৭,বায়হাকী-৩/৩০,মিরআত-৪/২৬৪-৬৫
#      তিনি বিতরের নামায যখন ৩ রাকাত পড়তেন, তখন প্রথমে ২ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিতেন।তারপর ১ রাকাত পড়ে ,সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করতেন।
#     হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্নিত, তিনি বিতরের ২ রাকাত এবং ১ রাকাতের মধ্যে (সালাম ফিরিয়ে) পৃথক করে নিতেন এবং তিনি বলেছেন, নবী(স:) এই রকমই করতেন।        ইবনে হিব্বান-২৪৩০
৭)          সালাতে না বসার উদাহরন
 তিনি বিতরের নামাজ যখন ৩ রাকাত পড়তেন, তখন দুই রাকাত পড়ে বসতেন না কিংবা তাশাহহুদও পড়তেন না। বরং একসাথে ৩ রাকাত শেষেই বসতেন।হযরত আয়েশা(রা:) থেকে বর্নিত, ‘নবী(স:) ৩ রাকাত বিতর পড়তেন, যার শেষ রাকাত ছাড়া তিনি কোথাও বসতেন না      বায়হাকী,হাকেম
  হযরত আয়েশা(রা:) থেকে বর্নিত,’রাসুলুল্লাহ(স:) রাতের বেলা তের রাকাত নামায পড়তেন। এর মধ্যে ৫ রাকাত পড়তেন বিতর এবং তাতে একবারে শেষে ছাড়া আর কোন বৈঠক করতেন না     মুসলিম- ১৫৯৭, নাসায়ী-১৭১৮
  রাসুলুল্লাহ(স:) বলতেন,’তোমরা বিতরের ৩ রাকাত নামাজকে, মাগরিবের নামাযের সদৃশ করো না
#     হযরত আবু হুরায়রা(রা:) থেকে বর্নিত,’ রাসুলুল্লাহ(স:) বলতেন,’তোমরা মাগরিবের মত করে  ৩ রাকাত বিতরের নামায পড়ো না। বরং ৫ রাকাত, ৭ রাকাত, ৯ রাকাত কিংবা ১১ রাকাত দ্বারা বিতর পড়ো      ত্বাহাবী,দারু কুত্বনী,ইবনে হিব্বান,হাকেম       
#     নবী রাসুলুল্লাহ (স:) বিতরের নামায ৯,  ১১ কিংবা ১৩ রাকাত পড়তেন।তবে এ সব বর্ননায় সাধারনত: রাতের নফল নামায পড়ার সময় ৮ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর, ১০ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর কিংবা ১২ রাকাতের শেষে ১ রাকাত বিতর পড়তেন।
#    রাসুলুল্লাহ(স:) রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তেন।তারপর ১ রাকাত বিতির পড়তেন। এরপর বসে বসে ২ রাকাত (শাফিউল বিতরের) নামায পড়তেন   আহমদ,মুসলিম-১৬০১
#      হযরত কায়েস ইবনে তুলক(রা:) বলেন, ‘রমযান মাসে আমার পিতা তুলক ইবনে আলী(রা:) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। তিনি আমাদের সাথে রাতে থাকেন। তিনি ঐ রাতে আমাদের নিয়ে তারাবীর নামায ও বিতরের নামায পড়েন
৮।        হাদীস ও ১ রাকাত বিতির
#     আবদুল্লাহ বিন উমার(রাঃ)  হতে বর্নিত, তিনি বলেন ,”রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন, বিতর হল এক রাকাত, রাতের শেষাংশে”।
#    হযরত আবু আইয়ুব থেকে বর্নিত, ‘নবী(সঃ) বলেছেন, বিতরের নামায আবশ্যকীয়।যে ব্যাক্তি ৫ রাকাত পড়তে চায় সে ৫ রাকাত পড়বে, যে ৩ রাকাত পড়তে চায় ৩ রাকাত পড়বে এবং যে ১ রাকাত পড়তে চায় ১ রাকাত পড়বে।বুখারী- ১৩৫,১৫৩  মুসলিম-২৫৩-২৫৬     –  ইবনে মাজাহ-১১৯০,নাসায়ী-২৪৬,২৪৭ ,১৭১২,   আবু দাউদ-১৪১২,২০১ পৃষ্ঠা   তিরমিযী-প্রথম খন্ড- ১০৬ পৃষ্ঠা,  মিশকাত- ১১১,১১২,  বুখারী- ইসলামিক ফাউন্ডেশন-১ম খন্ড-হাদীস নং- ৯৩২,৯৩৪,৯৩৬    বুখারী আজিজুল হক- ৫৪০,   বুখারী আধুনিক প্রকাশনী- ১ম খন্ড হাদীস নং- ৯৩২,৯৩৪,৯৩৬  মিশকাত – নূর মোহাম্মাদ আযমী- ৩য় খন্ডো মাদরাসা পাঠ্য – ২য় খন্ড- ১১৮৫, ১১৮৬,১১৯৬    
#   ইবনু উমার থেকে বর্নিত, “এক ব্যাক্তি নবী(সঃ) এর নিকট রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞসা করল। আল্লাহর রাসুল(সঃ) বলেন, রাতের সালাত দুই দুই রাকাত করে।আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ফজর হবার আশংকা করে, সে যেন ১ রাকাত সালাত আদায় করে নেয়। আর সে যে সালাত আদায় করলো, তা তার জন্য ‘বিতর’ হয়ে যাবে”।
#    নবী(স:) রাতের তাহাজ্জুদের নামায দুই দুই রাকাত করে আদায় করতেন এবং ১ রাকাত বিতর পড়তেন।    বুখারী –  ৯৩৪, ৯৩৬
#      হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইর(রা) থেকে বর্নিত (নবী উনার মাথায় হাত বুলায়ে দিয়েছিলেন), ‘তিনি সাদ বিন আবিওয়াক্কাসকে বিতরের নামায ১ রাকাত পড়তে দেখেছেন            বুখারী-৬৯১০,৯৩২,৯৩৫
#        হযরত আয়েশা থেকে বর্নিত, ‘রাসুলুল্লাহ রাতে ১১ রাকাত নামায পড়তেন।তার মধ্যে ১ রাকাত বিতর পড়তেন। নামায শেষ করে তিনি ডান পাশে ফিরে শুতেন।অত:পর  ভোরে আজান হলে, তিনি উঠে, সংক্ষিপ্ত ২ রাকাত(ফজরের সুন্নাত) নামায পড়তেন
মুসলিম ১৫৯৪,১৫৯৫,১৬০৪,১৬২৫,১৬২৬,১৬২৭,১৬২৮,১৬৩৪-১৬৪০
#        হযরত ইবনে উমর বলেন, ‘নবী বলেছেন, রাতের নামায(নফল) পড়বে ২ রাকাত করে।আর বিতরের নামায হলো ১ রাকাত।     নাসা্য়ী- ১৬৯৪,১৬৬৮-১৬৭৫,১৬৯০-৯৩,১৬৯৫-৯৭
#       হযরত আয়েশা(রাঃ) থেকে বর্নিত,উবাই ইবনু কাব(রাঃ) বলেন,রসুলুল্লাহ(স:)  (রাতে নামাযে) প্রতি ২ রাকাতে সালাম ফিরাতেন এবং বিতর নামায ১ রাকাত পড়তেন  ইবনে মাজাহ-১১৭৪- ১১৭৭
#    ‘রসুল(স:) ১ রাকাত বিতর নামায পড়তেন    তিরমিজীতে- ৪৩৩  (বুখারী ও মুসলিমের উদ্ধৃতি)
#    বিতরের  সালাত  ১ রাকাত     আবু দাউদ ১৪২১(মুসলিম ও নাসায়ীর উদ্ধৃতি)
#    হযরত ইবনে আব্বাস(রা:) বলেছেন, ‘রসুলুল্লাহ রাতের বেলায় ৮ রাকাত(তাহাজ্জুদ) নামায পড়তেন। ৩ রাকাত বিতরের নামায পড়তেন ও ফজর নামাযের আগে ২ রাকাত(সুন্নাত) নামায পড়তেন।    নাসায়ী -১৬৯৮,১৭০০-১৭০৬,১৭০৮
#   আবু আইয়ুব(রা:) থেকে বর্নিত, নবী(স:) বলেছেন, কিতরের নামায আবশ্যকীয়। অতএব যা ইচ্ছা সে ৭ রাকাত, ৫ রাকাত, ৩ রাকাত কিংবা ১ রাকাত পড়ুক   নাসায়ী- ১৭১১
৯।       সাহাবীদের ১ রাকাত বিতির পড়া 
#    চার খলিফাসহ অধিকাংশ সাহাবী, তাবেঈ ও মুজতাহিদগন ১ রাকাত বিতরে অভ্যস্ত ছিলেন।
        নায়লুল আওতার-৩/২৯৬, মিরআত-৪/২৫৯
#     হযরত ওসমান(রাঃ)  এক রাত্রে এক রাকাত দিয়ে বিতর পড়েছেন। সাদ(রাঃ) ও মুয়াবিয়া(রাঃ) ১ রাকাত দ্বারা বিতর পড়েছেন। (ফাতহুল বারী)
#    আবু  তালিব(রাঃ) বলেন, আমি  আবু আবদুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি কোন হাদিসকে অগ্রাধিকার দেন। তিনি বলেন, মাঝখানে না বসেম একাধারে  ৫,৭,৯ রাকাত বিতর ঠিক আছে। তবে ১ রাকাত দিয়ে বিতর পড়ার হাদিসগুলো  বেশী শক্তিশালী।আমি সেটাই করি।
যাদুল মা’আদ–  হাফিজ ইবনুল কাইয়ুম আল যাওযী(র) 
১০।        ৩ রাকাত বিতর ও মাগরিবের সালাত  
#        আবু হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্নিত,” রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, তোমরা মাগরিবের ছালাতের ন্যায় (মাঝখানে বৈঠক করে) বিতর আদায় করো না   দারা কুৎনী-১৬৩৪-৩৫, আবু হাতিম, ইবনু হিব্বান
#       ৩  রাকাত বিতর  একটানা ও এক  সালামে  আদায় করাই উত্তম
           মিরাত-৪/২৭৪ ,  হাকেম-  ১/৩০৪  পৃষ্ঠা
১১।       ‘বিতরে’র  দোয়া-কু’নুত  রুকুর  আগে/পরে
‘কুনু’ত অর্থ বিনম্র আনুগত্য।  দোয়া কু’নুত ২ প্রকারঃ-   কুনুতে রাতেলা ও  কুনুতে নাযেলা।
#      কুনুতে  রাতেলাঃ    
ক)     এটি বিতরে সালাতে পড়তে হয়।এটি সারা বছর পড়া চলে(প্রাগুক্ত,মিশকাত-১২৭৩,মির আত-৪/২৮৩,ফিকহুস সুন্নাহ-১/১৪৬)
খ)     তবে মাঝে মাঝে ছেড়ে দেয়া ভাল। কারন এটি বিতরের জন্য ওয়াজিব না(আবু দাউদ,নাসাঈ,তিরমিযী,মিশকাত-১২৯১-৯২-অনু-৩৬,মিরআত-৪/৩০৮)
গ)       দোয়া কু’নুত রুকুর আগে/পরে দু’ভাবেই পড়া জায়েজ আছে।(মুত্তাফাক আলাইহেমিশকাত-১২৮৯,ইবনু মাজা-১১৮৩-৮৪,মিশকাত-১২৯৪,মির আত-৪/২৮৬-৮৭,ফিকহুস সুন্নাহ-১/১৪৭,আলবানী- কিয়ামু রমজান-পৃষ্ঠা-২৩।
ঘ)      আবু  হুরায়রা(রাঃ) বলেন,”রাসুলুল্লাহ(সঃ) যখন কারো পক্ষে/বিপক্ষে দোয়া করতেন, তখস রুকুর পরে  কুনুত পড়তেন” (মুত্তাফাক আলাইহে-মিশকাত- ১২৮৮)কু’নুত শেষে ৩ বার ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দুস’ বলতে হবে।  নাসাঈ- ১৬৯৯ সনদ সহী
ঙ)     আমাদের দেশে কু’নুত পড়ার জন্য রুকুর আগে, ‘তাকবীরে তাহরীমার’ মত দুই হাত তুলে আবার বাধার কোন বিশুদ্ধ দলিল নাই।     ইরওয়াউল গালীল-২৪৭,মিরআত-৪/২৯৯, অনু কুনুত-৩৬
চ)         “আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস্তানুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা” বলে, বিতরে যে কু’নুত পড়ানো হয়, সেটা মুরসাল বা যঈফ।  মারাসীলে আবু দাউদ-৮৯,বায়হাকী-২/২১০, মিরকাত-৩/১৭৩-৭৪,মিরআত-৪/২৮৫আবার এটা কুনুতে নায়েলা হিসাবে বর্নিত হয়েছে, রাতেবাহ হিসাবে নয়(ইরওয়া-৪২৮-শেষে-২/১৭২ পৃষ্ঠা)“কুনুতে নাযেলাহ” থেকে মধ্যম অংশটুকু “ইন্না নাস্তানুকা” নিয়ে সেটাকে কুনুতে বিতর হিসাবে চালু করা হয়েছে,যেটা ভুল। আলবানী বলেন, এই দুয়াটি ওমর(রাঃ) ফজরের সালাতে “কুনুতে নাযেলাহ” হিসাবে পড়তেন। ইরওয়াউল গালীল  
বিতরের জন্য সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছেঃ
“উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমান হাদায়তা, ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফায়তা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়া বা-রিক্লী ফীমা ‘আ’ত্বায়তা, ওয়া ক্বিনী শার্রা মা ক্বাযায়তা; ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়া লা ইয়ুক্বযা ‘আলায়কা, ইন্নাহূ লা ইয়াযিল্লু মাঁও ওয়া-লায়তা, ওয়া লা ইয়াইয্ঝু মান্ ‘আ-দায়তা, তাবা-রক্তা রববানা ওয়া তা’আ-লায়তা, ওয়া ছাল্লাল্লা-হু ‘আলান্ নাবী
অনুবাদ : হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে সুপথ দেখিয়েছ, আমাকে তাদের মধ্যে গণ্য করে সুপথ দেখাও। যাদেরকে তুমি মাফ করেছ, আমাকে তাদের মধ্যে গণ্য করে মাফ করে দাও। তুমি যাদের অভিভাবক হয়েছ, তাদের মধ্যে গণ্য করে আমার অভিভাবক হয়ে যাও। তুমি আমাকে যা দান করেছ, তাতে বরকত দাও। তুমি যে ফায়ছালা করে রেখেছ, তার অনিষ্ট হতে আমাকে বাঁচাও। কেননা তুমি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাক, তোমার বিরুদ্ধে কেউ সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তুমি যার সাথে বন্ধুত্ব রাখ, সে কোনদিন অপমানিত হয় না। আর তুমি যার সাথে দুশমনী কর, সে কোনদিন সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি বরকতময় ও সর্বোচ্চ। আল্লাহ তাঁর নবীর উপরে রহমত বর্ষণ করুন”  সুনানু আরবা’আহ, দারেমী, মিশকাত হা/১২৭৩ ‘বিতর অনুচ্ছেদ-৩৫; ইরওয়া হা/৪২৯, ২/১৭২। উল্লেখ্য যে, কুনূতে বর্ণিত উপরোক্ত দোআর শেষে ‘দরূদ অংশটি আলবানী ‘যঈফ বলেছেন। তবে ইবনু মাসঊদ, আবু মূসা, ইবনু আববাস, বারা, আনাস প্রমুখ ছাহাবী থেকে বিতরের কুনূত শেষে রাসূলের উপর দরূদ পাঠ করা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি তা পাঠ করা জায়েয হওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন -ইরওয়া ২/১৭৭, তামামুল মিন্নাহ ২৪৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ এটি রাসুলুল্লাহ(সঃ) হযরত হাসান(রাঃ)-কে শিখায়েছিলেন ও ইমাম তিরমিযী কুনুতের জন্য এটাকে শ্রেষ্ঠ দোয়া হিসাবে বলেছেন।
           তবে দো’আয়ে কুনূতের শেষে ইস্তেগফার সহ যেকোন দোয়া পড়া যায়কেননা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) কুনূতে কখনো একটি নির্দিষ্ট দোয়া পড়তেন না, বরং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দোয়া পড়েছেন (দ্রঃ আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ আবুদাঊদ, তিরমিযী প্রভৃতি, মিশকাত হা/১২৭৬; মাজমূ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ২৩/১১০-১১; মিরআত ৪/২৮৫; লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ১৮০৬৯; মাজমূ ফাতাওয়া উছায়মীন, ফৎওয়া নং ৭৭৮-৭৯)তাছাড়া যেকোন দোয়ার শুরুতে হাম্দ ও দরূদ পাঠের বিষয়ে ছহীহ হাদীছে বিশেষ নির্দেশ রয়েছে (আহমাদ, আবুদাঊদ হা/১৪৮১; ছিফাত পৃঃ ১৬২)অতএব আমরা ‘ইস্তেগফার সহ যেকোন দোয়া ও ‘দরূদকুনূতের শেষে পড়তে পারি।
#      কুনুতে  নাযেলাঃ    বিপদসহ বিশেষ কোন জরুরী কাজে পড়া হয়।
   উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লানা ওয়া লিল মুমিনীনা ওয়াল মুমিনা-তি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমা-তি, ওয়া আল্লিফ বায়না কুলূবিহিম, ওয়া আছলিহ যা-তা বায়নিহিম, ওয়ান্ছুরহুম ‘আলা ‘আদুউবিকা ওয়া ‘আদুউবিহিম। আল্লা-হুম্মালআনিল কাফারাতাল্লাযীনা ইয়াছুদ্দূনা ‘আন সাবীলিকা ওয়া ইয়ুকায্যিবূনা রুসুলাকা ওয়া ইয়ুক্বা-তিলূনা আউলিয়া-আকা। আল্লা-হুম্মা খা-লিফ বায়না কালিমাতিহিম ওয়া ঝালঝিল আক্বদা-মাহুম ওয়া আনঝিল বিহিম বাসাকাল্লাযী লা তারুদ্দুহূ ‘আনিল ক্বাউমিল মুজরিমীন।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এবং সকল মুমিন-মুসলিম নর-নারীকে ক্ষমা করুন। আপনি তাদের অন্তর সমূহে মহববত পয়দা করে দিন ও তাদের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসা করে দিন। আপনি তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! আপনি কাফেরদের উপরে লানত করুন। যারা আপনার রাস্তা বন্ধ করে, আপনার প্রেরিত রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে ও আপনার বন্ধুদের সাথে লড়াই করে। হে আল্লাহ! আপনি তাদের দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে দিন ও তাদের পদসমূহ টলিয়ে দিন এবং আপনি তাদের মধ্যে আপনার প্রতিশোধকে নামিয়ে দিন, যা পাপাচারী সম্প্রদায় থেকে আপনি ফিরিয়ে নেন নাবায়হাকী-২/২১০-১১
আসিম হতে বর্নিত, “তিনি বলেন,আমি আনাস ইবনু মালিক(রাঃ)-কে কুনুত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, কুনুত অবশ্যই পড়া হত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম,রুকুর পূর্বে না পরে ? তিনি বলেন, রুকুর পূর্বে।আসিম(রহ) বললেন,’ অমুক ব্যাক্তি আমাকে আপনার বরাত দিয়ে বলেছেন যে, আপনি বলেছেন,রুকুর পরে। তখন আনাস(রাঃ) বলেন সে ভুল বলেছে। রাসুলুল্লাহ(সঃ)  রুকুর পরে ১ মাস ব্যাপী কুনুত পড়েছেন। আমার জানা মতে, তিনি ৭০ জন সাহাবীর একটি দল, যাদের ‘কুররা’(অভিজ্ঞ কারী) বলা হোত, মুশরিকদের কোন একটি দলের কাছে পাঠান। এরা সেই কউম নয়,যাদের বিরুদ্ধে আল্রাহর রাসুল(সঃ) বদ্দোয়া করেছিলেন।বরং যাদের সাথে তার চুক্তি  ছিল,(তারা চুক্তি ভংগ করে কারীদের হত্যা করেছিল) তিনি এক মাস ব্যাপী কুনুতে সে সব কাফিরদের অভিসম্পাৎ করেছিলেন     বুখারী-১০০১,আ,প্র-৯৪৩,ই.ফা-৯৪৮     
১২)       অন্য সালাতে দুয়া কু’নুত
#      মুহাম্মাদ ইবনু শিরিন হতে বর্নিত, তিনি বলেন,আনাস ইবনু মালিক(রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ফজরের সলাতে কি নবী(সঃ) কুনুত পড়েছেন ? তিনি বললেন, কিছু সময় রুকুর পরে পড়েছেন।  বুখারী- ১০০২,১০০৩,১৩০০,২৮০১,২৮১৪,৩০৬৪,৩১৭০,৪০৮৮-৪০৯২,৪০৯৪,৪০৯৫,৪০৯৬,৬৩৯৪,৭৩৪১    মুসলিম- ৫/৫৪-হা-৬৭৭ , আহমদ-১৩৬০২ , আ-প্র- ৯৪২,  ই-ফা- ৯৪৭  
#    আনাস ইবনু মালিক(রাঃ)  হতে বর্নিত, তিনি বলেন, মাগরিব ও ফজরের সালাতে দুয়া কু’নুত পড়ানো হত।     বুখারী-৭৯৮, আ.প্র- ৯৪৫,  ই.ফা- ৯৫০
১৩।       ইসলামী ব্যাক্তিত্বের মন্তব্য  ও  বইয়ের উদাহরন
তথ্যঃ   বুখারী/তাওহীদ পাবলিকেশন্স, মুসলিম/  ,  আবু দাউদ/সফট-কপি, যাদুল মা’আদ/ হাফিয ইবনুল কাইয়ুম আল-যাওযী(র) ,আলবানী ,
=====
 #         ইমাম, মাযহাবী ফিৎনা,মুসলিম ঐক্য ও মহান আল্লাহ
১।    মুসলিম ঐক্য
(‘মুসলিম ঐক্য’  এই  আর্টিকলেটি জনাব জাকির নায়েকের “বক্তৃতা সামগ্রী-৫ম খন্ড” থেকে নেয়া হয়েছে ও এখানের প্রয়োজনে  ব্যাপক পরিবর্তন করে, এখানে  দেয়া হয়েছে)  
#      হযরত মুহাম্মাদ(সঃ)
জন্মগ্রহন- ৫৭০/৫৭১ খৃষ্টাব্দের  ২/২২ এপ্রিল।
#     হযরত ওসমান(রাঃ)
মৃত্যু- ৩৫  হিজরী,১৮ই জিলহজ্জ।
*   ইমাম আবু হানিফা(র)
জন্মগ্রহন ৮০ হিজরী(৬৯৯খৃষ্টাব্দ)ও মৃত্যু ১৫০ হিজরী(৭৬৭ খৃষ্টাব্দ)
#     ইমামা মালিক(র)
জন্মগ্রহন- ৯৫ হিজরী(৭১৪ খৃষ্টাব্দ) ও   মৃত্যু-  ১৭৯ হিজরী(৭৯৮ খৃষ্টাব্দ)
#      ইমামা  শাফেয়ী(র)
জন্ম- ১৫০ হিজরী(৭৬৭ খৃষ্টাব্দ)) ও  মৃত্যু- ২৪০ হিজরী(৮৫৪ খৃষ্টাব্দ)
#    ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র)
জন্ম- ১৬৪ হিজরী(৭৮০ খৃষ্টাব্দ)
#     ইমাম বুখারী(রহ)
জন্ম- ১৯৪ হিজরীর ১৩ শাওয়াল, জুমুয়ার পরে  ও মৃত্যু ২৫৬ হিজরী, গ্রাম-খারতাংগ,১লা শা য়াল,ঈদুল ফিৎর, বয়স-৬২হাদীস সংকলনের পূর্বে তিনি গোসল করতেন ও ২ রাকাত সালাত পড়তেন। ৬ লক্ষ হাদীস থেকে ১৬ বছর যাচাই করে তিনি ৪০০০ হাজার হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।   
#     ইমাম  মুসলিম(রহ)
ইমাম মুসলিম(রহ)  ২০২ হিজরীতে মতান্তরে ২০৬/২০৮ হিজরীতে খোরাসানের নায়সাবুরে জন্মগ্রহন করেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(রহ)  ও ইমাম বুখারী(রহ) উনার শিক্ষক ছিলেন।ইমাম মুসলিম(রহ) ২৬১/৮৭৫ সনে নায়সাবুরে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৬ বছরে ৪ হাজার হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। 
# ইমাম গাজ্জালী(র)
জন্ম- ৪৫০ হিজরী(১০৫৫ খৃষ্টাব্দ)   ও মৃত্যু- ৫০৫ হিজরী(১১১১ খৃষ্টাব্দ)
#   ইমাম ইবনে তাইমিয়া(র)
জন্ম- ৬৬১ হিজরী(১২৬২ খৃষ্টাব্দ) ও মৃত্যু- ৭২৮ হিজরী(১৩২৭ খৃষ্টাব্দ)
#   শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী(র)
জন্ম- ১১১৪ হিজরী(১৭০৩)  ও মৃত্যু (১১৭৬ খৃষ্টাব্দ)
ইমাম আবু হানিফা(র) থেকে ইমাম মালেক(র) ১৫ বছর, ইমামা মালিক(র) থেকে ইমাম শাফেয়ী(র) ৫৩ বছর ও ইমাম শাফেয়ী(র) থেকে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র) ১৩ বছর পরে জন্মগ্রহন করেন। অর্থাৎ  ইমাম আবু হানিফা(র) থেকে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের(রা) জন্মগ্রহনের তফাৎ হচ্ছে  ৮১ বছর।
   যখনই কোন মুসলিমকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভাই আপনি কিভাবে সালাত,জানাযা, ‘আমিন জোরে/আস্তে বলা,সালাতে সুরা ফাতেহা পড়া/না পড়া ইত্যাদি পালন করেন ? উত্তর আসে, আমি/আমরা হানাফি। এভাবে গড়ে উঠেছে হানাফি, মালেকী, হাম্বলী, শাফেয়ী, শিয়া, ওয়াহাবী, আহলে হাদিস, সালাফি ইত্যাদি মুসলিম মতবাদ।এই পরিচয় দিয়ে আপনি মুসলিম মিল্লাতে বিভেদ সৃষ্টি করছেন।যদিও আপনি নিজেকে একনিষ্ঠ মুসলিম মনে করেনএই বিভেদ সৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ হাশরের দিনে, আপনার বিচার করতে পারেন কারন আমি জেনেই এটা করছি ও ফিৎনার প্রবক্তার ভূমিকায় অবতীর্ন হচ্ছি।  সালাত,জানাযা, ‘আমিন জোরে/আস্তে বলা,সালাতে সুরা ফাতেহা পড়া  ইত্যাদিসহ  ধর্মের বিভিন্ন পালন করার সময়, প্রথমে দেখছেন, মাযহাব কি বলে ? কিন্তু তারপরই আপনার দেখা উচিৎ ছিল, সহীহ হাদীস কি বলে ? সেটা আপনি করছেন না।ব্যাপক সংখ্যক বিশেষজ্ঞ বলে, আমরা অমুক মাযহাবের অনুসারী।আর এ জন্যই আপনি দায়ী। এটা কি আশ্চর্য না, আপনি সহীহ হাদীসের অনুসারী না হয়ে, মাযহাবের অনুসারী। যদি মাযহাবের সেই হাদীসটা ভুলও হয় ! খুব অল্প সংখ্যক বিশেষজ্ঞ আছেন, যারা হাদীসের রাবী,সনদ(সহীহ হবার পরও), নিজ মাযহাবকে ঠিক রাখার জন্য মানুষকে সঠিক কথা বলেন না।আবার কিছু ইমাম আছেন, যারা চাকুরী যাবার দুঃশ্চিন্তায়  মাযহাবের ফিৎনায় অংশগ্রহন করেন। আপনি কি সমস্ত মাযহাবের আসল বইগুলো পড়েছেন ? পড়া থাকলে মাযহাব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সুবিধা হবে।     
           আপনার কাছে কি এমন কোন নীতি আছে যেটা দিয়ে এই বিভেদ দূর করা যায় ? সমস্ত মতবাদের মধ্যে যেটা, সহীহ হাদিসকেই অনুসরন করে কিংবা সহীহ হাদীসের সবচেয়ে কাছে, সেটাকেই অনুসরন করলেই, এই বিভেদ দূর করা সম্ভব।  হতে পারে সহীহ-হাদীসকে জানা সবার পক্ষে সম্ভব না। তবে ধর্মের চর্চা বাড়ালেই এই সমস্যা চলে যাবে। এই কারনে মহান আল্লাহ জ্ঞ্যান অর্জন ফরয করে দিয়েছেন। যেসব শিক্ষিতের পক্ষে এটা সম্ভব, তারা এটা বুঝলেই, অন্যরা এটা অনুসরন করবে।
#       “যারা দ্বীন সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়।“      আনআম-১৫৯
#      “মুশরিকদের অন্তভূর্ক্ত হইও না,যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার শরীক  বানায়ে পূজা করে,আর তাদের মত হইও না, যারা দ্বীনে মতভেদ সৃষ্টি করে।বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয় আর প্রত্যেক দল উল্লাস করে যে, তারা সত্যের পথে আছে।  রোম-৩১,৩২
#          “তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর আর কোন রকম মতেদ সৃষ্টি কোর না।   শুরা-১৩,১৪
#          “যদি তোদের মধ্যে মতভেদ থাকে তাহলে, আল্লাহ ও তার রাসুলের কাছে কাছে ফিরে যাওযদি তেমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের  উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক”    নিসা- ৫৯   
      মহান আল্লাহ  আমাকে শেষ  রাসুল(সঃ), কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরন করতে বলেছেন ও মাযহাবী পরিচয় না দিয়ে, ‘মুসলিম’ বলে পরিচয় দিতে বলেছেন।তবে আমাদের সম্মানিত  মাযহাবেরর কাছে যেতে হবে ও আর সঠিকটা গ্রহন করে, ভুলটা বাদ দিতে হবে।তারপরেও সিদ্ধান্ত ভুল হলে হয়তো, মহান আল্লাহ ক্ষমা করবেন। কারন আমরা চেষ্টা করেছি।                      
        সবার আগে রাসুল(সঃ),তারপর ৪ খলিফাসহ “আশারায়ে মুবাশ্বেরা”র  এবং অন্য সাহাবীরা। “বেহেশতের সংবাদপ্রাপ্তদের” মহান আল্লাহ নিজে ঠিক করেছেন। তালহা(রাঃ) ওহুদের যুদ্ধে ৩০ টা তীর নিজের শরীরে নিয়েছিলেন,রাসুল(সঃ)কে রক্ষার জন্য।উনার নাম ছিল “জীবন্ত শহীদ”তারপরও তো তালহাকে(রাঃ) কিংবা ৪ খলিফাকে অন্ধ-ভাবে অনুসরনের কথা বলা হয়নি। একমাত্র নবী(সঃ)  ছাড়া কাউকে অন্ধ-ভাবে অনুসরন করতে মহান আল্লাহ বলেননি।
 আপনি তো একমাত্র রাসুল(সঃ) ছাড়া কাউকে অন্ধ-ভাবে অনুসরন করতে পারেন না। মাযহাব তো দূরের কথা। নবী/রাসুলরা যে সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন, সেটার বিপরীতে ইজমা হতে পারে না।  ইজমা হয় নূতন সমস্যায়।
           আমাদের লক্ষ্য, সমস্ত  সাহাবী ও ইমামদের  থেকে  সঠিক জিনিসটাই গ্রহন করা  ও ভুলটা বাদ দেয়া।কারন নবী/রাসুল ছাড়া কেউই ভুলের উর্ধ্বে না। এজন্য আমাদের অনুসরন করতে  হবে, সহীহ হাদীস।ইমামদের সময়ে সামান্য একটা হাদীস/তথ্য পাবার জন্য  মাইলকে মাইল হাটতে/ঘোড়ায় যেতে হয়েছে। আর এখন জানার জন্য শুধু একটা ফোন যথেষ্ট।আরও আছে পত্রিকা,টিভি,সিনেমা, ইন্টারনেট,বই,ভিডিও ক্যাসেট। চারিদিকে শুধু তথ্য, কারন এটা তথ্য-প্রযু্ক্তির যুগ। সমস্যা হচ্ছে, সঠিক তথ্যের পাশাপাশি ভুল তথ্যও আপনার কাছে আসছে। এর মধ্যে থেকে সঠিকটা বেছে নিতে হবে।মহান আল্লাহ জ্ঞ্যানীদের কাছে যাবার জন্য বলেছেনঃ-
#      “আল্লাহকে মানো এবং তার রাসুলকে(সঃ) মানো এবং যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী এবং জ্ঞ্যানের অধিকারী তাদেরকে।“   নিসা-৫৯
            কারন সম্মানিত ইমামরা বলে গেছেন, “সঠিক হাদিসই আমার মাযহাব। এর চেয়ে ভাল হাদিস পেলে, আমারটা দেয়ালে ছুড়ে মার”হাশরের মাঠে  সম্মানিত ইমামরা আপনার দায়িত্ব নিবেন না/নিতে পারবেনও নাকারন উনাদের বক্তব্য পরিষ্কার। খৃষ্টানদের মতো চিন্তা করার সুযোগ নাই। এরা বলে হযরত ঈশা(আঃ)  খৃষ্টানদের সমস্ত পাপ/ভুলের দায়িত্ব নিয়েছেকাজেই  খৃষ্টানরা যাই করুক না কেন,তাদের কোন সমস্যা নাই।কারন আল্লাহ আর দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে পাঠাবেন না।সব মাযহাব যে পরিশ্রম করেছেন, এটা বিরল দৃষ্টান্ত।মহান আল্লাহ উনাদের ‘জান্নাতুল ফেরদাউস’ দিবেন, এটাই আমাদের দোয়া।মহান আল্লাহ উনাদের শান্তিতে রাখুন।
#       রাসুল(সঃ)  বলছেন, “আমার উম্মত ৭৩ দল হবে। এর থেকে এক দল ছাড়া সবাই দোযখে যাবে”অর্থাৎ রাসুল(সঃ) আপনাকে সতর্ক করছেন।             
#      “শেষ জামানায় বিভিন্ন রকম ফেৎনা/মতবাদ  আসবে। এগুলো  থেকে বেচে, যে সঠিক পথে থাকতে পারবে,  মহান আল্লাহ তাকে ৫০ শহীদের মর্যাদা দিবেন এখানেও রাসুল(সঃ) আপনাকে সতর্ক করছেন।
দ্বীনে বিভেদ সৃষ্টিকারীর সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাসুলকে(সঃ) বলেন,
#       “ফেৎনা হত্যার চেয়েও মারাত্নক”।  বাকারা-১৯১
#      “যারা দ্বীন সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে,তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়”  আনআম- ১৫৯ 
#      “যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে মূলতঃ আল্লাহরই আনুগত্য করে”।   আন-নিসা- ৮০
#       “তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের প্রতি যা কিছু অবতীর্ন হয়েছে,তার অনুসরন কর,তা বাদ দিয়ে তোমাদের নেতাদের অনুসরন কোর না।“    আল-আরাফ-৩
#        “আয়েশা থেকে  বর্নিত, রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি আমার এই দ্বীনে(নিজের পক্ষ থেকে)  কোন নূতন কথা  উদ্ভাবন করলো,-যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যান যোগ্য।      বুখারী,মুসলিম।   
#       “যে  ব্যাক্তি জেনো-শুনে  আমার নামে মিথ্যা হাদীস বর্ননা করে, সে মিথ্যাবাদীদের  একজন”।   মুসলিম
#         রিবঈ ইবনে হিরাস থেকে বর্নিত, তিনি আলীকে এক ভাষনে বলতে শুনেছেন,”রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন,তোমরা আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ কোর না।কেননা যে ব্যাক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে, সে জাহান্নামে যাবে”মুসলিম
          মূলতঃ  হানাফি,সুন্নী,আহলে হাদীস,শাফেয়ী,হাম্বলী,মালেকী,শিয়া, সালাফি,সালাফির বিভিন্ন দল ,আহলে সুন্নাত আল জামায়াত,ওহাবী প্রভৃতি ফিৎনাগুলো এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।প্রতিটা দলই সঠিক পথে আছে বলে দাবী করছে। কিন্তু মহান আল্লাহ বলেন,
মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হইও না।যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শরিক বানিয়ে উপাসনা করে। আর তাদের মতো হইও না, যারা দ্বীনে মতভেদ সৃষ্টি করে, বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয় আর প্রত্যেক দল উল্লাস করে যে, তারা সত্যের পথে আছে“  রোম-৩১,৩২
        এভাবে চিন্তাকে মহান আল্লাহ দ্বীনে বিভেদকারী ও ফিৎনা সৃষ্টিকারী হিসাবে, আখ্যায়িত করছেন। এর সাজা থেকে আমদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।কারন মহান আল্রাহ আমাদের মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিতে বলেছেন।আর আমরা নিজের পরিচয় দিচ্ছি, হাম্বলী,শাফেয়ী হিসাবে।  এই ফিৎনা থেকে বাচার জন্য কুরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া কি আর কোন উপায় কারো কাছে আছে ?
#      “ ইবরাহীম(আঃ) ইহুদী অথবা খৃষ্টান ছিলেন না, তিনি ছিলেন আত্নসমর্পনকারী মুসলিম“   আল-ইমরান-৬৭
#     “তিনি তোমাদের জন্য যে, দ্বীন মনোনীত করেছেন, সে দ্বীন হচ্ছে ইবরাহীমের আর তিনি তোমাদের নাম দিয়েছেন মুসলিম,আগের সকল কিতাবে এবং এই কিতাবেও। সুতরাং নামায আদায় করো এবং যাকাত দাও“  হজ্জ-৭৮
সম্মানিত ইমামগন যতগুলো হাদীস পেয়েছিলেন, পাওয়া হাদীসের ভিত্তিতে ঐ সমস্ত রায়গুলো দিয়েছিলেন।ফলে উনাদের দেয়া বিভিন্ন রকম হয়েছে। উনারা পারস্পরিক যোগাযোগের সুযোগও পান নাই,দূরত্বতো প্রধান সমস্যা আছেই। উনারা জানতেন উনারা অবশ্যই সমস্ত হাদীস পাননি।ফলে রায় কম-বেশী হতে পারে। তাই উনারা বলেন,
#       “সহীহ হাদীসই আমার মাযহাব।যদি তোমরা  সহীহ হাদীস পাও, তাহলে সেটাই আমার মাযহাব।যদি তোমরা একটা সহীহ হাদীসও পাও,তাহলে সেটাই আমার জীবন-দর্শন।“    
#       “যদি আমার কোন ফতওয়া আমার কোন একটা মতামত আল্লাহর কিতাবের বিরুদ্ধে যায় এবং রাসুল(সঃ)এর কথার বিরুদ্ধে যায়,তাহলে আমার সে মতামত বাতিল করে দাও।“
#     “যদি তোমাদের মধ্যে মতভেদ  থাকে, তাহলে আল্লাহ ও তার রাসুলের(সঃ) কাছে ফিরে যাও।যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের  উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক।“    নিসা-৫৯
#      “৭৩ টা দল হবে আর ১টা দল বাদে সবাই দোযখে যাবে।এবং নাযাতপ্রাপ্ত দলে তারাই থাকবে, যারা নবীজি এবং তার সাহাবাগনকে অনুসরন করবে।“
#      “তোমাদের মধ্যে কিছু লোক থাকবে, যারা এমন কিছু জিনিস প্রচার করবে,যেগুলো আমার সুন্নাহ নয়”
#      “একটা সময় আসবে যখন সমাজে অনেক খারাপ কাজ হবে।আর কখনো কেউ যদি মুসলিম উম্মাহর একতা নষ্ট করতে চায়, তাকে তরবারী দিয়ে আঘাত কর।আর তাতেও যদি সে ক্ষান্ত না হয়, তাহলে তাকে মেরে ফেল”।  মুসলিম-৩য় খন্ড- ৪৫৬৫

Post a Comment

0 Comments