Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

ঈদের সলাতে ১২ তাকবীরের পক্ষে ১১৮ টি হাদীস



*وعليكم اسلام ورحمة الله وبركاته*
ঈদের সলাতে ১২ তাকবীরের পক্ষে ১১৮ টি হাদীস
                              সুনান আবূ দাউদ এর হাদিস (৪ টি)
         ১ম হাদীসঃ
কুতায়বা (রহঃ) .........‘আয়িশাহ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সুনান আবূ দাউদ ১ম খণ্ড ১৬৩ পৃষ্ঠা)
২য় হাদীসঃ
ইবনুস্‌ সারহ্‌ ............ ইবনে শিহাব হতে সানাদ সহকারে অনুরূপ অর্থে হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেনঃ দুই রুকুর তাকবীর ব্যতীত।
(সুনান আবূ দাউদ ১ম খণ্ড ১৬৩ পৃষ্ঠা)
৩য় হাদীসঃ
মুসাদ্দাদ (রহঃ)...........আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈদুল ফিতরের সলাতের তাকবীর সংখ্যা প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর। আর কিরাআত পাঠ উভয় রাক’আতেই তাকবীরসমূহের পর।
(সুনান আবূ দাউদ ১ম খণ্ড ১৬৩ পৃষ্ঠা, সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৪ পৃষ্ঠা, কিতাবুল খিলাখ ১ম খণ্ড ১০০ পৃষ্ঠা, সুনান আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ১১৫১)

৪র্থ হাদীসঃ
আবু তাওবা (রহঃ)............আমর ইবনে শু‘আইব (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিতেন। অতঃপর কিরাআত পড়তেন। অতঃপর তাকবীর দিতেন। তারপর দ্বিতীয় রাক’আতের জন্য দাঁড়াতেন। অতপর চার তাকবীর দিতেন। অতঃপর কিরাআত পড়তেন। তারপর রুকুতে যেতেন। ইমাম আবূ দাউদ বলেন, ওয়াকী ও ইবনে মুবারাক (রহঃ) বর্ণনা করে বলেন, সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সুনান আবূ দাউদ ১ম খণ্ড ১৬৩ পৃষ্ঠা)

সুনান তিরমিযী এর হাদিস (৫ টি)

৫ম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দিল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি পিতা হতে এবং তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ কাসীরের দাদার থেকে বর্ণিত হাদীস হাসান এবং এ হাদীস নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ অনুচ্ছেদ অতি উত্তমভাবে বর্ণিত হয়েছে।
(তিরমিযী কুতুবখানা রাশেদিয়া ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা, মাকতাবা আশরাফিয়া দেওবন্দ হিন্দ ১১৯ পৃষ্ঠা, শরহুস সুন্নাহ ৪র্থ খণ্ড ৩০৮ পৃষ্ঠা, ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড ৯১ পৃষ্ঠা, মিশকাত ১২৬ পৃষ্ঠা)

৬ষ্ঠ হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(তিরমিযী ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা)

৭ম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(তিরমিযী ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা)

৮ম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
(তিরমিযী ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা)

৯ম হাদীসঃ
আবূ হুরাইরা (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি অনুরূপ এ সলাতের ন্যায় (১২ তাকবীরে) সলাত পড়েছেন। আর এটা মাদীনাবাসীদের কথা। মালিক বিন আনাস, আহমাদ বিন হাম্বাল এবং ইসহাকও অনুরূপ বলেছেন।
(তিরমিযী ১ম খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠা)

সুনান ইবনে মাজাহ্ এর হাদিস (৪ টি)
১০ম হাদীসঃ
আব্দুর রহমান বিন সায়াদ বিন আম্মার বিন সায়াদ [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়াযযিন] হতে বর্ণিত যে, আমার পিতা আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড ৯১ পৃষ্ঠা, বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৬ পৃষ্ঠা, দারেমী ১ম খণ্ড ৩৭৬ পৃষ্ঠা)

১১তম হাদীসঃ
আমর ইবনে শুআইব হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড ৯১ পৃষ্ঠা)

১২তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আবদিল্লাহ বিন আউফ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড ৯১ পৃষ্ঠা)

১৩তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় দু রুকু তাকবীর ব্যতীত প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড ৯১ পৃষ্ঠা)

মুয়াত্তা মালিক এর হাদীস (১ টি)
১৪তম হাদীসঃ
ইমাম মালিক বর্ণনা করেন আব্দুল্লাহ ইবনে উমারের আযাদকৃত গোলাম নাফে’ হতে, তিনি বলেন, আমি ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিলেন। ইমাম মালিক বলেন, এ বিষয়টি আমাদের নিকট গ্রহণযোগ্য। (মুয়াত্তা মালিক ৬৩ পৃষ্ঠা)

মুয়াত্তা মুহাম্মাদ এর হাদীস (১ টি)
১৫তম হাদীসঃ
ইমাম আবূ হানীফার প্রধান ছাত্র ইমাম মুহাম্মাদ বলেছেনঃ আমাদেরকে ইমাম মালেক সংবাদ দিয়েছেন, তিনি বলেনঃ আমাদেরকে নাফে’ সংবাদ দিয়ে বলেছেনঃ আমি ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন। ইমাম মুহাম্মাদ বলেন, আমার গৃহীত এ হাদীস হাসান এবং আমাদের নিকট অধিক উত্তম।
(মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ১৪১ পৃষ্ঠা, মুয়াত্তা মালেক ৬৩ পৃষ্ঠা, মুয়াত্তা মুহাম্মাদ হাদীস নং ২৩৯)

সহীহ ইবনে খুযাইমাহ্ এর হাদীস (২ টি)

১৬তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ বিন আমর হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈদুল আযহার সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতে দেখেছি। এবং ঈদুল ফিতরের সলাতেও তিনি এরূপ করতেন।
(সহীহ ইবনে খুযাইমাহ ২য় খণ্ড ৩৪৬ পৃষ্ঠা)
১৭তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত; তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সহীহ ইবনে খোযাইমাহ ২য় খণ্ড ৩৪৬ পৃষ্ঠা)
সুনানে দারাকুতনীর হাদীস (১১ টি)

১৮তম হাদীসঃ
মা ‘আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে তাকবীরে তাহরীমা বা শুরুর তাকবীর ব্যতীতই ১২ তাকবীর দিতেন।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮০ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৬ পৃষ্ঠা)

১৯তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮০ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৬ পৃষ্ঠা)

২০তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুহাম্মাদ বিন উসমানের হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেন।
(দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৬ পৃষ্ঠা)

২১তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে দু রুকুর তাকবীর ব্যতীত সাত তাকবীর ও পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সুনানে দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৭ পৃষ্ঠা)

২২তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আম্মার হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৭ পৃষ্ঠা)

২৩তম হাদীসঃ
আমর বিন শুআইব হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদ তথা ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে ১২ তাকবীর দিয়েছেন।
প্রথম রাক’আতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(সুনানে দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)

২৪তম হাদীসঃ
মু’তামার হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আত্ তয়িফীকে সানাদ সহকারে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই ঈদের সলাতে অতিরিক্ত তাকবীর হলো প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর, আর কিরাআত উভয় রাক’আতের তাকবীরসমূহের পর।
ইমাম তিরমিযী তাঁর ইলালুল কাবীরে বলেছেনঃ ইমাম বুখারী বলেছেনঃ তয়িফীর হাদীসও সহীহ।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)

২৫তম হাদীসঃ
আমর বিন শোআইব হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদ তথা ঈদুল ফিতরের দিন সলাতের তাকবীর ব্যতীতই প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী ২য় খণ্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)

২৬তম হাদীসঃ
ইমাম দারকুতনী বলেছেনঃ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন হুসাইন বিন ইসমাঈল। তিনি বলেনঃ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল বুখারী.... কাসীর বিন আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন তাতে অতিরিক্ত আছে-কিরাআতের পূর্বে তাকবীর দিতেন।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, তায়ালীকুল মাগানী ২য় খণ্ড ৪৮ পৃষ্ঠা)

২৭তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই ঈদের সলাতের তাকবীর হলো প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(দারাকুতনী ১ম খণ্ড ১৮১ পৃষ্ঠা, দারাকুতনী তায়ালীকুল মাগানী ২য় খণ্ড ৪৭-৪৮ পৃষ্ঠা। ই’লাউস সুনান ৮ম খণ্ড ১০৭-১১০ পৃষ্ঠা, নাইলুল আওতার ৩য় খণ্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা)

২৮তম হাদীসঃ
তলহাহ্ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মারওয়ান আমাকে ইসতিস্কার সলাতের সুন্নাত নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর নিকট পাঠালেন। ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) বললেন, ঈদের সলাতের সুন্নাত নিয়মেই ইস্তিস্কার সলাতের সুন্নাতী নিয়ম। এটা ব্যতীত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদরকে পরিবর্তন করতেন। ডান দিকের অংশ বাম দিকে এবং বাম দিকের অংশ ডান অংশের উপর করতেন এবং দু রাক’আত সলাত পড়তেন। তাতে প্রথম রাক’আতে তিনি সাত তাকবীর দিয়ে সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা অর্থাৎ সূরা আ‘লা পড়তেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ্ অর্থাৎ সূরা গাশিয়াহ পড়তেন। আর তাতে পাঁচ তাকবীর বলতেন।
(দারাকুতনী ২য় খণ্ড ৪৬ পৃষ্ঠা)

মুসতাদরাক হাকিম এর হাদীস (৭ টি)
২৯তম হাদীসঃ
মা আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে শুরুর তাকবীর ব্যতীতই ১২ তাকবীর দিতেন।
(মুস্তাদরাকে হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩০তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(মুসতাদরাক হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩১তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(মুসতাদরাক হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩২তম হাদীসঃ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
(মুসতাদরাক হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩৩তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিআল্লাহু আনহু) হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
(মুসতাদরাক হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩৪তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(মুসতাদরাকে হাকিম ১ম খণ্ড ২৯৮ পৃষ্ঠা)

৩৫তম হাদীসঃ
তলহাহ্ বিন ইয়াহইয়া হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান আমাকে ইসতিস্কার সলাতের সুন্নাত নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য ইবনে আব্বাসের (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর নিকট পাঠালেন। ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) বললেন। ঈদের সলাতের সুন্নাত নিয়মই ইস্তিস্কার সলাতের সুন্নাতী নিয়ম। এটা ব্যতীত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদরকে পরিবর্তন করতেন। ডান দিকের অংশ বাম দিকে এবং বাম দিকের অংশ ডান অংশের উপর করতেন এবং দু রাক’আত সলাত পড়তেন। তাতে প্রথম রাক’আতে তিনি সাত তাকবীর দিয়ে সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা অর্থাৎ সূরা আ‘লা পড়তেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ্ অর্থাৎ সূরা গাশিয়াহ পড়তেন। আর তাতে পাঁচ তাকবীর বলতেন।
(এ হাদীস সহীহ্ সানাদ সহকারে বর্ণিত কিন্তু ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেননি। মুসতাদরাক হাকিম ১ম খণ্ড ৩২৬ পৃষ্ঠা)

শরহুস্ সুন্নাহ এর হাদীস (২ টি)
৩৬তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আবদিল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(শরহুস সুন্নাহ ৪র্থ খণ্ড ৩০৮ পৃষ্ঠা)

৩৭তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে (উপরোক্ত) এই হাদীস বর্ণনা করেন। (শরহুস্ সুন্নাহ ইমাম বাগাবী ৪র্থ খণ্ড ৩০৮ পৃষ্ঠা)

মাসাইলুল খিলাফ ফিল ফিকহে-এর হাদীস (৪ টি)
(আবূ জা’ফার মুহাম্মাদ বিন হাসান বিন আলী আত্-তূসী)

৩৮তম হাদীসঃ
আমর বিন আউফ হতে হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(কিতাবুল খিলাফ আল ফিকহিয়্যা ১ম খণ্ড ১০০ পৃষ্ঠা)

৩৯তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈদুল ফিতরের সলাতের তাকবীর সংখ্যা প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(কিতাবুল খিলাফ ১ম খণ্ড ১০০ পৃষ্ঠা)

৪০তম হাদীসঃ
উমার বিন খাত্তাব (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত; তিনি ঈদের সলাত পড়ালেন। প্রথম রাক’আতে তিনি সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিলেন এবং প্রত্যেক তাকবীরে তিনি হস্তদ্বয় উঁচু করলেন।
(মাসাইলু কিতাবিল খিলাফ ১ম খণ্ড ১০০ পৃষ্ঠা)

৪১তম হাদীসঃ
আবূস সাব্বাহ আল-কাসানী হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ আবদুল্লাহকে দুই ঈদের সলাতের তাকবীর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেনঃ ১২ তাকবীর দিতে হবে, প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(কিতাবুল খিলাফ আল ফিকহিয়্যা ১ম খণ্ড ১০০ পৃষ্ঠা)

মুসনাদ ইমাম শাফিয়ীর হাদীস (৪ টি)
৪২তম হাদীসঃ
জা‘ফার বিন মুহাম্মাদ হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকর ও উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) দু‘ঈদের সলাতে এবং ইসতিস্কার সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন। এবং খুৎবার পূর্বে সলাত পড়েছেন আর উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করেছেন।
(মুসনাদ ইমাম শাফেয়ী ১ম খণ্ড ২০৯ পৃষ্ঠা)

৪৩তম হাদীসঃ
আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত; তিনি দু’ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন এবং উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়তেন।
(মুসনাদ ইমাম শাফেয়ী ১ম খণ্ড ২০৯ পৃষ্ঠা)

৪৪তম হাদীসঃ
উসমান বিন উরওয়াহ্ হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আবূ আইয়ুব আনসারী ও যায়িদ বিন সাবিত (রাযিআল্লাহু আনহু) মারওয়ানকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে যেন দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দেয়।
(মুসনাদ ইমাম শাফেয়ী ১ম খণ্ড ২০৯ পৃষ্ঠা)

৪৫তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন উমারের আযাদকৃত গোলাম নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ আমি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
হাদীসের সানাদ সহীহ
(মুসনাদ ইমাম শাফেয়ী ১ম খণ্ড ২০৯ পৃষ্ঠা)

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতির তাযয়ীনুল মামালিক মানাকিবি ইমাম মালিকের হাদীস (৪ টি)
৪৬তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দিল্লাহ আল মাযানী হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঈদুল আযহার সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতে দেখেছি এবং ঈদুল ফিতরের সলাতেও এরূপ করতে দেখেছি।
(তাযয়ীনুল মামালিক ১৫৫ পৃষ্ঠা)

৪৭তম হাদীসঃ
ইমাম মালিক বলেছেনঃ আমাকে অনেক লোক সংবাদ দিয়েছেন যে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) এবং মাদীনার জামা‘আত বদ্ধ লোক ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(তাযয়ীনুল মামালিক ইমাম মালিক ১৫৫ পৃষ্ঠা)

৪৮তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে রুকুর তাকবীর ব্যতীত পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(তাযয়ীনুল মামালিক ১৫৫ পৃষ্ঠা)

৪৯তম হাদীসঃ
ইমাম মালিক বলেন, তিনি নাফে‘ হতে, তিনি বলেন, আমি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(তাযয়ীনুল মামালিক ১৫৫ পৃষ্ঠা)

ইমাম শাফিয়ী’র কিতাবূল উম-এর হাদীস (৭ টি)
৫০তম হাদীসঃ
ইমাম শাফিয়ী বলেন, আমি সুফিআন বিন উয়াইনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি আতাআ বিন আবু রাবাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি দু’ ঈদের সলাতের প্রথম রাক’আতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত সাত তাকবীর দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে দাঁড়ানোর তাকবীর ব্যতীত পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।

এ ইসনাদ অধিক সহীহ এবং রাবীগণ অধিক নির্ভরযোগ্য এবং অধিক প্রতিষ্ঠিত শব্দে বর্ণিত; কেননা এ হাদীস সামি’তু শব্দ দ্বারা এসেছে।
(ইমাম শাফিয়ীর কিতাবূল উম ১ম খণ্ড ঈদের সলাতে তাকবীর অনুচ্ছেদ, ২৩৬ পৃষ্ঠা। হাবীল কাবীর ২য় খণ্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা)

৫১তম হাদীসঃ
জা’ফর বিন মুহাম্মাদ হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকর ও উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) দু’ঈদের সলাতের প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন এবং খুতবার পূর্বে সলাত পড়তেন এবং উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়তেন।
(কিতাবুল উম ৬ষ্ঠ খণ্ড ১০৯ পৃষ্ঠা)

৫২তম হাদীসঃ
উসমান বিন উরওয়াহ্ হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আবূ আইয়ুব আনসারী ও যায়িদ বিন সাবিত (রাযিআল্লাহু আনহু) মারওয়ানকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, সে যেন দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দেয়।
(কিতাবুল উম ৬ষ্ঠ খণ্ড ১০৯ পৃষ্ঠা)

৫৩তম হাদীসঃ
আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত; তিনি দু’ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন এবং উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়তেন।
(ইমাম শাফিয়ীর কিতাবুল উম ৬ষ্ঠ খণ্ড ১০৯ পৃষ্ঠা)

৫৪তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন উমারের আযাদকৃত গোলাম নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ আমি ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(কিতাবুল উম ইমাম শাফিয়ী ৬ষ্ঠ খণ্ড ১১০ পৃষ্ঠা)
উপরের চারটি হাদীস কিতাবুল উম প্রথম খণ্ড বর্তমান ছাপা ২৩৩/২৩৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে।

৫৫তম হাদীসঃ
ইসহাক বিন আবদিল্লাহ বিন কিনানাহ্ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)-কে ইসতেস্কার সলাতের তাকবীর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) বললেনঃ ঈদের সলাতের তাকবীরের মতই সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতে হবে।
(কিতাবুল উম ১ম খণ্ড ২২১ পৃষ্ঠা)

৫৬তম হাদীসঃ
উমার বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি ইস্তিস্কার সলাতে সাত ও পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন। অনুরূপ ঈদের সলাতেও দিয়েছেন।
(কিতাবুল উম ১ম খণ্ড ২২১ পৃষ্ঠা বর্তমান ছাপা ২৯৪ পৃষ্ঠা)

আওসাতের হাদীস (৬ টি)
(আবূ বকর বিন মুনযির নিসাপুরী)
৫৭তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি ঈদের সলাতে বার তাকবীর দিতেন। (আওসাত ৪র্থ খণ্ড ২৭৪ পৃষ্ঠা)

৫৮তম হাদীসঃ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ দুই ঈদের সলাতের তাকবীর হলো সাত ও পাঁচ। প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর।
(আল আওসাত চতুর্থ খণ্ড ২৭৪ পৃষ্ঠা)

৫৯তম হাদীসঃ
আম্মার বিন আবূ আম্মার হতে বর্ণিত যে, ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) ঈদের সলাতে বার তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(আল আওসাত ৪র্থ খণ্ড ২৭৪ পৃষ্ঠা)

৬০তম হাদীসঃ
আব্দূল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আত্ তয়িফী হতে বর্ণিত যে, তিনি আমর ইবনে শুআইব থেকে শুনেছেন, তিনি তার পিতা হতে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিয়ে কিরাআত পাঠ করলেন তারপর রুকুর তাকবীর দিলেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়ে কিরাআত পড়লেন এবং তাকবীর দিয়ে রুকু করলেন।
(আল আওসাত চতুর্থ খণ্ড ২৭৯ পৃষ্ঠা)

৬১তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(আল আওসাত চতুর্থ খণ্ড ২৭৯ পৃষ্ঠা)

৬২তম হাদীসঃ
আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি ঈদুল ফিতরের সলাতে বার তাকবীর দিতেন।
(আল আওসাত চতুর্থ খণ্ড ২৭৮ পৃষ্ঠা)

শারহে মা‘আনিল আসার বা তাহাবী শরীফের হাদীস (১৩ টি)
৬৩তম হাদীসঃ
আমর বিন শুআইব হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে ১২ তাকবীর দিয়েছেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে সলাতের তাকবীর ব্যতীত পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(শরহে মায়ানীল আসার তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠা)

৬৪তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাত পড়ালেন। তিনি প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিয়ে সূরা ক্বাফ পড়লেন। আর দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়ে সূরা ক্বামার পড়লেন।
(তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৬৫তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু ঈদের সলাতে রুকুর তাকবীর ব্যতীত প্রথম রাক’আতে সাত ও ২য় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৬৬তম হাদীসঃ
আসাদ বিন মূসা (রাযিআল্লাহু আনহু) তার সানাদ সহকারে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৬৭তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৬৮তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের তাকবীর সম্পর্কে বলেছেনঃ প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতে হবে।
(শরহে মায়ানীল আসার তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৬৯তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ বিন আমর হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদুল আযহার সলাতে সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতে দেখেছি এবং ঈদুল ফিতরের সলাতেও অনুরূপ দেখেছি।
(তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৭০তম হাদীসঃ
নাফে’ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(তাহাবী ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৭১তম হাদীসঃ
নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(তাহাবী ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৭২তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে।
(তাহাবী ২য় খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)

৭৩তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত যে, তিনি ঈদুল ফিতরের সলাতে (রুকুর তাকবীর সহ) ১৩ তাকবীর দিতেন। ১ম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পরে (রুকুর তাকবীর সহ) ছয় তাকবীর দিতেন।
(তাহাবী ২য় খণ্ড ৪০১ পৃষ্ঠা)

৭৪তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
(তাহাবী ২য় খণ্ড ৪০১ পৃষ্ঠা)

৭৫তম হাদীসঃ
খুসাইফ হতে বর্ণিত যে, উমার বিন আবদুল আযীয দু’ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(শরহে মা-আনীল আসার তাহাবী শরীফ ২য় খণ্ড ৪০২ পৃষ্ঠা)

ইমাম মালিকের মুদাওয়ানাতুল কুবরার হাদীস (৪ টি)

৭৬তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ আল মুযানী হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর ও পাঁচ তাকবীর দিতে দেখেছি। এবং ঈদুল ফিতরের সলাতেও অনুরূপ করতে দেখেছি।
(মুদাওয়ানাতুল কুবরা ১ম খণ্ড ১৬৯ পৃষ্ঠা)

৭৭তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে রুকুর তাকবীর ব্যতীত প্রথম রাক’আতে সাত ও ২য় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছে।
(মুদাওয়ানাতুল কুবরা ১ম খণ্ড ১৬৯ পৃষ্ঠা)

৭৮তম হাদীসঃ
ওয়াহাব বলেছেনঃ আমাকে অনেক লোক সংবাদ দিয়েছেন যে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) এবং মাদীনার জামা’আত বদ্ধ লোক ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(মুদাওয়ানাতুল কুবরা ইমাম মালিক ১ম খণ্ড ১৬৯ পৃষ্ঠা)

৭৯তম হাদীসঃ
নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, তিনি ১ম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(মুদাওয়ানাতুল কুবরা ১ম খণ্ড ১৬৯ পৃষ্ঠা)

মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাকের হাদীস (১০ টি)

৮০তম হাদীসঃ
আমর বিন শুআইব থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিতেন। অতঃপর কিরাআত পাঠ করতেন। তারপর রাক’আতের তাকবীর দিতেন।
অতঃপর শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। তারপর কিরাআত পাঠ করতেন। অতঃপর তাকবীর বলে রুকু করতেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯২ পৃষ্ঠা)

৮১তম হাদীসঃ
জা‘ফার বিন মুহাম্মাদ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর ও ইসতিস্কার সলাতে ১ম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে ৫ তাকবীর দিয়েছেন। এবং খুতবার পূর্বে সলাত পড়েছেন। আর উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়েছেন। আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ বাকর, উমার, উসমান (রাযিআল্লাহু আনহু) ও এরূপ করতেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯২ পৃষ্ঠা)

৮২তম হাদীসঃ
আবূ ইসহাক বিন আবদিল্লাহ বিন কিনানাহ্ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, বর্ণনা করেন আমি প্রমাণ করেছি যে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের নিকট নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পৌছেছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯২ পৃষ্ঠা)

৮৩তম হাদীসঃ
নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদের সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, তিনি প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯২ পৃষ্ঠা)

৮৪তম হাদীসঃ
নাফে’ হতে বর্ণিত, তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯২ পৃষ্ঠা)

৮৫তম হাদীসঃ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯৩ পৃষ্ঠা)

৮৬তম হাদীসঃ
মা’মার হতে বর্ণিত, তিনি যুহরী হতে বর্ণনা করে বলেনঃ আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি ঈদের দিনের সলাতের তাকবীর সংখ্যা হলো প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯৩ পৃষ্ঠা)

৮৭তম হাদীসঃ
রবীআহ, ’আবূ যিনাদ, আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ ও অন্যান্যদের থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ও বৃষ্টির সলাতে একই ধরনের তাকবীর দিতেন। ১ম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে ৫ তাকবীর দিতেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ২৯৩ পৃষ্ঠা)

৮৮তম হাদীসঃ
ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও বৃষ্টির সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর ও শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ৮৫ পৃষ্ঠা)

৮৯তম হাদীসঃ
জা‘ফার বিন মুহাম্মাদ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর ও ইসতিস্কার সলাতে ১ম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে ৫ তাকবীর দিয়েছেন। এবং খুতবার পূর্বে সলাত পড়েছেন। আর উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়েছেন। আলী (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ’আবূ বাকর, উমার, উসমান (রাযিআল্লাহু আনহু) ও এরূপ করতেন।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৩য় খণ্ড ৮৫ পৃষ্ঠা)

সুনানে কুবরা বাইহাকী শরীফের হাদীস (১৬ টি)

৯০তম হাদীসঃ
আমর বিন শুআইব থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে তথা ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আযহার দিন সলাতে সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন। সলাতের তাকবীর ব্যতীত প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৪ পৃষ্ঠা)

৯১তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বিন আস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈদুল ফিতর সলাতে তাকবীর হলো প্রথম রাক’আতে সাত ও শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর, আর কিরাআত উভয় রাক’আতে তাকবীরের পরে।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৪ পৃষ্ঠা)

৯২তম হাদীসঃ
কাসীর বিন আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আউফ হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৪ পৃষ্ঠা)

৯৩তম হাদীসঃ
আয়িশাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা)

৯৪তম হাদীসঃ
ইবনে ওহাব তার সানাদ সহকারে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে রুকুর তাকবীর ব্যতীত সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা)

৯৫তম হাদীসঃ
ইবনে শিহাব যুহরী হতে বর্ণিত, তিনি অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণনা করেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা)

৯৬তম হাদীসঃ
সায়াদ বিন কুয়ায বর্ণনা করেন যে, ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরের সলাতের সুন্নাত হলো যে, ইমাম প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিবে।
(সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৫ পৃষ্ঠা)

৯৭তম হাদীসঃ
আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আম্মার বিন সা‘দ এবং উমার বিন হাফস বিন উমার বিন সা‘দ থেকে বর্ণিত, তারা তাদের পিতৃপিতামহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। আর তিনি তাকবীর কিরাআতের পূর্বেই দিতেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৬ পৃষ্ঠা)

৯৮তম হাদীসঃ
ইবনে উমারের আযাদকৃত গোলাম নাফে‘ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, তিনি প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৬ পৃষ্ঠা)

৯৯তম হাদীসঃ
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আতাআ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) দুই ঈদের সলাতে ১২ তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(ইমাম বাইহাকী সুনানে কুবরাতে সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, ৩য় খণ্ড ৪০৭ পৃষ্ঠা)

১০০তম হাদীসঃ
আব্দুল মালিক বিন আবি সুলাইমান হতে বর্ণিত, তিনি ১৩ তাকবীর দ্বারা ঈদের সলাত পড়তেন। ১ম রাক’আতে সাত তাকবীর ২য় রাক’আতে ৬ তাকবীর। এতে তিনি কিয়ামের তাকবীরকে গণনা করেছেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৭ পৃষ্ঠা)

১০১তম হাদীসঃ
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত; তিনি ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিয়েছেন। অতঃপর কিরাআত পড়েছেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৭ পৃষ্ঠা)

১০২তম হাদীসঃ
সাবিত বিন কাইস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি উমার বিন আবদুল আযীযের সাথে ঈদের সলাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি কিরাআতের পূর্বে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪০৮ পৃষ্ঠা)

১০৩তম হাদীসঃ
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সুন্নাত অনুযায়ী চলে এসেছে যে, দুই ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর দিবে এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিবে।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪১১ পৃষ্ঠা)

১০৪তম হাদীসঃ
তলহাহ্ বিন ইয়াহইয়া হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান আমাকে ইসতিস্কার সলাতের সুন্নাত নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য ইবনে আব্বাসের (রাযিআল্লাহু আনহু)-এর নিকট পাঠালেন। ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) বললেন। ঈদের সলাতের সুন্নাত নিয়মই ইস্তিস্কার সলাতের সুন্নাতী নিয়ম। এটা ব্যতীত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদরকে পরিবর্তন করতেন। ডান দিকের অংশ বাম দিকে এবং বাম দিকের অংশ ডান অংশের উপর করতেন এবং দু’ রাক’আত সলাত পড়তেন। তাতে প্রথম রাক’আতে তিনি সাত তাকবীর দিয়ে সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা অর্থাৎ সূরা আ‘লা পড়তেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতে হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ্ অর্থাৎ সূরা গাশিয়াহ পড়তেন। আর তাতে পাঁচ তাকবীর বলতেন।
(বাইহাকী ৩য় খণ্ড ৪৮৫ পৃষ্ঠা)

১০৫তম হাদীসঃ
তলহাহ্ বিন আব্দুল্লাহ বিন আউফ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)-কে ইসতিস্কার সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, ঈদের সলাতের সুন্নাতের মতই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইস্তিস্কার সলাতের জন্য ময়দানে বের হলেন। অতঃপর আযান ও ইকামাত ব্যতীত দু‘রাক’আত সলাত পড়লেন। তাতে তিনি বার তাকবীর দিলেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(বাইহাকী, ৩য় খণ্ড ৪৮৫ পৃষ্ঠা)

মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবার হাদীস (১৩ টি)
১০৬তম হাদীসঃ
আমর বিন শুআইব হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সলাতে ১২ তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৭৮ পৃষ্ঠা)

১০৭তম হাদীসঃ
উবাই হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। আর তাকবীরসমূহ কিরাআতের পূর্বে ছিল।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৭৯ পৃষ্ঠা)

১০৮তম হাদীসঃ
মাকহুল হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ দু’ঈদে, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে তাকবীর সংখ্যা হলো প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর। উভয় রাক’আতে তাকবীরসমূহ কিরাআতের পূর্বে হবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৮০ পৃষ্ঠা)

১০৯তম হাদীসঃ
আবদুর রহমান বিন রাফে’ বর্ণনা করেন যে, উমার বিন খাত্তাব (রাযিআল্লাহু আনহু) দু’ঈদের সলাতে ১২ তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৮০ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ৮ম খণ্ড ৬৩৮ পৃষ্ঠা)

১১০তম হাদীসঃ
আবদুল আযীয বিন উমার বিন আবদুল আযীয হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তাঁর পিতা উমার ঈদের সলাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ ২য় খণ্ড ৮০ পৃষ্ঠা)

১১১তম হাদীসঃ
আবূ সাইদ খুদরী (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, দুই ঈদের সলাতের তাকবীর সংখ্যা হলো সাত ও পাঁচ তাকবীর। প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৮০ পৃষ্ঠা)

১১২তম হাদীসঃ
নাফে’ বিন আবূ নাঈম হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নাফে’ (রাযিআল্লাহু আনহু) কে বলতে শুনেছি। আবদুল্লাহ বিন উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেছেনঃ দুই ঈদের সলাতের তাকবীর হলো প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২য় খণ্ড ৮১ পৃষ্ঠা)

১১৪তম হাদীসঃ
সাবিত বিন কাইস হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি উমার বিন আব্দিল আযীযের পিছনে ঈদুল ফিতরের সলাত পড়েছি। তিনি প্রথম রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিলেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ্ ২য় খণ্ড ৮১ পৃষ্ঠা)

১১৫তম হাদীসঃ
আম্মার বিন আবি আম্মার হতে বর্ণিত যে, ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) ঈদের সলাতে ১২ তাকবীর দিয়েছেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ ২য় খণ্ড ৮১ পৃষ্ঠা)

১১৬তম হাদীসঃ
আতাআ হতে বর্ণিত যে, ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) (দ্বিতীয় রাক’আতের রুকুর তাকবীরসহ) ঈদের সলাতে ১৩ তাকবীর দিয়েছেন। প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং শেষ রাক’আতে রুকুর তাকবীর সহ ছয় তাকবীর দিয়েছেন। সমস্ত তাকবীর ছিল কিরাআতের পূর্বে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, আওনুল মা’বুদ ৪র্থ খণ্ড ১১ পৃষ্ঠা)

১১৭তম হাদীসঃ
ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি ঈদের সলাতে (রুকুর তাকবীরসহ) তের তাকবীর দিতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, আওনুল মা’বুদ শারহে আবূ দাউদ ৪র্থ খণ্ড ১১ পৃষ্ঠা)

১১৮তম হাদীসঃ
ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, তিনি প্রথম রাক’আতে রুকুর তাকবীরের সাথে সাত তাকবীর এবং ২য় রাক’আতে রুকুর তাকবীরের সাথে পাঁচ তাকবীর দিতেন। সর্বমোট বার তাকবীর হত।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ্, ’আউনুল মা‘বুদ ৪র্থ খণ্ড ১১ পৃষ্ঠা)
 https://rasikulindia.blogspot.com আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)<> -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite-  https://rasikulindia.blogspot.comesoislamerpothecholi.in , comming soon my best world websaite
-আসসালামু-আলাইকুম-এখানে-পাবেন-নিয়মিত_আপডেট।
সহিহ_মানহাজ ওয়েবসাইট-





(এখানে পাবেন,অডিও সিরিজ-শায়খ ভিত্তিক,বিষয় ভিত্তিক,কুরআন অডিও,অডিও অনলাইনে শুনুন,বিষয় ভিত্তিক ভিডিও,ভিডিও গজল,সহীহ-সুন্নাহ-ভিত্তিক ইউটুব চ্যানেল,ইসলামিক পত্রিকা,জানা-অজানা-আর্টিকল-পর্ব সিরিজ,এবং নির্ভেজাল নিউজ পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন। ইসলামিক বিশুদ্ধ বই পেতে-


</!doctype>

Post a Comment

0 Comments