▌জান্নাত লাভের কতিপয় উপায় ২য় পর্ব।
__________________________ _____________
সংকলনঃ-ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।হাফিয্বাহুল্লাহ
সূত্রঃ-মাসিক আত-তাহরিক।
পোষ্টার ডিজাইনার-মুহাম্মাদ ফাহিম।
__________________________ _________
৭. যাকাত আদায় করা :
ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ফরযের মধ্যে যাকাত অন্যতম। নিছাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করতে হয়। এর ফলে জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,اتَّقُوا اللهَ رَبَّكُمْ وَصَلُّوْا خَمْسَكُمْ وَصُوْمُوْا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوْا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيْعُوْا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوْا جَنَّةَ رَبِّكُمْ- ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় কর, রামাযান মাসের ছিয়াম পালন কর, তোমাদের সম্পদের যাকাত প্রদান কর, তোমাদের নেতাদের আনুগত্য কর, তাহ’লে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[21] অপর একটি হাদীছে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। লোকেরা বলল, তার কি হয়েছে? তার কি হয়েছে? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন,أَرَبٌ مَالَهُ، فَقَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم تَعْبُدُ اللهَ، وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِى الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ ‘তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না; ছালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে’।[22]
.
.
৮. হজ্জব্রত পালন করা :
হজ্জ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। অর্থিক সচ্ছলতা ও দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা ফরয। কবুল হজ্জের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোন আমল শ্রেষ্ঠ? তিনি বলেলেন,إِيْمَانٌ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ قِيْلَ: ثُمَّ مَاذَا قَالَ: الْجِهَادُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ قِيْلَ: ثُمَّ مَاذَا قَالَ: حَجٌّ مَبْرُوْرٌ- ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করা। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারপর কি? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারপর কি? তিনি বললেন, কবুল হজ্জ’।[23]
.
.
তিনি আরো বলেন, الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا، وَالْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ- ‘এক ওমরা অপর ওমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়’।[24]
.
.
৯. দান-ছাদাক্বাহ করা :
ছাদাক্বাহ করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। যার দ্বারা জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ دُعِيَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَلِلْجَنَّةِ أَبْوَابٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلَاةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ-
‘যে ব্যক্তি কোন জিনিসের এক জোড়া আল্লাহর রাস্তায় দান করে তাকে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের সকল দরজা হ’তে আহবান করা হবে, অথচ জান্নাতের দরজা অনেক (আটটি)। সুতরাং যে ব্যক্তি ছালাত আদায়কারী হবে তাকে ছালাতের দরজা হ’তে আহবান করা হবে এবং যে ব্যক্তি দানকারী হবে তাকে দানের দরজা হ’তে আহবান করা হবে’।[25]
.
.
তিনি আরো বলেন,إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ عَنْ أَهْلِهَا حَرَّ الْقُبُوْرِ، وَإِنَّمَا يَسْتَظِلُّ الْمُؤْمِنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيْ ظِلِّ صَدَقَتِهِ- ‘নিশ্চয়ই দান কবরের শাস্তিকে মিটিয়ে দেয় এবং ক্বিয়ামতের দিন মুমিন তার দানের ছায়াতলে ছায়া গ্রহণ করবে’।[26] অন্যত্র তিনি আরো বলেন, صَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِيُ غَضَبَ الرَّبِّ- ‘গোপন দান প্রতিপালকের ক্রোধকে মিটিয়ে দেয়’।[27]
.
.
১০. কুরআন তেলাওয়াত করা :
কুরআন তেলাওয়াত করলে বহু ছওয়াব অর্জিত হয় এবং জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا- ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। অক্ষর অক্ষর ও শব্দ শব্দ স্পষ্টভাবে পাঠ করতে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে স্পষ্টভাবে পাঠ করছিলে। কেননা তোমার জন্য জান্নাতে বসবাসের স্থান হচ্ছে তোমার তেলাওয়াতের শেষ আয়াতের নিকট’।[28]
.
.
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِيْ يَقْرَؤُهُ يَتَتَعْتَعُ فِيْهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ- ‘কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত লেখক ফেরেশতাদের সাথে থাকবেন। আর যে কুরআন পড়ে কিন্তু আটকায় এবং কুরআন পড়া তার পক্ষে খুব কষ্টদায়ক হয় তার জন্য দুইগুণ নেকী রয়েছে’।[29]
.
.
(ক) সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান পাঠ করা :
সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান তার তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,يُؤْتَى يَوْمَ القِيَامَةِ بِالقُرْآنِ وَأَهْلِهِ الَّذِيْنَ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ بِهِ فِي الدُّنْيَا تَقْدُمُهُ سُوْرَةُ البَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ، تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا- ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনকে এবং যারা দুনিয়াতে কুরআন অনুযায়ী আমল করত তাদেরকে আনা হবে। কুরআনের আগে আগে থাকবে সূরা বাক্বারাহ ও সূরা আলে ইমরান। আর এ সূরা দু’টি তাদের তেলাওয়াতকারীদের পক্ষ থেকে জবাবদিহি করবে’।[30]
.
.
তিনি আরো বলেন,
اقْرَءُوْا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لِأَصْحَابِهِ اقْرَءُوا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُوْرَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا اقْرَءُوْا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلاَ تَسْتَطِيْعُهَا الْبَطَلَةُ-
‘তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর। কেননা কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করতে আসবে। তোমরা দুই উজ্জ্বল সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান তেলাওয়াত কর। কেননা ক্বিয়ামতের দিন সূরা দু’টি দু’টি মেঘখন্ড অথবা দু’টি সামিয়ানা অথবা দু’টি পাখা প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে এবং পাঠকদের পক্ষে আল্লাহর সামনে জোরাল দাবী জানাবে। বিশেষভাবে তোমরা সূরা বাক্বারাহ পড়। কারণ সূরা বাক্বারাহ পড়ার বিনিময় হচ্ছে বরকত আর না পড়ার পরিণাম হচ্ছে আক্ষেপ। অলস ব্যক্তিরাই এ সূরা পড়তে অক্ষম’।[31]
.
.
(খ) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা :
নিয়মিত আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,مَنْ قَرَأَ آيَةَ اَلْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُوْلِ اَلْجَنَّةِ إِلاَّ اَلْمَوْتُ- ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু প্রতিবন্ধক থাকবে না’।[32]
.
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, مَنْ قَرَأَ آيَةَ اَلْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يُحِلْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ دُخُوْلِ الْجَنَّةِ إَلاَّ الْمَوْتُ ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যু ব্যতিরেকে কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না’।[33]
.
.
অন্য বর্ণনায় প্রত্যেক ফরয ছালাতের পরে উল্লিখিত হয়েছে।[34]
.
.
(গ) সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা :
সূরা কাহফ তেলাওয়াত করলে জ্যোতি লাভ হয় এবং দাজ্জালের ফেৎনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নবী করীম (ছাঃ) বলেন,مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ فِىْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ النُّوْرُ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ- ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন সূরা কাহফ পড়বে তার ঈমানী আলো এক জুম‘আ হ’তে অপর জুম‘আ পর্যন্ত চমকিতে থাকবে’।[35]
.
.
তিনি আরো বলেন, مَنْ قَرَأَ ثَلاَثَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম তিন আয়াত পড়বে তাকে দাজ্জালের ফেতনা হ’তে নিরাপদে রাখা হবে’।[36]
.
.
অন্যত্র তিনি বলেন, مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জাল হ’তে নিরাপদে রাখা হবে’।[37]
.
.
(ঘ) সূরা মুলক পাঠ করা :
সূরা মুলক তেলাওয়াতকারীর জন্য সে সুপারিশ করে এবং এ সূরা তেলাওয়াতকারী কবরের আযাব থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ سُوْرَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ- ‘কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছিল ফলে তাকে মাফ করা হয়েছে। সে সূরাটি হচ্ছে ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’।[38]
.
.
তিনি আরো বলেন,
مَنْ قَرَأَ {تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ} كُلَّ لَيْلَةٍ مَنَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَكُنَّا فِيْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ نُسَمِّيْهَا الْمَانِعَةَ، وَإنَّهَا فِيْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ سُوْرَةٌ مَنْ قَرَأَ بِهَا فِيْ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطَابَ-
‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাযী অর্থাৎ সূরা মুলক পড়বে, এর জন্য আল্লাহ তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখবেন। আর আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে একে (কবর আযাব) প্রতিরোধকারী বলে অভিহিত করতাম। নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে (কুরআনে) একটি সূরা আছে, যে ব্যক্তি রাতে তা
পাঠ করল, সে অধিক করল ও উত্তম কাজ করল।[39]
.
.
(ঙ) সূরা ইখলাছ পাঠ করা :
সূরা ইখলাছ পাঠ করা এবং তার সাথে মহববত রাখা জান্নাত লাভের মাধ্যম। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একবার নবী করীম (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে এক সেনাদলের সেনাপতি করে পাঠালেন। সে তার সঙ্গীদের ছালাত আদায় করাত এবং ক্বিরাআত শেষে সূরা ইখলাছ পড়ত। যখন তারা মদীনায় ফিরলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বিষয়টি পেশ করলেন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, سَلُوْهُ لِأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ فَسَأَلُوْهُ فَقَالَ لِأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبِرُوْهُ أَنَّ اللهَ يُحِبُّهُ- ‘তোমরা তাকে জিজ্ঞেস কর সে কি কারণে এরূপ করে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল। সে বলল, এই সূরাতে আল্লাহর গুণাবলী আছে। আর আমি আল্লাহর গুণাবলী পাঠ করতে ভালবাসি। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তোমরা তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন’।[40] আনাস (রাঃ) বলেন, একদা এক ব্যক্তি বলল,يَا رَسُولَ اللهِ إنِّيْ أُحِبُّ هذِهِ السُّوْرَةَ {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ} قَالَ: إنَّ حُبَّاكَ اِيَّاهَا أدْخَلَكَ الجَنَّةَ- ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই সূরা ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তার প্রতি তোমার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবে’।[41]
.
.
১১. উত্তমরূপে ওযূ করা :
ওযূর গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক। এটাও জান্নাত লাভকারী আমল। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,ألاَ أَدُّلُكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ : إسْبَاغُ الوُضُوْءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ- ‘আমি কি তোমাদের বলে দিব না যে কিসের দ্বারা আল্লাহ মানুষের গুনাহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন? ছাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, কষ্ট সত্ত্বেও পূর্ণভাবে ওযূ করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক ছালাত শেষ হওয়ার পর আর এক ছালাতের প্রতীক্ষায় থাকা। আর এটাই হচ্ছে রিবাত বা প্রস্ত্ততি (তিনবার তিনি একথা বললেন)’।[42]
.
.
তিনি আরো বলেন,مَنْ تَوَضَّأ فَأَحْسَنَ الوُضُوْءَ، خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ- ‘যে ওযূ করে এবং সুন্দর করে ওযূ করে, তার গুনাহ সমূহ তার শরীর হ’তে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নীচ হ’তেও বের হয়ে যায়’।[43] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ الْمُسْلِمُ، أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ
آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوْبِ-
‘যখন কোন মুসলমান অথবা মুমিন বান্দা ওযূ করে এবং মুখমন্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমন্ডল হ’তে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার দু’চোখের মাধ্যমে হয়েছে। আর যখন সে দু’হাত ধৌত করে তখন পানির সাথে কিংবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার দু’হাত দ্বারা অর্জিত হয়েছে। যখন সে পা ধৌত করে তখন পানির সাথে কিংবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা করতে তার পা অগ্রসর হয়েছে। এমনকি সে গুনাহ হ’তে পাক-পবিত্র, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়’।[44]
.
.
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إنَّ أُمَّتِيْ يُدْعَوْنَ يَوْمَ القِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِيْنَ مِنْ آثَارِ الوُضُوْءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ- ‘ক্বিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে জান্নাতের দিকে ডাকা হবে তাদের ওযূর বিশেষ চিহ্ন দেখে যা হবে অতীব উজ্জ্বল ধবধবে সাদা। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতাকে দীর্ঘ করতে চায় সে যেন তা করে’।[45]
.
.
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে অতঃপর বলবে, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ ‘আমি ঘোষণা করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরও ঘোষণা করছি যে মুহাম্মাদ (ছাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। এমন ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’।[46]
[চলবে....]
[21]. তিরমিযী হা/৬১৬; ইবুন হিববান হা/৭৯৫।
[22]. বুখারী হা/৫৯৫৩; মুসলিম হা/১১।
[23]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৬।
[24]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৮।
[25]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৯৭।
[26]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮১৬/৩৪৮৪।
[27]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৪০।
[28]. আহমাদ, মিশকাত হা/২১৩৪, হাদীছ ছাহীহ।
[29]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১১২।
[30]. মুসলিম হা/৮০৫; মিশকাত হা/২১২১।
[31]. মুসলিম, মিশকাত হা/২১২০।
[32]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৬৪; মিশকাত হা/৯৭৪।
[33]. ছহীহাহ হা/৯৭২।
[34]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৬৪।
[35]. বায়হাকবী, মিশকাত হা/২১৭৫, হাদীছ ছহীহ।
[36]. তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৪৬, হাদীছ ছহীহ।
[37]. মুসলিম, মিশকাত হা/২১২৬।
[38]. আহমাদ, মিশকাত হা/২১৫৩, হাদীছ ছহীহ।
[39]. হাকেম, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৫৮৯, সনদ হাসান।
[40]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১২৮।
[41]. বুখারী হা/৩১৩০।
[42]. মুসলিম হা/২৫৩; মিশকাত হা/২৮২।
[43]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪।
[44]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫।
[45]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০।
[46]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৯।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।
►আলিমদের সাথে,সালাফদের পথে।
►বার্তা-The Massage Of Allah S.w.t
► https://www.facebook.com/ Barta.4u
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
__________________________
সংকলনঃ-ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।হাফিয্বাহুল্লাহ
সূত্রঃ-মাসিক আত-তাহরিক।
পোষ্টার ডিজাইনার-মুহাম্মাদ ফাহিম।
__________________________
৭. যাকাত আদায় করা :
ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ফরযের মধ্যে যাকাত অন্যতম। নিছাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করতে হয়। এর ফলে জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,اتَّقُوا اللهَ رَبَّكُمْ وَصَلُّوْا خَمْسَكُمْ وَصُوْمُوْا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوْا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيْعُوْا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوْا جَنَّةَ رَبِّكُمْ- ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় কর, রামাযান মাসের ছিয়াম পালন কর, তোমাদের সম্পদের যাকাত প্রদান কর, তোমাদের নেতাদের আনুগত্য কর, তাহ’লে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[21] অপর একটি হাদীছে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। লোকেরা বলল, তার কি হয়েছে? তার কি হয়েছে? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন,أَرَبٌ مَالَهُ، فَقَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم تَعْبُدُ اللهَ، وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِى الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ ‘তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না; ছালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে’।[22]
.
.
৮. হজ্জব্রত পালন করা :
হজ্জ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। অর্থিক সচ্ছলতা ও দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা ফরয। কবুল হজ্জের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কোন আমল শ্রেষ্ঠ? তিনি বলেলেন,إِيْمَانٌ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ قِيْلَ: ثُمَّ مَاذَا قَالَ: الْجِهَادُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ قِيْلَ: ثُمَّ مَاذَا قَالَ: حَجٌّ مَبْرُوْرٌ- ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করা। অতঃপর জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারপর কি? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারপর কি? তিনি বললেন, কবুল হজ্জ’।[23]
.
.
তিনি আরো বলেন, الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا، وَالْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ- ‘এক ওমরা অপর ওমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়’।[24]
.
.
৯. দান-ছাদাক্বাহ করা :
ছাদাক্বাহ করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। যার দ্বারা জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ دُعِيَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَلِلْجَنَّةِ أَبْوَابٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلَاةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ-
‘যে ব্যক্তি কোন জিনিসের এক জোড়া আল্লাহর রাস্তায় দান করে তাকে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের সকল দরজা হ’তে আহবান করা হবে, অথচ জান্নাতের দরজা অনেক (আটটি)। সুতরাং যে ব্যক্তি ছালাত আদায়কারী হবে তাকে ছালাতের দরজা হ’তে আহবান করা হবে এবং যে ব্যক্তি দানকারী হবে তাকে দানের দরজা হ’তে আহবান করা হবে’।[25]
.
.
তিনি আরো বলেন,إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ عَنْ أَهْلِهَا حَرَّ الْقُبُوْرِ، وَإِنَّمَا يَسْتَظِلُّ الْمُؤْمِنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيْ ظِلِّ صَدَقَتِهِ- ‘নিশ্চয়ই দান কবরের শাস্তিকে মিটিয়ে দেয় এবং ক্বিয়ামতের দিন মুমিন তার দানের ছায়াতলে ছায়া গ্রহণ করবে’।[26] অন্যত্র তিনি আরো বলেন, صَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِيُ غَضَبَ الرَّبِّ- ‘গোপন দান প্রতিপালকের ক্রোধকে মিটিয়ে দেয়’।[27]
.
.
১০. কুরআন তেলাওয়াত করা :
কুরআন তেলাওয়াত করলে বহু ছওয়াব অর্জিত হয় এবং জান্নাত লাভ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا- ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। অক্ষর অক্ষর ও শব্দ শব্দ স্পষ্টভাবে পাঠ করতে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে স্পষ্টভাবে পাঠ করছিলে। কেননা তোমার জন্য জান্নাতে বসবাসের স্থান হচ্ছে তোমার তেলাওয়াতের শেষ আয়াতের নিকট’।[28]
.
.
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِيْ يَقْرَؤُهُ يَتَتَعْتَعُ فِيْهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ- ‘কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত লেখক ফেরেশতাদের সাথে থাকবেন। আর যে কুরআন পড়ে কিন্তু আটকায় এবং কুরআন পড়া তার পক্ষে খুব কষ্টদায়ক হয় তার জন্য দুইগুণ নেকী রয়েছে’।[29]
.
.
(ক) সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান পাঠ করা :
সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান তার তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,يُؤْتَى يَوْمَ القِيَامَةِ بِالقُرْآنِ وَأَهْلِهِ الَّذِيْنَ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ بِهِ فِي الدُّنْيَا تَقْدُمُهُ سُوْرَةُ البَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ، تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا- ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনকে এবং যারা দুনিয়াতে কুরআন অনুযায়ী আমল করত তাদেরকে আনা হবে। কুরআনের আগে আগে থাকবে সূরা বাক্বারাহ ও সূরা আলে ইমরান। আর এ সূরা দু’টি তাদের তেলাওয়াতকারীদের পক্ষ থেকে জবাবদিহি করবে’।[30]
.
.
তিনি আরো বলেন,
اقْرَءُوْا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لِأَصْحَابِهِ اقْرَءُوا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُوْرَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا اقْرَءُوْا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلاَ تَسْتَطِيْعُهَا الْبَطَلَةُ-
‘তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর। কেননা কুরআন ক্বিয়ামতের দিন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করতে আসবে। তোমরা দুই উজ্জ্বল সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান তেলাওয়াত কর। কেননা ক্বিয়ামতের দিন সূরা দু’টি দু’টি মেঘখন্ড অথবা দু’টি সামিয়ানা অথবা দু’টি পাখা প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে এবং পাঠকদের পক্ষে আল্লাহর সামনে জোরাল দাবী জানাবে। বিশেষভাবে তোমরা সূরা বাক্বারাহ পড়। কারণ সূরা বাক্বারাহ পড়ার বিনিময় হচ্ছে বরকত আর না পড়ার পরিণাম হচ্ছে আক্ষেপ। অলস ব্যক্তিরাই এ সূরা পড়তে অক্ষম’।[31]
.
.
(খ) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা :
নিয়মিত আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,مَنْ قَرَأَ آيَةَ اَلْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُوْلِ اَلْجَنَّةِ إِلاَّ اَلْمَوْتُ- ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু প্রতিবন্ধক থাকবে না’।[32]
.
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, مَنْ قَرَأَ آيَةَ اَلْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ لَمْ يُحِلْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ دُخُوْلِ الْجَنَّةِ إَلاَّ الْمَوْتُ ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যু ব্যতিরেকে কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না’।[33]
.
.
অন্য বর্ণনায় প্রত্যেক ফরয ছালাতের পরে উল্লিখিত হয়েছে।[34]
.
.
(গ) সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা :
সূরা কাহফ তেলাওয়াত করলে জ্যোতি লাভ হয় এবং দাজ্জালের ফেৎনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নবী করীম (ছাঃ) বলেন,مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ فِىْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ النُّوْرُ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ- ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন সূরা কাহফ পড়বে তার ঈমানী আলো এক জুম‘আ হ’তে অপর জুম‘আ পর্যন্ত চমকিতে থাকবে’।[35]
.
.
তিনি আরো বলেন, مَنْ قَرَأَ ثَلاَثَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম তিন আয়াত পড়বে তাকে দাজ্জালের ফেতনা হ’তে নিরাপদে রাখা হবে’।[36]
.
.
অন্যত্র তিনি বলেন, مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জাল হ’তে নিরাপদে রাখা হবে’।[37]
.
.
(ঘ) সূরা মুলক পাঠ করা :
সূরা মুলক তেলাওয়াতকারীর জন্য সে সুপারিশ করে এবং এ সূরা তেলাওয়াতকারী কবরের আযাব থেকে নিরাপত্তা লাভ করে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ سُوْرَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ- ‘কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছিল ফলে তাকে মাফ করা হয়েছে। সে সূরাটি হচ্ছে ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’।[38]
.
.
তিনি আরো বলেন,
مَنْ قَرَأَ {تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ} كُلَّ لَيْلَةٍ مَنَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَكُنَّا فِيْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ نُسَمِّيْهَا الْمَانِعَةَ، وَإنَّهَا فِيْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ سُوْرَةٌ مَنْ قَرَأَ بِهَا فِيْ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطَابَ-
‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাযী অর্থাৎ সূরা মুলক পড়বে, এর জন্য আল্লাহ তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখবেন। আর আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে একে (কবর আযাব) প্রতিরোধকারী বলে অভিহিত করতাম। নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে (কুরআনে) একটি সূরা আছে, যে ব্যক্তি রাতে তা
পাঠ করল, সে অধিক করল ও উত্তম কাজ করল।[39]
.
.
(ঙ) সূরা ইখলাছ পাঠ করা :
সূরা ইখলাছ পাঠ করা এবং তার সাথে মহববত রাখা জান্নাত লাভের মাধ্যম। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একবার নবী করীম (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে এক সেনাদলের সেনাপতি করে পাঠালেন। সে তার সঙ্গীদের ছালাত আদায় করাত এবং ক্বিরাআত শেষে সূরা ইখলাছ পড়ত। যখন তারা মদীনায় ফিরলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বিষয়টি পেশ করলেন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, سَلُوْهُ لِأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ فَسَأَلُوْهُ فَقَالَ لِأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبِرُوْهُ أَنَّ اللهَ يُحِبُّهُ- ‘তোমরা তাকে জিজ্ঞেস কর সে কি কারণে এরূপ করে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল। সে বলল, এই সূরাতে আল্লাহর গুণাবলী আছে। আর আমি আল্লাহর গুণাবলী পাঠ করতে ভালবাসি। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তোমরা তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন’।[40] আনাস (রাঃ) বলেন, একদা এক ব্যক্তি বলল,يَا رَسُولَ اللهِ إنِّيْ أُحِبُّ هذِهِ السُّوْرَةَ {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ} قَالَ: إنَّ حُبَّاكَ اِيَّاهَا أدْخَلَكَ الجَنَّةَ- ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই সূরা ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তার প্রতি তোমার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবে’।[41]
.
.
১১. উত্তমরূপে ওযূ করা :
ওযূর গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক। এটাও জান্নাত লাভকারী আমল। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,ألاَ أَدُّلُكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ : إسْبَاغُ الوُضُوْءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ- ‘আমি কি তোমাদের বলে দিব না যে কিসের দ্বারা আল্লাহ মানুষের গুনাহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন? ছাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, কষ্ট সত্ত্বেও পূর্ণভাবে ওযূ করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক ছালাত শেষ হওয়ার পর আর এক ছালাতের প্রতীক্ষায় থাকা। আর এটাই হচ্ছে রিবাত বা প্রস্ত্ততি (তিনবার তিনি একথা বললেন)’।[42]
.
.
তিনি আরো বলেন,مَنْ تَوَضَّأ فَأَحْسَنَ الوُضُوْءَ، خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ- ‘যে ওযূ করে এবং সুন্দর করে ওযূ করে, তার গুনাহ সমূহ তার শরীর হ’তে বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নীচ হ’তেও বের হয়ে যায়’।[43] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ الْمُسْلِمُ، أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيْئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ، فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيْئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ
آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوْبِ-
‘যখন কোন মুসলমান অথবা মুমিন বান্দা ওযূ করে এবং মুখমন্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমন্ডল হ’তে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার দু’চোখের মাধ্যমে হয়েছে। আর যখন সে দু’হাত ধৌত করে তখন পানির সাথে কিংবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার দু’হাত দ্বারা অর্জিত হয়েছে। যখন সে পা ধৌত করে তখন পানির সাথে কিংবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা করতে তার পা অগ্রসর হয়েছে। এমনকি সে গুনাহ হ’তে পাক-পবিত্র, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়’।[44]
.
.
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,إنَّ أُمَّتِيْ يُدْعَوْنَ يَوْمَ القِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِيْنَ مِنْ آثَارِ الوُضُوْءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ- ‘ক্বিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে জান্নাতের দিকে ডাকা হবে তাদের ওযূর বিশেষ চিহ্ন দেখে যা হবে অতীব উজ্জ্বল ধবধবে সাদা। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতাকে দীর্ঘ করতে চায় সে যেন তা করে’।[45]
.
.
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে অতঃপর বলবে, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ ‘আমি ঘোষণা করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরও ঘোষণা করছি যে মুহাম্মাদ (ছাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। এমন ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’।[46]
[চলবে....]
[21]. তিরমিযী হা/৬১৬; ইবুন হিববান হা/৭৯৫।
[22]. বুখারী হা/৫৯৫৩; মুসলিম হা/১১।
[23]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৬।
[24]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৮।
[25]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৯৭।
[26]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮১৬/৩৪৮৪।
[27]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৪০।
[28]. আহমাদ, মিশকাত হা/২১৩৪, হাদীছ ছাহীহ।
[29]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১১২।
[30]. মুসলিম হা/৮০৫; মিশকাত হা/২১২১।
[31]. মুসলিম, মিশকাত হা/২১২০।
[32]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৬৪; মিশকাত হা/৯৭৪।
[33]. ছহীহাহ হা/৯৭২।
[34]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৬৪।
[35]. বায়হাকবী, মিশকাত হা/২১৭৫, হাদীছ ছহীহ।
[36]. তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৪৬, হাদীছ ছহীহ।
[37]. মুসলিম, মিশকাত হা/২১২৬।
[38]. আহমাদ, মিশকাত হা/২১৫৩, হাদীছ ছহীহ।
[39]. হাকেম, আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৫৮৯, সনদ হাসান।
[40]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১২৮।
[41]. বুখারী হা/৩১৩০।
[42]. মুসলিম হা/২৫৩; মিশকাত হা/২৮২।
[43]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪।
[44]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫।
[45]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০।
[46]. মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৯।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।
►আলিমদের সাথে,সালাফদের পথে।
►বার্তা-The Massage Of Allah S.w.t
► https://www.facebook.com/
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
0 Comments