Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

যৌন জীবন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর-

যৌন জীবন--ueastaion and answer
 ✔ ৫১১ প্রশ্নঃ রুমে কেবল স্বামী স্ত্রী থাকলে শরীররে  কোন কাপড় না রেখে কি ঘুমানো যায়?
উত্তরঃ লজ্জাস্থান অপ্রয়োজনে খুলে রাখা বৈধ নয়। পর্দার ভেতরে প্রয়োজনে তা খুলে রাখায় দোষ নেই। যেমন মিলনের সময়, গোসলের সময় বা প্রস্রাব পায়খানার করার সময়। অপ্রয়োজনের সময় লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ওয়াজেব। অবি () বলেছেন, “তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর।সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! লোকেরা আপসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, “যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।সাহাবী বললেন, ‘ হে আল্লহর রাসুল! কেউ যদি নির্জনে থাকে?’ তিনি বললেন, “মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।৬১৪ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩১১৭ নং)
এখানে তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকট লজ্জাস্থানের হেফাজত কর”---এর মানে এই নয় যে, স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর কাছে সর্বদা নগ্ন থাকা যাবে। উদ্দেশ্য হল, তাদের মিলনের সময় অথবা অন্য প্রয়োজনে লজ্জাস্থান খোলা যাবে, অপ্রয়োজনে নয়।
তাছাড়া উলঙ্গ অবস্থায় ঘুমালে আকস্মিক বিপদের সময় বড় সমস্যায় পড়তে হবে। সুতরাং সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়।
 ✔ ৫১২ প্রশ্নঃ স্বামী স্ত্রী একে অপরের গোপন অঙ্গ দেখতে পারবে কি?
উত্তরঃ শরীয়তে তাতে কোন বাধা নেই। স্বামী স্ত্রী উভয়েই উভয়ের সর্বাঙ্গ নগ্নবস্থায় দেখতে পারে। ৬১৫ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৭৬৬) এতে স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতিও নেই। স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখতে নেই, বা হযরত আয়েশা (রঃ) কখনও স্বামীর গুপ্তাঙ্গ দেখেননি, উলঙ্গ হয়ে গাধার মত সহবাস করো না, বা উলঙ্গ হয়ে সহবাস করলে সন্তান অন্ধ হবে। সঙ্গমের সময় কথা বললে সন্তান তোৎলা বা বোবা হয়ইত্যাদি বলে যে সব হাদীস বর্ণনা করা হয়, তার একটিও সহীহ ও শুদ্ধ নয়। ৬১৬ (দেখুন, তুহফাতুল আরুশ ১১৮ ১১৯ পৃঃ)
 ✔ ৫১৩ প্রশ্নঃ শুনেছি, সহবাসের সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হতে নেই, রুম অন্ধকার রাখতে হয়, একে অপরের লজ্জাস্থান দেখতে নেই ইত্যাদি। তা কি ঠিক?
উত্তরঃ এ হল লজ্জাশীলতার পরিচয়। পরন্ত শরীয়তে তা হারাম নয়। অর্থাৎ রুম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলে এবং সেখানে স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকলে আর পর্দার প্রয়োজন নেই। স্বামী স্ত্রী একে অন্যের লেবাস। উভয়ে উভয়ের সব কিছু দেখতে পারে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“(সফল মুমিন তারা) যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যাতিত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালংঘনকারী। (মুমিনূনঃ ৫-৬, মাআরিজঃ ২৯-৩১)
নবী () বলেছেন, “তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকটে লজ্জাস্থানের হেফাযত কর।সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! লোকেরা আপসে এক জায়গায় থাকলে?’ তিনি বললেন, “যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পায়।সাহাবী বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কেউ যদি নির্জনে থাকে।তিনি বললেন, “মানুষ অপেক্ষা আল্লহ এর বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে।৬১৭ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩১১৭ নং)
সুতরাং রুম অন্ধকার না করলে এবং উভয়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হলে কোন দোষ নেই। ৬১৮ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৫১৪ প্রশ্নঃ কোন কোন সময় স্ত্রী সহবাস নিসিদ্ধ? শুনেছি অমবশ্যা ও পূর্ণিমার রাত্রিতে সহবাস করতে হয় না। এ কথা কি ঠিক?
উত্তরঃ দিবারাত্রে স্বামী স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। তবে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কয়েকটি নিষিদ্ধ সময় আছে, যাতে স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ নয়।
১। স্ত্রীর মাসিক অথবা প্রসবোত্তর খুন থাকা অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “লোকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বল, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রাবকালে স্ত্রীসঙ্গ বর্জন কর এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য) তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)
আল্লাহর রাসুল () বলেন, “যে ব্যক্তি তার ঋতুমতী স্ত্রী (মাসিক অবস্থায়) সঙ্গম করে অথবা কোন স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করে, অথবা কোন গনকের নিকট উপস্থিত হয়ে (সে যা বলে তা) বিশ্বাস করে, সে ব্যক্তি মুহাম্মাদ () এর অবতীর্ণ কুরআনের সাথে কুফরী করে।” (অর্থাৎ কুরআনকে সে অবিশ্বাস ও অমান্য করে। কারণ, কুরআনে এ সব কুকর্মকে নিসিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।)৬১৯ (আহমাদ ২/৪০৮, ৪৭৬, তিরমিযী, সহীহ ইবনে মাজাহ ৫২২ নং)
২। রমযানের দিনের বেলায় রোযা অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেছেন, “রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (বাকারাহঃ ১৮৭)
আর বিদিত যে, রমযানের রোযা অবস্থায় সঙ্গম করলে যথারীতি তার কাফফারা আছে। একটানা দুইমাস রোযা রাখতে হবে, নচেৎ অক্ষম হলে ষাট জন মিসকীন খাওয়াতে হবে।
৩। হজ্জ বা উমরার ইহরাম অবস্থায়। মহান আল্লাহ বলেন, “সুবিদিত মাসে (যথাঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। যে কেউ এই মাস গুলোতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জ এর সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), পাপ কাজ এবং ঝগড়া বিবাদ না করে।” (বাকারাহঃ ১৯৭)
এ ছাড়া অন্য সময়ে দিবারাত্রির যে কোন অংশে সহবাস বৈধ। ৬২০ (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল-মুনাজ্জিদ)
 ✔ ৫১৫ প্রশ্নঃ হাদিসে এসেছে, “যদি তোমরা কেউ স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা করে, তখন দুআ পড়ে, তাহলে তাঁদের ভাগ্যে সন্তান এলে, শায়ত্বন তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।৬২১ (বুখারী-মুসলিম)বাহ্যতঃ এ নির্দেশ স্বামীকে দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল, স্ত্রীর জন্যও কি দুআ পড়া বিধেয়?
উত্তরঃ আসলে সহবাসের দুআ স্বামীর জন্যই বিধেয়। স্ত্রী পড়লেও দোষ নেই। যেহেতু এক কাজ উভয়ের, সে কাজের নির্দেশ পুরুষকে দেওয়া হলেও মহিলাও শামিল হয়। ৬২২(লাজনাহ দায়েমাহ)
 ✔ ৫১৬ প্রশ্নঃ সহবাসের আগে দুআ পড়লে শায়ত্বন ক্ষতি করতে পারে না। ক্ষতি করতে না পারার অর্থ কি?
উত্তরঃ এর অর্থ এই যে, (ক) বিসমিল্লাহর বরকতে সেই সন্তান নেক হয়। যেহেতু মহান আল্লাহ শায়ত্বন কে বলেছেন, “আমার (একনিষ্ঠ) বান্দাদের উপর তোমার কোন আধিপত্য থাকবে না।” (হিজরঃ ৪২)
(খ) সন্তানের স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হয় না।
(গ) সন্তান শিরক ও কুফুরমুক্ত হয়।
(ঘ) কাবীরা গোনাহ থেকে বিরত থাকতে সক্ষম হয়।
(ঙ) ঐ সহবাসে শায়ত্বন শরীক হতে পারেনা।
 ✔ ৫১৭ প্রশ্নঃ আমি বিবাহিত। আমার সন্তান হয় না। টিউবের মাধ্যমে সন্তান নেব ইচ্ছা করেছি। আমি চাই আমার সন্তানকে যেন শায়ত্বন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। কিন্তু তার জন্য পাঠিতব্য দুআটি কখন পড়ব?
উত্তরঃ যখন টিউবে রাখার জন্য বীর্য দেবেন, বীর্যপাতের আগে প্রস্তুতির সময় দুআটি পড়ে নেবেন।

✔ ৫১৮ প্রশ্নঃ স্ত্রী গর্ভবতী থাকা অবস্থায়ও কি সহবাসের সময় দুআ পড়তে হবে?
উত্তরঃ সহবাসের সময় দুআ পড়ায় দুটি লাভ আছে। শয়তানের শরীক হওয়া থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা এবং তার ক্ষতি থেকে ঐ মিলনে সৃষ্ট সন্তানকে রক্ষা করা। সুতরাং যখন আমরা জানি যে, সন্তান আগের মিলনে এসে গেছে, অথবা সন্তান হবে না, অথবা সন্তান চাই না, তখনও যদি আমরা দুআ পড়ি, তাহলে তাতে আমরা নিজেদেরকে আমাদের যৌনআনন্দে শয়তানের শরীক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারব। বলা বাহুল্য, সহবাসের দুআ সর্বাবস্থায় পঠনীয়। যেহেতু হাদিসের নির্দেশ ব্যাপক। ৬২৪ (ইবনে বায)
 ✔ ৫১৯ প্রশ্নঃ সহবাসের সময় হাঁচি হলে নির্দিষ্ট যিকির পড়া যাবে কি?
উত্তরঃ এই সময় মুখে যিকির পড়া যাবে না। মনে মনে পড়লে দোষ নেই। পেশাব পায়খানা করা অবস্থায় নবী () সালামের জবাব দেননি। ৬২৫ (মুসলিম ৩৭০ নং)
 ✔ ৫২০ প্রশ্নঃ শরীয়তে সমমৈথুন প্রসঙ্গে বিধান কি?
উত্তরঃ সমমৈথুনঃ পুরুষ সঙ্গম বা পুরুষ-পুরুষে পায়ুপথে কুকর্ম করাকে বলে। আর এরই অনুরূপ স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করাও। এটা সেই কুকর্ম, যা লুত (রঃ) ের সম্প্রদায় করেছিল। যেমন মহান আলাহ বলেন,
মানুষের মধ্যে তোমরা তো কেবল পুরুষদের সাথেই উপগত হও। ” (সূরা শূআরা ১৬৫ আয়াত)
তিনি আরও বলেন,
তোমরা তো কাম তৃপ্তির জন্য নারী ত্যাগ করে পুরুষদের নিকট গমন কর!” (সূরা আরাফ ৮১ আয়াত)
আল্লাহ তাঁদেরকে এই কুকাজের শাস্তি স্বরূপ তাঁদের ঘর বাড়ী উল্টে দিয়েছিলেন এবং আকাশ থেকে তাঁদের উপর বর্ষণ করেছিলেন পাথর। তিনি বলেন,
“(অতঃপর যখন আমার আদেশ এলো) তখন আমি (তাঁদের নগরগুলোকে) ঊর্ধ্বভাগকে নিম্নভাগে পরিণত করেছিলাম এবং আমি তাঁদের উপর ক্রমগত কঙ্কর বর্ষণ করেছিলাম।” (সূরা হিজর ৭৪ আয়াত)
সুতরাং উক্ত সম্প্রদায়ের মতো কুকর্মে যে লিপ্ত হবে সেও উপর্যুক্ত শাস্তির উপযুক্ত। তাই এমন দুরাচার প্রসঙ্গে কিছু সাহাবা (রঃ) এর ফতোয়া হল, তাকে জ্বালিয়ে মারা হবে। কেউ কেউ বলেন, উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হবে। ৬২৬ (ইবনে জিবরীন)
এ বিষয়ে একাধিক হাদীসেও নবী () হতে বর্ণিত হয়েছে; এক হাদীসে তিনি বলেছেন, “যাকে লুত সম্প্রদায়ের মত কুকর্মে লিপ্ত পাবে, তাকে এবং যার সাথে এ কাজ করা হচ্ছে, তাঁকেও তোমরা হত্যা করে ফেল।৬২৭ (তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ৩৫৭৫ নং)
 ✔ ৫২১ প্রশ্নঃ গুপ্ত অভ্যাস ব্যবহার করা বৈধও কি?
উত্তরঃ গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।
কিতাব বা কুরআনের দলীল; আল্লাহ তাআলা বলেন,
যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা মুমিনূন ৫-৭)
সুতরাং যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী (৬২৮) (অধিকারভুক্ত দাসী বলতে ক্রীতদাসী ও কাফের যুদ্ধবন্দিনীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে কাজের মেয়ে, দাসী, খাদেম বা চাকরানী উদ্দেশ্য নয়।)ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা কামলালসা চরিতার্থ করতে চায়, সে ব্যক্তি এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে।বলা বাহুল্য, এই আয়াতের পরিপেক্ষিতে সে সীমালঙ্ঘঙ্কারী বলে বিবেচিত হবে।
সুন্নাহ থেকে দলীল, আল্লাহর নবী() বলেন, “হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরছে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য (খাসী করার মত) কামদমনকারীর সমান।৬২৯ (বুখারী, মুসলিম)
সুতরাং নবী () বিবাহে অসমর্থ ব্যক্তিকে রোযা রাখতে আদেশ করলেন, অথচ যদি হস্তমৈথুন বৈধ হত, তবে নিশ্চয় তিনি তা করতে নির্দেশ দিতেন। অতএব তা সহজ হওয়া স্বত্বেও যখন তিনি তা করতে নির্দেশ দিলেন না, তখন জানা গেল যে তা বৈধ নয়।
আর সুচিন্তিত মত এই যে, যেহেতু এই কাজে বহুমুখী ক্ষতি ও অনিষ্টের আশঙ্কা রয়েছে, যা চিকিৎসাবিদগণ উল্লেখ করে থাকেন; এতে এমন ক্ষতি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বড় বিপদ বিপজ্জনক; এ কাজ যৌনশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে, চিন্তাশক্তি ও দূরদর্শিতার ক্ষতি সাধন করে এবং কখনো বা এর অভ্যাসী ব্যক্তিকে প্রকৃত দাম্পত্যসুখ থেকে বঞ্চিত করে। কারণ যে কেউ এ ধরনের অভ্যাসে নিজ কাম-লালসাকে চরিতার্থ করে থাকে, সে হয়তো বা বিবাহের প্রতি ভ্রূক্ষেপই করবে না। ৬৩০ (ইবনে উষাইমীন)
 ✔ ৫২২ প্রশ্নঃ লিঙ্গ স্পর্শ না করে স্ত্রী সহবাসের কথা কল্পনা করে বীর্যপাত করা কি বৈধ?
উত্তরঃ না এ কাজ বৈধ নয়। কারণ তা ব্যাভিচারের দিকে আকর্ষণ করতে পারে। যুবকের উচিত বিবাহের আগে অথবা স্ত্রীর নিকটবর্তী হওয়ার আগ পর্যন্ত সুচিন্তা করা। কুচিন্তা এসে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে কল্পনা বিহার না করা। ৬৩১ (লাজনাহ দায়েমাহ)
 ✔ ৫২৩ প্রশ্নঃ স্ত্রীর যোনিপথ সংকীর্ণ হলে স্বামী তার পায়খানারদ্বারে সঙ্গম করতে পারে কি?
উত্তরঃ স্ত্রীর যোনিপথ সংকীর্ণ ও সঙ্গমের অযোগ্য হলে স্বামী তার পায়খানারদ্বারে সঙ্গম করতে পারে না। যেমন সঙ্গমযোগ্য যোনি না থাকলে সেই স্ত্রীকে স্বামী তালাক দিতে পারে। যেহেতু পায়ুপথ সঙ্গমস্থল নয়। তা হলে তাকে তালাক দেওয়া বৈধ হতো না। ৬৩২ (আযওয়াউল বায়ান ১/৯৪ দ্রঃ)
 ✔ ৫২৪ প্রশ্নঃ মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে ধারনা করে স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় খুন দেখা গেলে গোনাহ হবে কি? অতঃপর করণীয় কি?
উত্তরঃ প্রবল ধারণায় যখন বুঝা যাবে যে, মহিলা পবিত্র হয়ে গেছে, তখন তাকে গোসল করে স্বলাত রোযা করতে হবে। কিন্তু স্বলাত রোযা শুরু করবার পর অথবা স্বামী সঙ্গমের পর যদি পুনরায় খুন দেখে তাহলে গোনাহ হবে না। যেহেতু খুন থাকা অবস্থায় মাসিক জেনে সঙ্গম করলে গোনাহ হবে। অবশ্য যদি সেই খুন অভ্যাসগত প্রিয়ডের ভিতরে হয়, তাহলে তা মাসিকের খুন। সুতরাং অতপর পুনরায় স্বলাত রোযা ও সঙ্গমাদি বন্ধ করতে হবে। পক্ষান্তরে তা যদি প্রিয়ডের বাইরে হয়, তাহলে তা মাসিকের খুন নয়, তাকে ইস্তিহাযার খুন বলে। তাতে কোন দোষ হবে না। তবে মহিলার উচিত, অভ্যাসগত প্রিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুন বন্ধ দেখে স্বামী সহবাসে তড়িঘড়ি না করা। উচিত হল, সাদা স্রাব বের হতে শুরু না হওয়া পর্যন্ত অথবা পরিপূর্ণরূপে খুন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অথবা প্রিয়ডের গনা দিন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। নচেৎ স্ত্রী জেনেশুনে বাঁধা না দিলে তার গোনাহ হবে। ৬৩৩ (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল-মুনাজ্জিদ)
 ✔ ৫২৫ প্রশ্নঃ প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে মিলন হারাম। কিন্তু সেই অবস্থায় স্বামী নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?
উত্তরঃ মহান আল্লাহ বলেছেন,
লোকেরা তোমাকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে। তুমি বোল, তা অশূচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রব কালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন কর। এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য)তাঁদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাঁদের নিকট ঠিক সেই ভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)
কিন্তু নিকটবর্তী হয়ো নার অর্থ হল সঙ্গমের জন্য তাঁদের কাছে যেও না। অর্থাৎ যোনিপথে সঙ্গম হারাম। পায়খানারদ্বারেও সঙ্গম হারাম। আল্লাহর রাসুল () বলেন,
আল্লাহ আযযা অজাল্ল (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির দিকে তাকিয়েও দেখবেন না, যে ব্যক্তি কোন পুরুষের মলদ্বারে অথবা কোন স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে।৬৩৪ (তিরমিযী, ইবনে হিব্বান, নাসাঈ, সহিহুল জামে ৭৮০১ নং)
তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি কোন ঋতুমতী স্ত্রী (মাসিক অবস্থায়) সঙ্গম করে অথবা কোন স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাস করে, অথবা কোন গনকের কাছে উপস্থিত হয়ে (সে যা বলে তা) বিশ্বাস করে, সে ব্যক্তি মুহাম্মাদ () এর উপর অবতীর্ণ কুরআনের সাথে কুফরী করে।” (অর্থাৎ কুরআনকেই সে অবিশ্বাস অ অমান্য করে। কারণ, কুরআনে এক সব কুকর্মকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।) ৬৩৫ (আহমাদ ২/৪০৮, ৪৭৬, তিরমিযী, সহীহ ইবনে মাজাহ ৫২২ নং)
তাহলে যৌন ক্ষুধা মিটাতে এ সময় করা যায় কি? এর উত্তর দিয়েছেন মহানবী ()তিনি বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।৬৩৬ (মুসলিম ৩০২ নং)
তা বলে কি মুখ-মৈথুন করা যাবে? না, কারণ যে মুখে আল্লাহর যিকির হয়, সে মুখকে এমন কাজে ব্যবহার রুচিবিরুদ্ধ কাজ। অবশ্য উরু-মৈথুন করা যায়। তবে সতর্কতার সাথে, যাতে প্রস্রাব বা পায়খানারদ্বারে সঙ্গম হয়ে বসে। যদিও মা আয়েশা (রঃ) বলেছেন, “নবী () মাসিকের সময় আমাদের যৌনাঙ্গে কাপড় রাখতে বলতেন। অতঃপর শয্যাসঙ্গী হতেন। তবে তিনি ছিলেন জিতেন্দ্রিয়।৬৩৭ (বুখারি, মুসলিম) তবুও কাপড় না রেখে যদি ঊরু মৈথুন করে, তবে তা হারাম নয়। ৬৩৮ (ইবনে বায)
 ✔ ৫২৬ প্রশ্নঃ নিয়মিত মাসিক হওয়ার পরও অনেক সময় খুন দেখা যায়, সে সময় কি সহবাস বৈধ?
উত্তরঃ নিয়মিত মাসিকের পরে অথবা প্রসবের চল্লিশদিন পরেও যে অতিরিক্ত খুন দেখা যায়, তাতে সহবাস বৈধ এবং স্বলাত রোযা ওয়াজেব। একে ইস্তিহাযার খুন বলে। এ খুন হায়যের মতো নয়।
 ✔ ৫২৭ প্রশ্নঃ মাসিক অবস্থায় স্বামী আমার দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে আমার কি করা উচিত?
উত্তরঃ মাসিক অবস্থায় স্বামী নিজ স্ত্রীর দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে এবং তার ফলে স্ত্রীরও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রশ্রাব পায়খানার দ্বার সাবধানে হেফাজত করবে। নচেৎ সঙ্গম ঘটে গেলে সেও গোনাহগার হবে।

✔ ৫২৮ প্রশ্নঃ শুনেছি মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে এক দীনার (সওয়া চার গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা তার মূল্য, না পারলে এর অর্ধ পরিমাণ অর্থ) সদকাহ করে কাফফারা দিতে হবে। ৬৩৯ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ১২২ পৃঃ)কিন্তু স্ত্রী যদি সেই সময় মিলনে এমনভাবে উত্তেজিত করে, যাতে স্বামী তা দমন করতে না পেরে মিলন করে ফেলে, তাহলে কাফফারা কাকে দিতে হবে?
উত্তরঃ কাফফারা দিতে হবে স্ত্রীকে। আর স্বামীকেও দিতে হবে। যেহেতু সে ইচ্ছা করলে নাও করতে পারত। পক্ষান্তরে স্বামী জোড় পূর্বক করলে এবং স্ত্রী বাঁধা দিতে না পারলে তার গোনাহ হবে না এবং তাকে কাফফারা দিতে হবে না।
 ✔ ৫২৯ প্রশ্নঃ মাসিক অবস্থায় সঙ্গম হারাম। কিন্তু স্ত্রীর দেহের অন্যান্য জায়গায় বীর্যপাত করা যায় কি না?
উত্তরঃ উত্তম হল স্ত্রীকে জাঙ্গিয়া পরিয়ে দেহের যে কোন জায়গায় বীর্যপাত করা। অবশ্য যে নিজের মনোবলে সঙ্গম থেকে বাঁচতে পারবে, তার জাঙ্গিয়া না পরালেও চলবে। পরন্ত স্ত্রীর মুখে বীর্যপাত করা বিকৃত রুচির মানুষের ঘৃণ্য আচরণ। আর পায়খানার দ্বারে সঙ্গম হারাম এবং এক প্রকার কুফরি।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
লোকেরা তোমাকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে। তুমি বোল, তা অশূচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রব কালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন কর। এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য)তাঁদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাঁদের নিকট ঠিক সেই ভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)
আর মহানবী () বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।
তবে সতর্কতার বিষয় যে, নিষিদ্ধ জায়গার আশেপাশে থাকতে থাকতে যেন উত্তেজনার চরম মুহূর্তে সেই জায়গায় প্রবেশ না হয়। আল্লাহর রাসুল () বলেছেন, “পাপ আল্লাহর সংরক্ষিত চারণভূমি। যে ঐ চারণভূমির ধারে পাশে চরবে, সে অদুরে সম্ভবতঃ তার ভিতরেও চরতে শুরু করে দেবে।৬৪১ (বুখারি, মুসলিম)
 ✔ ৫৩০ প্রশ্নঃ হস্ত মৈথুন যুবক যুবতী কারোর জন্যও বৈধ নয়। কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রী একে অপরের হস্ত দ্বারা মৈথুন করে, তাহলেও কি তা অবৈধ হবে?
উত্তরঃ স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন মৈথুন অবৈধ নয়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন, “(সফল মুমিন তারা,) যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যাতীত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালঙ্ঘকারী।” (মুমিনূনঃ ৫-৭, মাআরিজঃ ২৯-৩১)
সুতরাং অবৈধ হল নিজের হাতে নিজের বীর্যপাত। স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের হাত দ্বারা বীর্যপাত অবৈধ নয়।
আর মহানবী () ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে যৌনাচার করার ব্যপারে বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।৬৪২ (মুসলিম ৩০২ নং)
 ✔ ৫৩১ প্রশ্নঃ সন্তান মায়ের স্তনবৃন্ত চুষে দুগ্ধপান করে। মিলনের পূর্বে স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করা কি স্বামীর জন্য বৈধ? পরন্ত অসাবধানতায় যদি পেতে দুধ চলে যায়, তাহলে কি স্ত্রী মায়ের মত হারাম হয়ে যাবে?
উত্তরঃ স্বামীর জন্য বৈধ তার স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করে উভয়ের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। সে ক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর দুধ তার পেটে চলে যায়, তাহলে তাতে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না এবং স্ত্রী তার মা হয়ে যায় না। কারণ দুধ পানের মাধ্যমে হারাম হওয়ার যে সব শর্ত আছে, তা হলঃ
১। দুই বছর বয়সের মধ্যে দুধ পান করতে হবে। সুতরাং তার পরে বড় অবস্থায় দুধ পান করলে হারাম হবে না।
২। পাঁচবার পান করতে হবে।
সুতরাং ২/৪ বার পান করলে কোন প্রভাব পড়ে না। আর বড় অবস্থায় ৫ বারের বেশী পান করলেও কোন ক্ষতি হয় না। ৬৪৩ (ইবনে বায, ইবনে উষাইমীন)
 ✔ ৫৩২ প্রশ্নঃ শিঙ্গারের সময় স্তনবৃন্ত চুষতে গিয়ে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেতে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?
উত্তরঃ রতিক্রীড়ার সময় স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেটে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর মা হয়ে যাবে না। কারণ দুধ পান করিয়ে মাহওয়ার দুটি শর্ত আছেঃ (এক) দুধ পান যেন বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার হয়। (দুই) দুধপান যেন দুধপানের বয়সের ভিতরে হয়। আর তা হল দুই বৎসর বয়সের ভিতরে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,
আমি তো মানুষকে তার পিতা মাতার প্রতি সদাচারনের নির্দেশ দিয়েছি। জননি কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দু বছর অতিবাহিত হয়।” (লুকমানঃ ১৪)
জননীগণ তাঁদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে; যদি কেউ দুধ পান করার সময় পূর্ণ করতে চায়। (বাকারাহঃ ২৩৩)
সুতরাং দুবছর বয়সের পড়ে দুধপান করলে মা প্রমাণিত হবে না। আর মাপ্রমাণিত না হলে স্ত্রী হারাম হবে না। ৬৪৫ (ইবনে উষাইমীন)
 ✔ ৫৩৩ প্রশ্নঃ সহবাসের সময় আমার স্বামী প্রবল উত্তেজনাবসতঃ এমন অনেক অশালীন কথা বলে, যে কথা অন্য সময় বলে না। অনেক সময় সে সব বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাতে কি তার পাপ হবে?
উত্তরঃ স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে যৌনতা করা হয়, সেটাই অন্যের সাথে করা অশালীনতা অ অসভ্যতা। সুতরাং আপসের সঙ্গম বৈধ হলে প্রবল উত্তেজনার পূর্বে তৃপ্তি গ্রহণ করতে ঐ শ্রেণীর কোন কথা বলা দূষণীয় নয়। তবে তা না বললে যদি চলে, তাহলে ত্যাগ করাই উত্তম। ৬৪৬(মুহাম্মাদ স্বালেহ আল মুনাজ্জিদ)
 ✔ ৫৩৪ প্রশ্নঃ সন্তান প্রসবের পর কখন মিলন বৈধ হয়।
উত্তরঃ সন্তান প্রসবের পর যখন রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকেই মিলন বৈধ। স্রাব অব্যাহত থাকলে ৪০ দিন পর্যন্ত অবৈধ। ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে স্রাব থাকলেও মিলন বৈধ।
 ✔ ৫৩৫ প্রশ্নঃ স্বামী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবককে এবং স্ত্রী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবতীকে কল্পনায় এনে তৃপ্তি নিতে পারে কি?
উত্তরঃ এই শ্রেণীর কল্পিত পরপুরুষ বা পরস্ত্রির সহবাস এক প্রকার ব্যভিচার। সহবাসের সময় স্ত্রীর জন্য বৈধ নয় অন্য কোন সুন্দর অ সুস্বাস্থ্যবান পুরুষকে কল্পনা করা এবং স্বামীর জন্যও বৈধ নয় অন্য সুন্দরী অ সুস্বাস্থ্যবতী যুবতীকে কল্পনা করা। বৈধ নয়, পরপুরুষ বা পরস্ত্রীর নাম নিয়ে উভয়ের তৃপ্তি নেওয়া অথবা উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। মনে মনে যাকে ভালবাসে, তার সাথে মিলন করছে খেয়াল করা। উলামাগন বলেন, “ যদি কেউ এক গ্লাস পানি মুখে নিয়েও কল্পনা করে যে, সে মদ খাচ্ছে, তাহলে তা পান করা হারাম।৬৪৭(মাদখাল ২/১৯৪, ফুরু ৩/৫১, ত্বারহুত তাষবীর ২/১৯)
 ✔ ৫৩৬ প্রশ্নঃ একাধিক স্ত্রীর মাঝে সমতা ইনসাফ বজায় রাখা ওয়াজেব। রাত্রিবাস সবার সাথে সমান ভাবে করলেও মিলন সকলের সাথে হয়ে ওঠে না। তাতে কি আমি গোনাহগার হব?
উত্তরঃ একাধিক স্ত্রীর মাঝে ভালবাসাকে যেমন সমানভাবে ভাগ করে বণ্টন করা যায় না, তেমনি আকর্ষণ ও মিলনও সবার সাথে সমান হওয়া জরুরী নয়। তবে নিজের পক্ষ থেকে অনিচ্ছা প্রকাশ করা উচিত নয়। কোন স্ত্রী না চাইলে ভিন্ন কথা। কিন্তু চাইলে তার হক আদায় করা উচিত এবং সে ক্ষেত্রে সকলের মাঝে সমতা বজায় রাখা কর্তব্য।

✔ ৫৩৭ প্রশ্নঃ ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মিলন করতে পারে?
উত্তরঃ যদি স্বামী এতই ধৈর্যহারা হয়, তাহলে তা অবৈধ বলা যাবে না। যেহেতু সে সময় তাঁদের জন্য তা বৈধ। অবশ্য সুন্নত হল খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করা। কিন্তু সেই সুন্নত পালনে কেউ যদি আধৈর্য হয়, তাহলে পেটের ক্ষুধা মিটাবার আগে যৌন ক্ষুধা মিটাবার দরজা উন্মুক্ত আছে। ইবনে উমার ল কোন কোন দিন সহবাস দ্বারা ইফতার করতেন বলে বর্ণিত আছে।৬৪৮ (ত্বারাবানী)
 ✔ ৫৩৮ প্রশ্নঃ রোযা রেখে মহিলা যদি মহিলা ডাক্তার না পেয়ে পুরুষ ডাক্তারের কাছে এমন রোগ দেখাতে যায়, যাতে ডাক্তার তার লজ্জাস্থান হাত প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। তাহলে তাতে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কি?
উত্তরঃ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তা করলে তাতে তার রোযা ভাঙ্গবে না। বরং স্বামীও যদি খেলার ছলে নিজ আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তবুও তার রোযা ভাঙ্গবে না। যেহেতু তার দলীল নেই। আর তা সহবাসও নয়।
 ✔ ৫৩৯ প্রশ্নঃ বৃহস্পতিবার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না বলে নফল রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আসার পর অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?
উত্তরঃ নফল রোযা রাখার পর ইচ্ছা করে ভেঙ্গে ফেললে কোন ক্ষতি হয় না। তা কাযা করাও ওয়াজেব নয়। সুতরাং আপনার স্বামীর উক্ত আচরণে কাফফারা ওয়াজেব নয়।

✔ ৫৪০ প্রশ্নঃ রমযানের কাযা রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু একদিন আমার স্বামী অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?
উত্তরঃ ফরয রোযা কাযা করার সময় তা ভেঙ্গে ফেলা বৈধ নয়। সুতরাং আপনার স্বামীর উক্ত আচরণ সঠিক নয়। তার উচিত, আল্লাহর কাছে তওবা করা। অবশ্য কাফফারা ওয়াজেব নয়। কারণ, সে কাজ রমযানের বাইরে তাই।
 ✔ ৫৪১ প্রশ্নঃ কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব পায়খানা নিষেধ, কিন্তু স্ত্রী সহবাস বৈধ কি?
উত্তরঃ কিবলামুখী হয়ে স্বামী স্ত্রী সহবাস করা অবৈধ এমন কোন দলীল নেই। যারা স্ত্রী সহবাসকে প্রস্রাব পায়খানা করার মতো মনে করেন, তারা অবশ্য তা অবৈধ বলেন। আর যাঁদের নিকট ঘরের ভিতর কিবলামুখে প্রস্রাব পায়খানা বৈধ, তাঁদের নিকট স্ত্রী সহবাসও বৈধ। আল্লাহু আলাম।
 ✔ ৫৪২ প্রশ্নঃ সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কি কোন ক্ষতি আছে?
উত্তরঃ সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কোন ক্ষতি নেই। তা দেখলে কোন পাপও হয় না এবং চোখেরও কোন ক্ষতি হয় না। তিনি আমার লজ্জাস্থান দেখেননি এবং আমি তার লজ্জাস্থান দেখিনি”-বলে মা আয়েশা (রঃ)র প্রচলিত উক্তি সহীহ নয়। 
 ✔ ৫৪৩ প্রশ্নঃ সহবাস চলাকালে কথা বললে কি কোন ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ সহবাস চলাকালে স্বামী স্ত্রীতে কথা বললে কোন ক্ষতি নেই। সে সময় কথা বললে সন্তান বোবা হয়---এ ধারনা সঠিক নয়।৬৪৯ (তুহফাতুল আরুস দ্রঃ)
 ✔ ৫৪৪ প্রশ্নঃ গর্ভাবস্থায় সঙ্গম বৈধ কি?
উত্তরঃ শরীয়তে গভাবস্থায় সঙ্গম নিষিদ্ধ নয়। ভ্রূণের কোন ক্ষতির আশংকা না থাকলে গর্ভাবস্থায় সঙ্গমে দোষ নেই। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে পেটে চাপ না পড়ে। অবশ্য শেষের দিকে না করাই উচিত। যেহেতু বলা হয় যে, তাতে ব্যাকটেরিয়াগত কোন ক্ষতির আশংকা থাকে। যেমন যে মহিলার গর্ভপাত হয়, তার সাথে প্রথম তিন মাস সঙ্গম না করতে ডাক্তারগন উপদেশ দিয়ে থাকেন।
 ✔ ৫৪৫ প্রশ্নঃ মিলন তৃপ্তির কথা স্বামী কি তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী কি তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে?
উত্তরঃ মিলন তৃপ্তির কথা স্বামীর তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে না, বিশেষ করে যদি তারা অবিবাহিত হয়। মজাকছলে হলেও সে কথা কারো কাছে বলা বৈধ নয়।
আল্লাহর রাসুল () বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যাক্তি হবে, যে স্ত্রীর সাথে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।৬৫০ (মুসলিম)
আসমা বিন্তে ইয়াযিদ (রঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রাসুল () এর নিকট ছিলাম, আর তার সেখানে অনেক পুরুষ ও মহিলা বসেছিল। তিনি বললেন, “সম্ভবতঃ কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর সাথে যা করে, তা (অপরের কাছে) বলে থাকে এবং সম্ভবতঃ কোন মহিলা নিজ স্বামীর সাথে যা করে, তা (অপরের নিকট)বলে থাকে?” এ কথা শুনে মজলিসের সবাই কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থেকে গেল। আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ। আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসুল! মহিলারা তা বলে থাকে এবং পুরুষেরাও তা বলে থাকে।অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা এরূপ করো না। যেহেতু এমন ব্যক্তি তো সেই শয়তানের মত, যে কোন নারী শায়ত্বনকে রাস্তায় পেয়ে সঙ্গমে করতে লাগে, আর লোকেরা তার দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে।৬৫১ (আহমাদ, ইবনে আবী শাইবাহ, আবূ দাঊদ, বাইহাকী প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ১৪৩ পৃঃ)

✔ ৫৪৬ প্রশ্নঃ গোসল করার মত পানি নেই জেনেও কি মিলন করা বৈধ?
উত্তরঃ গোসল করার মত পানি নেই জেনেও মিলন অবৈধ নয়। মিলনের সময় মিলন বৈধ। স্বলাতের সময় পানি না পাওয়া গেলে যথানিয়মে তায়াম্মুম করে নামাজ বৈধ। আবু যার পানি না থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী মিলন করলে নবী () তাকে তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “দশ বছর যাবত পানি না পাওয়া গেলে মুসলিমের ওযুর উপকরণ হল পাক মাটি। পানি পাওয়া গেলে গোসল করে নাও।৬৫২(আহমাদ, আবূ দাঊদ ৩৩৩ নং)
 ✔ ৫৪৭ প্রশ্নঃ হাদিসে আছে, “যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে এবং সে না আসে, অতঃপর সে (স্বামী) রাগাম্বিত অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে ফিরিশতাগণ তাকে সকাল অবধি অভিশম্পাত করতে থাকেন।কিন্তু বাসায় পানি না থাকার ফলে ফজরের নামাজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে যদি আমি মিলনে রাজি না হই, তাহলে তাতেও কি আমি অভিশপ্তা হব?
উত্তরঃ পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া যাবে। সুতরাং সেই ওজরে স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেয়া উচিত নয়। যেহেতু শরীয়তে এমন বিধান নেই যে পানি না থাকলে তোমরা নাপাক হয়ো না। বরং বিধান হল, “হে বিশ্বাসিগন! তোমরা নেশার অবস্থায় স্বলাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা কি বলছ, টা বুঝতে পার এবং অপবিত্র অবস্থায়ও নয়, যদি তোমরা পথচারী না হও, যতক্ষণ না তোমরা গোসল কর। অথবা যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পায়খানা (শৌচস্থান) হতে আসে অথবা অথবা তোমরা নারী সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও, তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর; (তা) মুখে ও হাতে বুলিয়ে নেবে। নিশ্চয় আল্লাহ পরম মার্জনাকারী, অত্যান্ত ক্ষমাশীল।” (সূরা নিসা ৪৩)
হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা স্বলাতের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর। আর তোমরা যদি অপবিত্র থাক, তাহলে বিশেষভাবে (গোসল করে) পবিত্র হও। যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব পায়খানা করে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রী সহবাস কর এবং পানি না পাও, তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর; তা দিয়ে তোমাদের মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় মাসাহ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান ও তোমাদের প্রতি তার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (মায়িদাহঃ ৬)
 ✔ ৫৪৮ প্রশ্নঃ স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেওয়া অথবা মিলন না দিয়ে তাকে রাগান্বিত করা অভিশাপের কাজ জানি। কিন্তু সে যদি অবৈধ মিলন প্রার্থনা করে এবং তাতে রাজি না হই, তাহলেও কি অভিশপ্তা হব ?
উত্তরঃ স্বামী যদি অবৈধ মিলন চায় এবং তাকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে যদি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন বা তার অবাধ্যচরণ হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে অভিশাপ আসার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কোন সৃষ্টির বাধ্য হওয়া যাবে না।৬৫৩ (আহমাদ, হাকেম, মিশকাত ৩৬৯৬ নং) সুতরাং স্বামী যদি রমযানের দিনে অথবা মাসিক অবস্থায় মিলন চায় অথবা পায়খানার দ্বারে সঙ্গম করতে চায়, তাহলে স্ত্রীর তাতে সম্মত হওয়া বৈধ নয়। তাতে সে রাগারাগি করলেও সে রাগ তার অন্যায়। সে স্বামী একজন যালেম। আর স্ত্রীর উচিত, যালেম স্বামীর সাহায্য করা। একদা রাসুলুল্লাহ () বললেন, “তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক বা অত্যাচারিত।আনাস (রঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! অত্যাচারিত কে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম; কিন্তু অত্যাচারীকে কিভাবে সাহায্য করব?’ তিনি বললেন, “তুমি তাকে অত্যাচার করা হতে বাঁধা দেবে, তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে।৬৫৪ (বুখারী)
 ✔ ৫৪৯ প্রশ্নঃ আমরা নতুন বর কনে। ইসলামের বিধান মানার ব্যাপারেও আমাদেরকে নতুন বলতে পারেন। আমরা জানতে চাই, আমাদের প্রেমকেলিতে কোন সময় গোসল করা ফরয হয় এবং কোন সময় হয় না।
উত্তরঃ স্বামী স্ত্রীর যৌন জীবনে বিভিন্ন অবস্থা হতে পারে এবং সেই অবস্থা অনুযায়ী বলা যাবে, কখন গোসল ফরয এবং কখন তা ফরয নয়। স্পর্শ, চুম্বন দংশন, মর্দন, প্রচাপন ইত্যাদিড় ক্ষেত্রে যদি প্রস্রাবদ্বার থেকে আঠালো তরল পদার্থ বের হয়, তাহলে তাতে গোসল ফরয নয়। তাতে ওযু নষ্ট হয়ে যায়। কাপড়ে লাগলে পানির ছিটা দিয়ে পবিত্র করতে হয় এবং প্রস্রাবদ্বার ধুতে হয়।
কিন্তু প্রচাপনের সময় প্রবল উত্তেজনায় যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে গোসল ফরয হয়ে যায়।
পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ (সুপারি) যোনিপথে প্রবেশ করলেই উভয়ের জন্য গোসল ফরয হয়ে যায়। তাতে বীর্যপাত হোক, চাহে না হোক।
যোনিপথের বাইরে স্ত্রী দেহের উপরে বা তার হাতে বীর্যপাত হলে কেবল স্বামীর উপর গোসল ফরয, স্ত্রীর উপর নয়। অবশ্য সে প্রেম কেলিতে যদি স্ত্রীর বীর্যপাত না হয় তাহলে। মত কথা, বীর্যপাত গোসল ফরয হওয়ার একটি কারণ।
 ✔ ৫৫০ প্রশ্নঃ সঙ্গমে লিপ্ত অবস্থায় কলিংবেল বেজে উঠায় উঠে গিয়ে দরজা খুলি এবং তার পর আর সুযোগ হয়নি এবং আমাদের বীর্যপাতও হয়নি। এতে কি গোসল জরুরী?
উত্তরঃ সঙ্গমে লিপ্ত হলেই এবং লিঙ্গাগ্র (সুপারি) যোনিপথে প্রবেশ করালেই গোসল ফরয। তাতে বীর্যপাত হোক বা না হোক।
 ✔ ৫৫১ প্রশ্নঃ বীর্যপাত হলে গোসল ফরয। লিঙ্গাগ্র স্ত্রীলিঙ্গে প্রবেশ করলে এবং বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয। কিন্তু নিরোধ ব্যবহার করে প্রবেশ করালে এবং বীর্যপাত না হলে কি গোসল ফরয ?
উত্তরঃ মহানবী () বলেছেন, “যখন স্বামী তার স্ত্রীর চার শাখা (দুই হাত ো পায়ের) ফাকে বসবে এবং লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ করবে, তখন গোসল ওয়াজেব হয়ে জাবে।৬৫৫ (মুসলিম ৩৪৯ নং) নিরোধ ব্যবহার করে লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ না হলেও যেহেতু প্রবেশ করিয়ে তাতে যৌনতৃপ্তি অর্জন হয়, সেহেতু গোসল করতে হবে।
 ✔ ৫৫২ প্রশ্নঃ আমি একজন বিধবা যুবতী। অনেক সময় স্বপ্নে দেখি, আমি পূর্ণ তৃপ্তির সাথে সহবাস করছি। কিন্তু ঘুম ভাঙবার পর শরমগাহে কোন অতিরিক্ত তরল পদার্থ লক্ষ্য করি না। এতে কি আমার জন্য গোসল ফরয হবে?
উত্তরঃ শরমগাহে বীর্য লক্ষ্য না করলে গোসল ফরয নয়। ৬৫৭ (ইবনে উসাইমীন, মুমতে ১/২৩৪) যুবক ও যদি স্বপ্নে সহবাস করে এবং ঘুমিয়ে উঠে বীর্য না দেখে, তাহলে গোসল ফরয নয়। যেমন ঘুমিয়ে উঠে কাপড়ে বীর্য দেখলে এবং স্বপ্নদোষ হওয়ার কথা মনে না থাকলেও গোসল ফরয।
 ✔ ৫৫৩ প্রশ্নঃ সহবাসের পর সত্বর গোসল করা কি জরুরী?
উত্তরঃ সহবাসের পর সত্বর গোসল করে নেওয়া উত্তম। নচেৎ ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাছাড়া হটাৎ এমন প্রয়োজনও পড়তে পারে, যাতে গোসল করা জরুরী। অবশ্য নিশ্চিন্ত হলে ঘুমোবার আগে অথবা কাজকর্ম বা পানাহার করার আগে ওযু করে নেওয়া মুস্তাহাব।৬৫৮ (বুখারী ৩৮৩, মুসলিম ৩০৫-৩০৬ নং)
 ✔ ৫৫৪ প্রশ্নঃ স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য কি ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা বৈধ নয়?
উত্তরঃ স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা অবৈধ নয়। যা অবৈধ, তা হল, স্বলাত, কাবা-ঘরের তওয়াফ, মসজিদে অবস্থান, কুরআন স্পর্শ ও তিলাঅত। এ ছারা অন্যান্য কাজ বৈধ।
একদা আবূ হুরাইরা এর সাথে মহানবী () এর মদীনার এক পথে দেখা হল। সে সময় আবূ হুরায়রা অপবিত্রাবস্থায় ছিলেন। তিনি সরে গিয়ে গোসল করে এলেন। নবী () তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় গিয়েছিলে আবূ হুরায়রা!তিনি বললেন, ‘আমি অপবিত্র ছিলাম। তাই সেই অবস্থায় আপনার সাথে বসাটাকে অপছন্দ করলাম।নবী () বললেন, “সুবহানাল্লাহ! মুমিন অপবিত্র হয় না।৬৫৯ (বুখারী ২৭৯, মুসলিম ৩৭১ নং)অর্থাৎ মুসলিম অভ্যান্তরিকভাবে অপবিত্র হলেও বাহ্যিকভাবে সে অপবিত্র হয় না বা অস্পৃশ্য হয়ে যায় না।
 ✔ ৫৫৫ প্রশ্নঃ গোসলের পর প্রস্রাব দ্বার থেকে বীর্য বের হতে দেখলে কি পুনরায় গোসল করতে হবে?
উত্তরঃ গোসলের পর প্রস্রাবদ্বারে থেকে বীর্য বের হলে তা উত্তেজনাবশতঃ নয়, বরং তা কোনভাবে ভিতরে আটকে থাকা বীর্য। সুতরাং তাতে পুনরায় গোসল করা ওয়াজেব নয়। তা প্রস্রাবের মতো, তা পুনরায় ধুয়ে ফেলে ওযু করলেই যথেষ্ট। ৬৬০ (ইবনে বায)
 ✔ ৫৫৬ প্রশ্নঃ মিলনের পর বাথরুমে প্রস্রাব করতে গিয়ে দেখি মাসিক শুরু হয়ে গেছে। তাহলে আমাকে কি মিলনের গোসল করতে হবে?

উত্তরঃ স্বামী সহবাসের পর মাসিক শুরু হয়ে গেলে গোসল ফরয নয়। কারণ সে ফরয পালনে কোন লাভও নেই। সে গোসলের পর সে পবিত্র হবে না। সুতরাং মাসিক বন্ধ হওয়ার পর গোসল ফরয। কিন্তু মাসিক অবস্থায় যদি কুরআন মুখস্থ পড়তে হয়, তাহলে তাঁকে গোসল করতে হবে। কারণ বীর্যপাত ঘটিত অপবিত্রতায় সঠিক মতে কুরআন পড়া বৈধ নয়। ৬৬১ (শায়খ সাদ আল-হুমাইদ) 
যৌন জীবন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর

নং
যৌন জীবন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
৫১১
  রুমে কেবল স্বামী স্ত্রী থাকলে শরীরে  কোন কাপড় না রেখে কি ঘুমানো যায়?
৫১২
  স্বামী স্ত্রী একে অপরের গোপন অঙ্গ দেখতে পারবে কি?
৫১৩
  শুনেছি, সহবাসের সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হতে নেই, রুম অন্ধকার রাখতে হয়, একে অপরের লজ্জাস্থান দেখতে নেই ইত্যাদি। তা কি ঠিক?
৫১৪
  কোন কোন সময় স্ত্রী সহবাস নিসিদ্ধ? শুনেছি অমবশ্যা ও পূর্ণিমার রাত্রিতে সহবাস করতে হয় না। এ কথা কি ঠিক?
৫১৫
  সহবাসের  জন্য দুআর নির্দেশ স্বামীকে দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল, স্ত্রীর জন্যও কি দুআ পড়া বিধেয়?
৫১৬
  সহবাসের আগে দুআ পড়লে শায়ত্বন ক্ষতি করতে পারে না। ক্ষতি করতে না পারার অর্থ কি?
৫১৭
  আমি বিবাহিত। আমার সন্তান হয় না। টিউবের মাধ্যমে সন্তান নেব ইচ্ছা করেছি। আমি চাই আমার সন্তানকে যেন শায়ত্বন ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
৫১৮
  স্ত্রী গর্ভবতী থাকা অবস্থায়ও কি সহবাসের সময় দুআ পড়তে হবে?
৫১৯
  সহবাসের সময় হাঁচি হলে নির্দিষ্ট যিকির পড়া যাবে কি?
৫২০
  শরীয়তে সমমৈথুন প্রসঙ্গে বিধান কি?
৫২১
  গুপ্ত অভ্যাস ব্যবহার করা বৈধও কি?
৫২২
  লিঙ্গ স্পর্শ না করে স্ত্রী সহবাসের কথা কল্পনা করে বীর্যপাত করা কি বৈধ?
৫২৩
  স্ত্রীর যোনিপথ সংকীর্ণ হলে স্বামী তার পায়খানারদ্বারে সঙ্গম করতে পারে কি?
৫২৪
  মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে ধারনা করে স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় খুন দেখা গেলে গোনাহ হবে কি? অতঃপর করণীয় কি?
৫২৫
  প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে মিলন হারাম। কিন্তু সেই অবস্থায় স্বামী নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?
৫২৬
  নিয়মিত মাসিক হওয়ার পরও অনেক সময় খুন দেখা যায়, সে সময় কি সহবাস বৈধ?
৫২৭
  মাসিক অবস্থায় স্বামী আমার দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে আমার কি করা উচিত?
৫২৮
  শুনেছি মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে এক দীনার (সওয়া চার গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা তার মূল্য, না পারলে এর অর্ধ পরিমাণ অর্থ) সদকাহ করে কাফফারা দিতে হবে। ...
৫২৯
  মাসিক অবস্থায় সঙ্গম হারাম। কিন্তু স্ত্রীর দেহের অন্যান্য জায়গায় বীর্যপাত করা যায় কি না?
৫৩০
  হস্ত মৈথুন যুবক যুবতী কারোর জন্যও বৈধ নয়। কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রী একে অপরের হস্ত দ্বারা মৈথুন করে, তাহলেও কি তা অবৈধ হবে?
৫৩১
  সন্তান মায়ের স্তনবৃন্ত চুষে দুগ্ধপান করে। মিলনের পূর্বে স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করা কি স্বামীর জন্য বৈধ?
৫৩২
  শিঙ্গারের সময় স্তনবৃন্ত চুষতে গিয়ে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেতে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?
৫৩৩
  সহবাসের সময় আমার স্বামী প্রবল উত্তেজনাবসতঃ এমন অনেক অশালীন কথা বলে, যে কথা অন্য সময় বলে না। তাতে কি তার পাপ হবে?
৫৩৪
  সন্তান প্রসবের পর কখন মিলন বৈধ হয়।
৫৩৫
  স্বামী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবককে এবং স্ত্রী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবতীকে কল্পনায় এনে...
৫৩৬
  একাধিক স্ত্রীর মাঝে সমতা ইনসাফ বজায় রাখা ওয়াজেব। রাত্রিবাস সবার সাথে সমান ভাবে করলেও মিলন সকলের সাথে হয়ে ওঠে না। তাতে কি আমি গোনাহগার হব?
৫৩৭
  ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মিলন করতে পারে?
৫৩৮
  রোযা রেখে মহিলা যদি মহিলা ডাক্তার না পেয়ে পুরুষ ডাক্তারের কাছে এমন রোগ দেখাতে যায়, যাতে ডাক্তার তার লজ্জাস্থান হাত প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। তাহলে...
৫৩৯
  বৃহস্পতিবার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না বলে নফল রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আসার পর অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?
৫৪০
  রমযানের কাযা রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু একদিন আমার স্বামী অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?
৫৪১
  কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব পায়খানা নিষেধ, কিন্তু স্ত্রী সহবাস বৈধ কি?
৫৪২
  সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কি কোন ক্ষতি আছে?
৫৪৩
  সহবাস চলাকালে কথা বললে কি কোন ক্ষতি হয়?
৫৪৪
  গর্ভাবস্থায় সঙ্গম বৈধ কি?
৫৪৫
  মিলন তৃপ্তির কথা স্বামী কি তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী কি তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে?
৫৪৬
  গোসল করার মত পানি নেই জেনেও কি মিলন করা বৈধ?
৫৪৭
  বাসায় পানি না থাকার ফলে ফজরের নামাজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে যদি আমি মিলনে রাজি না হই, তাহলে তাতেও কি আমি অভিশপ্তা হব?
৫৪৮
  স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেওয়া অথবা মিলন না দিয়ে তাকে রাগান্বিত করা অভিশাপের কাজ জানি। কিন্তু সে যদি অবৈধ মিলন প্রার্থনা করে এবং তাতে রাজি না হই...
৫৪৯
  আমরা নতুন বর কনে। ইসলামের বিধান মানার ব্যাপারেও আমাদেরকে নতুন ,জানতে চাই, আমাদের প্রেমকেলিতে কোন সময় গোসল করা ফরয হয় এবং কোন সময় হয় না।
৫৫০
  সঙ্গমে লিপ্ত অবস্থায় কলিংবেল বেজে উঠায় উঠে গিয়ে দরজা খুলি এবং তার পর আর সুযোগ হয়নি এবং আমাদের বীর্যপাতও হয়নি। এতে কি গোসল জরুরী?
৫৫১
  বীর্যপাত হলে গোসল ফরয। লিঙ্গাগ্র স্ত্রীলিঙ্গে প্রবেশ করলে এবং বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয। কিন্তু নিরোধ ব্যবহার করে প্রবেশ করালে এবং বীর্যপাত না হলে কি গোসল ফরয ?
৫৫২
  আমি একজন বিধবা যুবতী। অনেক সময় স্বপ্নে দেখি, আমি পূর্ণ তৃপ্তির সাথে সহবাস করছি। কিন্তু ঘুম ভাঙবার পর শরমগাহে কোন অতিরিক্ত তরল পদার্থ লক্ষ্য করি না...
৫৫৩
  সহবাসের পর সত্বর গোসল করা কি জরুরী?
৫৫৪
  স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য কি ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা বৈধ নয়?
৫৫৫
  গোসলের পর প্রস্রাব দ্বার থেকে বীর্য বের হতে দেখলে কি পুনরায় গোসল করতে হবে?
৫৫৬
  মিলনের পর বাথরুমে প্রস্রাব করতে গিয়ে দেখি মাসিক শুরু হয়ে গেছে। তাহলে আমাকে কি মিলনের গোসল করতে হবে?

আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite

Post a Comment

0 Comments