সাজসজ্জা ও প্রসাধন
✔ ৫৫৭ প্রশ্নঃ বিনা
অহংকারে পরিহিত বস্ত্র গাঁটের নিচে ঝুলানো হারাম কি না?
উত্তরঃ পুরুষদের জন্য পরিহিত
বস্ত্রপায়ের গাঁটের নিচে ঝুলান হারাম, তাতে
অহংকারের উদ্দেশ্য হোক অথবা অহংকারের উদ্দেশ্যে না হোক। তবে যদি তা অহংকারের
প্রকাশের উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তার শাস্তি অধিকতর কঠিন ও
বড়। যেহেতু সহীহ মুসলিমের আবূ যার (রঃ)কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে নবী (ﷺ)বলেন, “তিন ব্যক্তির সাথে
কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, তাঁদের প্রতি তাকাবেন
না, তাঁদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাঁদের জন্য
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হবে।” আবূ যার (রঃ)বলেন, ‘তারা কারা?
হে আল্লাহর রাসুল! তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’ তিনি বলেলেন,
“গাঁটের নিচে যে কাপড় ঝুলায়, কিছু দান
করে ‘দিয়েছি’ বলে অনুগ্রহ প্রকাশকারী এবং মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্যদ্রব্য বিক্রেতা।”
৬৬২ (মুসলিম ১০৬ নং ও আসহাবুস সুনান)
এই হাদিসটি অনির্দিষ্ট। কিন্তু তা ইবনে উমার
রাযিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট, যাতে
নবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি অহংকারে তার কাপড় (মাটিতে) ছেঁচড়ায় তার দিকে আল্লাহ তাকিয়ে
দেখবেন না”৬৬৩ (বুখারী ৫৭৮৪ নং, মুসলিম ২০৮৫ নং)সুতরাং
আবূ যারের হাদীসে অনির্দিষ্ট উক্তি ইবনে উমারের হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট হবে। যদি
অহংকার সহ কাপড় লটকায়, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি দেখাবেন না,
তাঁকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য হবে কষ্টদায়ক আযাব। আর এই
শাস্তি সেই শাস্তি অপেক্ষাও বৃহত্তর, যে শাস্তি
নিরহংকারের সাথে গাঁটের নিচে লুঙ্গি নামিয়ে থাকে এমন ব্যক্তির হবে; যে ব্যক্তি প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) বলেন, “গাঁটের নিচের লুঙ্গি জাহান্নামে।”৬৬৪ (বুখারী ৫৭৮৭ নং ও আহমাদ
২/৪১০)অতএব শাস্তি যখন পৃথক পৃথক হল, তখন অনির্দিষ্টকে
নির্দিষ্টের উপর আরোপ করা অসঙ্গত হবে। কারণ অনির্দিষ্টকে নির্দিষ্টের উপর আরোপ
করার নিয়মে শর্ত এই যে, উভয় দলীলের নির্দেশ অভিন্ন হবে।
কিন্তু যদি নির্দেশ ভিন্ন হয়, তবে এককে অপরের সাথে
নির্দিষ্ট করা যাবে না। এই জন্যই তায়াম্মুমের আয়াতকে যাতে আল্লাহ বলেন, “তা তোমাদের মুখে ও হাতে বুলাবে।” ওযুর আয়াত দ্বারা নির্দিষ্ট করি না,
যাতে আল্লাহ বলেন, “তা তোমাদের মুখে ও
হাতে বুলাবে।” ওযুর আয়াত দ্বারা নির্দিষ্ট করি না, যাতে
আল্লাহ বলেন, “তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত
করবে।”(সূরা মায়েদাহ ৬ আয়াত)সুতরাং তায়াম্মুম(মাসাহ করা)হাতের কনুই পর্যন্ত হবে
না। (যদিও ওযুতে হাতের কনুই পর্যন্ত ধুতে হয়।)
ইমাম মালেক প্রভৃতিগন যা আবু সাঈদ খুদরী (রঃ)
থেকে বর্ণনা করেছেন, তা এই কথার প্রতিই নির্দেশ
করে। যাতে নবী (ﷺ) বলেন, “মুমিনদের লুঙ্গি তার অর্ধ পদনালী (হাঁটু হতে গড়ালি পর্যন্ত পায়ের অংশ
বা ঠ্যাং)পর্যন্ত। আর গাঁটের নিচে যা হবে তা দোযখে হবে। আর যে ব্যক্তি অহংকারের
সাথে তার পরিহিত লেবাস (লুঙ্গি, প্যান্ট, পায়জামা, ধুতি, কামীস
ইত্যাদি)মাটির উপর ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ায় তার প্রতি আল্লাহ (তাকিয়েও)দেখবেন না।” অতএব
নবী (ﷺ)একই হাদীসে দু’টি উদাহরণ পেশ করেন এবং উভয়ের শাস্তি পৃথক হওয়ার কারণে
উভয়ে নির্দেশের ভিন্নতাও বিবৃত করেন। সুতরাং উক্ত দুইজন কর্মে ভিন্ন, নির্দেশে ভিন্ন এবং শাস্তিতেও পৃথক। এই থেকে তাঁদের ভুল স্পষ্ট হয়,
যারা তার উক্ত(গাঁটের নিচে যা তা দোযখে)কে (যে ব্যক্তি অহংকারের
সাথে তার কাপড় ছেঁচড়ে বেড়ায় তার প্রতি আল্লাহ তাকাবেন না।) এই উক্তি দ্বারা
নির্দিষ্ট করে।
আবার কতক মানুষ কাছে যাদেরকে গাঁটের নিচে
লুঙ্গি বা প্যান্ট ঝুলতে নিষেধ করলে বলে, “আমি
অহংকারের উদ্দেশ্যে ঝুলাইনি তো।”
কিন্তু আমরা তাঁদেরকে বলি যে, গাঁটের নিচে কাপড় ঝুলানো দুই প্রকার; প্রথম
প্রকার – যার শাস্তি, মানুষকে কেবল সেই স্থানে আযাব দেওয়া
হবে, যে স্থানে সে (শরীয়তের)অন্যথাচরণ ও অবাধ্যতা করে এবং
তা হচ্ছে গাঁটের নিচের অংশ, যার উপর নিরহংকারে কাপড়
ঝুলায়। অতএব এ ব্যক্তিকে কেবল অবাধ্যতার অঙ্গে শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ যাতে
অবাধ্যতা বা অন্যথাচরণ করছে, কেবল তার বদলায় তাঁকে
জাহান্নাম আযাব দেওয়া হবে, আর তা হচ্ছে যা গাঁটের নিচে
নামে। কিন্তু এই অবাধ্যাচারীর এই শাস্তি হবে না যে, তার
প্রতি আল্লাহ তাকাবেন না এবং তাকে পবিত্র করবেন না। (কারণ, তার অহংকার নেই।) আর দ্বিতীয় প্রকার শাস্তি; কিয়ামতের
দিন আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন না, তার প্রতি তাকাবেন না,
তাঁকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হবে। আর
এটা তার জন্য হবে, যে তার পরিহিত বস্ত্রকে পায়ের গাঁটের
নিচে অহংকারের সাথে মাটিতে ছেঁচড়ে নিয়ে বেড়ায়। এরূপই তাঁকে বলি।৬৬৫ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৫৫৮ প্রশ্নঃ মহিলার
দেহ থেকে লোম তুলে ফেলা কি বৈধ?
উত্তরঃ মহিলাদের দেহে তিন
প্রকার লোম আছে।
(ক) যা তুলে
ফেলা ওয়াজেব। যেমন বগল ও গুপ্তাঙ্গের লোম।
(খ) যা তুলে
ফেলা হারাম। যেমন ভ্রুর লোম।
(গ) যে লোম
তোলার ব্যাপারে কোন আদেশ নিষেধ নেই, তা
তুলে ফেলা বৈধ। যেমন পিঠ বা পায়ের লোম। অনুরূপ চেহারার পুরুষের মতো দাড়ি গোঁফের
অস্বাভাবিক লোম।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব
নারীদের উপর, যার দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যার
উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু
করে, যার সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে,
যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।” জনৈক মহিলা এ
ব্যাপারে তাঁর (ইবনে মাসঊদের) প্রতিবাদ করলে তিনি বললেন, “আমি কি তাঁকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর
রাসুল (ﷺ) অভিসম্পাত
করেছেন এবং আল্লাহর কিতাবে আছে?” আল্লাহ
বলেছেন, “রাসুল (ﷺ)যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।”
(সূরা হাশর ৭ আয়াত)
✔ ৫৫৯ প্রশ্নঃ পুরুষদের
জন্য সোনা ব্যবহার হারাম। কিন্তু শোনা যায়, চার
আনা পরিমাণ নাকি জায়েয, যাতে বিপদে কাজে আসে। --- এ কথা
কি ঠিক?
উত্তরঃ পুরুষের জন্য সোনার
চেন, ঘড়ি, আংটি,
বোতাম, কলম ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ নয়।
যেহেতু মহানবী (ﷺ) বলেন, “সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম
করা হয়েছে।”৬৬৭ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ৪৩৪১ নং)
ইবনে আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রাসুল (ﷺ) এক
ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তিনি তাঁর হাত থেকে তা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন
এবং বললেন, “তোমাদের কেউ কি ইচ্ছাকৃত
দোযখের আঙ্গারকে হাতে নিয়ে ব্যবহার করে?”
অতঃপর নবী (ﷺ) চলে গেলে
লোকটিকে বলা হল, ‘’তোমার আংটিটা কুড়িয়ে
নিয়ে অন্য কাজে লাগাও। (অথবা তা বিক্রয় করে মূল্যটা কাজে লাগাও।) কিন্তু লোকটি বলল,
“আল্লাহর কসম! আমি আর কক্ষনো তা গ্রহণ করব না, যা আল্লাহর রাসুল (ﷺ) ছুঁড়ে
ফেলে দিয়েছেন।” ৬৬৮(মুসলিম ২০৯০ নং)
প্রকাশ থাকে যে, ব্যতিক্রমভাবে পুরুষের জন্য সোনার নাক বাঁধার
অনুমতি রয়েছে ইসলামে। সাহাবী আরফাজার নাক কাটা
গেলে নবী (ﷺ) তাঁকে
সোনার নাক বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।৬৬৯ (আহমাদ ১৮৫২৭, আবূ দাঊদ ৪২৩২, তিরমিযী ১৭৭০, নাসাঈ ৫১৬১ নং)
প্রয়োজনে সোনার তাঁর দিয়ে দাঁত বাঁধতে অথবা
সোনার দাঁত বাঁধিয়ে ব্যবহার করাতেও অনুমতি আছে শরীয়তে।
পক্ষান্তরে চার আনা সোনার আংটি ব্যবহারের
বৈধতা শরীয়তে নেই। বিপদ প্রয়োজনে যে কোন স্বর্ণটুকরা হাতে না রেখে সাথেও তো রাখা
যায়।
প্রকাশ থাকে যে, সোনা দিয়ে পালিশ করা জিনিসেও যেহেতু সোনা থাকে, সেহেতু টা পুরুষের জন্য ব্যবহার বৈধ নয়।৬৭০ (ইবনে জিবরীন)
✔ ৫৬০ প্রশ্নঃ পুরুষদের
জন্য সোনা ছাড়া অন্য ধাতুর চেন পরা কি বৈধ?
উত্তরঃ যে অলংকার সাধারণতঃ
মহিলাদের, তা পুরুষদের পরা বৈধ নয়।
গলার চেন, কানের দুল, হাতে বালা
ইত্যাদি পুরুষরা পরতে পারে না। কারণ তাতে মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়। যেমন
মহিলারা পুরুষদের মতো প্যান্ট শার্ট পরতে পারে না। কারণ তাতে পুরুষদের সাদৃশ্য
অবলম্বন হয়। আল্লাহর রাসুল (ﷺ) নারীর বেশ
ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহর রাসুল (ﷺ) মহিলাদের
সাদৃশ্য অবলম্বনকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।’৬৭১ (বুখারী)
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) সেই
পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন, ‘যে মহিলার পোশাক
পরে এবং সেই মহিলাকে অভিসম্পাত করেছেন যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে।’৬৭২ (আবূ
দাঊদ)
✔ ৫৬১ প্রশ্নঃ পাকা চুল
দাড়িতে কি কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ?
উত্তরঃ পাকা চুল দাড়ি সাদা
না রেখে রাঙিয়ে রাখা তাকীদাপ্রাপ্ত সুন্নত। তবে তাতে কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ নয়।
জাবের (রঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিনে আবু
কুহাফাকে আনা হল। তখন তাঁর চুল দাড়ি ছিল ‘ষাগামা’ ফুলের মত সাফেদ (সাদা)। নবী (ﷺ) বললেন, ‘কোন রঙ দিয়ে এই সাফেদিকে বদলে ফেল। আর কালো রঙ থেকে ওঁকে দূরে রাখ।’৬৭৩
(মুসলিম, মিশকাত ৪৪২৪ নং)
আর সকলের উদ্দেশ্যে সাধারণ নির্দেশ দিয়ে
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “শেষ যামানায় এমন এক শ্রেণীর লোক হবে; যার
পায়রার ছাতির মত কালো কলপ ব্যবহার করবে, তারা জান্নাতের
সুগন্ধও পাবে না।”৬৭৪ (আবূ দাউদ ৪২১২, নাসাঈ, সহীহুল জামে ৮১৫৩ নং)
✔ ৫৬২ প্রশ্নঃ মুসলিম
মহিলার জন্য শাড়ি পরা কি বৈধ?
উত্তরঃ শাড়ি যদি সারা দেহকে
ঢেকে নেয়, তাহলে বৈধ। বলা বাহুল্য,
পেট-পিঠ বের করে রেখে অথবা পাতলা শাড়ি পরা বৈধ নয়। অনুরূপ এমন
লেবাসও বৈধ নয় যাতে নারী দেহের কোনও সৌন্দর্য প্রকাশ প্রকাশ পায়। যে নারীরা এমন
শাড়ি বা লেবাস পরে, তারা সেই নারীদলের অন্তর্ভুক্ত,
যাঁদের ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামবাসী হবে, যাঁদেরকে
এখনো আমি দেখিনি। তন্মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই মহিলাদল, যারা কাপড় পরা সত্বেও যেন উলঙ্গ থাকবে, (যারা
পাতলা অথবা খোলা লেবাস পরিধান করবে।) এরা (পর পুরুষকে নিজের প্রতি) আকৃষ্ট করবে
এবং নিজেরাও (তাঁর প্রতি) আকৃষ্ট হবে; তাঁদের মাথা হবে
হিলে যাওয়া উটের কুজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তাঁর সুগন্ধও পাবে না।
অথচ তারা এত এত দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।”৬৭৫ (মুসলিম ২১২৮ নং)
✔ ৫৬৩ প্রশ্নঃ সৌন্দর্যের
জন্য ভ্রু চাঁছা কি বৈধ?
উত্তরঃ বৈধও নয়। কারণ
‘আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা
দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু করে, যারা সৌন্দর্যের
মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আলাহর সৃষ্টির
মধ্যে পরিবর্তন আনে।’৬৭৬ (বুখারী, মুসলিম)
✔ ৫৬৪ প্রশ্নঃ হাতের নখ
লম্বা করা কি হারাম?
উত্তরঃ হাতের নখ কেটে ফেলা
প্রকৃতিগত সুন্নত। নবী (ﷺ)বলেছন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের
তারীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ, (১)
খাতনা (লিঙ্গাত্বক ছেদন)করা। (২) লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা। (৩) নখ
কাটা। (৪) বগলের লোম ছিঁড়া। (৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।”৬৭৭ (বুখারী ো মুসলিম)
আনাস (রঃ) বলেন, “মোছ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভির
নিচের লোম চাঁছা এবং বোগলের লোম তুলে ফেলার ব্যাপারে আমাদেরকে সময় বেঁধে দেওয়া
হয়েছে; যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী ছেড়ে না
রাখি।”৬৭৮ (মুসলিম ২৫৮ নং)
তাছাড়া তাতে রয়েছে জন্তু-জানোয়ার ও কিছু কাফের
মহিলাদের অনুকরণ ও সাদৃশ্য অবলম্বন, যা
মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। ৬৭৯(ইবনে বায)
✔ ৫৬৫ প্রশ্নঃ নখে নখ
পালিশ লাগানো কি বৈধ?
উত্তরঃ নখে নখ পালিশ লাগানো
বৈধ। তবে উযু-গোসলের আগে তা তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ উযু গোসল শুদ্ধ হবে না। অবশ্য যে
রঙ পানি আটকায় না, সে (আলতা বা মেহেন্দি
জাতীয়) রঙ ব্যবহার করা যায়।
✔ ৫৬৬ প্রশ্নঃ বিউটি
পার্লারে সুন্দরী সাজতে যাওয়া কি মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ?
উত্তরঃ কয়েকটি কারণে বৈধ
নয়ঃ-
(ক) অপ্রয়োজনে
তাতে অর্থের অপচয় হয়।
(খ) পুরুষ কর্মচারীর স্পর্শ নিতে হয়।
(গ) অপরের সামনে লজ্জাস্থান খুলতে হয়।
(ঘ) সৌন্দর্যে অনেক ক্ষেত্রে কাফের মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়।
(ঙ) অনেক সময় গুপ্ত ক্যামেরায় মহিলার নগ্ন ছবি ধরে রাখা ও নেটে প্রচার
করা হয়।
✔ ৫৬৭ প্রশ্নঃ স্বামীর
চোখে অধিক সুন্দরী সাজার জন্য কি মাথার পরচুলা, নকল
চুল বা টেসেল ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ মহিলার সুকেশ
সৌন্দর্যের অন্যতম। মাথায় আদৌ চুল না থাকলে ত্রুটি ঢাকার জন্য পরচুলা ব্যবহার করা
যায়। কিন্তু অধিক চুল দেখাবার জন্য তা বৈধ নয়। যেহেতু ‘যে অপরের মাথার পরচুলা
বেঁধে দেয় এবং সে নিজের মাথায় তা বাঁধে, এমন
উভয় মহিলাকেই নবী (ﷺ) অভিশাপ
করেছেন।’৬৮১ (বুখারী ৫৯৪১, মুসলিম ২১২২,
ইবনে মাজাহ ১৯৮৮ নং)
✔ ৫৬৮ প্রশ্নঃ সৌন্দর্যের
জন্য প্লাস্টিক সার্জারি বৈধ কি?
উত্তরঃ প্লাস্টিক সার্জারি
দুটি উদ্দেশ্যে করা হয়ঃ আঙ্গিক ত্রুটি দূরীকরণের উদ্দেশ্যে অথবা অতিরিক্ত সৌন্দর্য
আনয়নের উদ্দেশ্যে। প্রথম উদ্দেশ্যে বৈধ। যেমন বিকৃত ও কুশ্রী মুখমণ্ডলে সৌন্দর্য
আনায়নের উদ্দেশ্যে করা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় উদ্দেশ্যে বৈধ নয়। কারণ তাতে আল্লাহর সৃষ্টিতে
বিকৃতি সৃষ্টি করা হয়। যা শয়তানের প্ররোচনায় করা হয়। (সূরা নিসা ১১৯ আয়াত)
আর মহানবী (ﷺ) (হাত
বা চেহারায়) দেগে যারা নকশা করে দেয় অথবা করায়, চেহারা
থেকে যারা লোম তুলে ফেলে (ভ্রু চাছে), সৌন্দর্য আনার জন্য
যারা দাঁতের মাঝে ঘসে (ফাঁক ফাঁক করে) এবং আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটায়
(যাতে তাঁর অনুমতি নেই) এমন সকল মহিলাদেরকে আল্লাহর অভিশাপ দিয়েছেন।৬৮২ (বুখারী
৪৮৮৬ নং, মুসলিম ২১২৫ নং, আসহাবে
সুনান)
✔ ৫৬৯ প্রশ্নঃ বৈধ
খেলাধুলার সময় শর্ট প্যান্ট পরা কি বৈধ কি?
উত্তরঃ যে প্যান্টে জাং খোলা
যায়, সে প্যান্ট পরাই বৈধ নয়। হাঁটু পর্যন্ত
প্যান্ট পরে খেলাধুলা করা বা সাঁতার কাটা যায়। জাং খোলা খেলোয়ারের খেলা দেখাও
দর্শকের জন্য বৈধ নয়।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “তুমি তোমার ঊরু খুলে রেখো না এবং কোন জীবিত অথবা মৃতের উরুর দিকে
তাকিয়ে দেখো না।”৬৮৩ (আবূ দাঊদ, সহীহুল জামে ৭৪৪০ নং)
অন্যত্র বলেন, “তুমি
তোমার জাং ঢেকে নাও। কারণ, জাং হল লজ্জাস্থান।”৬৮৪ (আহমাদ,
আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম ইবনে হিব্বান, সহীহুল জামে ৭৯০৬ নং)
পক্ষান্তরে কিশোরী ও যুবতীদের জন্য বৈধ নয় কোন
পুরুষ (প্রশিক্ষক বা অন্য পুরুষের) সামনে অনুরূপ ব্যায়াম, শরীর-চর্চা বা খেলাধুলা করা অথবা সাঁতার কাটা বৈধ নয় এবং তা দর্শন করাও
বৈধ নয়।
✔ ৫৭০ প্রশ্নঃ বাড়িতে
পাখি পোষা কি জায়েয়?
উত্তরঃ সৌন্দর্য ও বিলাসিতার
জন্য পিঞ্জারা বা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রেখে পাখি পোষা, হওয
বা পাত্রের মধ্যে পানি রেখে মাছ পোষা বৈধ, যদি সঠিকভাবে
খেতে পান করতে দেওয়া হয় এবং কোন প্রকারে যুলুম না করা হয়।
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেন, “একজন মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গেছে, যাকে সে বেঁধে রেখে খেতে দেয়নি এবং ছেড়েও দেয়নি; যাতে সে নিজে স্থলচর কীটপতঙ্গ ধরে খেত।”৬৮৫ (বুখারী ২৩৬৫, ৩৪৮২, মুসলিম ২২৪২ নং)
বুঝা গেল, যদি
তাকে খেতে দিত, তাহলে জাহান্নামে যেত না।৬৮৬ (ইবনে বায)
✔ ৫৭১ প্রশ্নঃ চোখের
ভিতরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা কি বৈধ?
উত্তরঃ প্রয়োজন হলে অবশ্যই
বৈধ। তবে বিনা প্রয়োজনে কেবল চোখের সৌন্দর্য আনয়নের জন্য অর্থের অপচয় ঘটানো ঠিক
নয়। বৈধ নয় অনুরূপ সৌন্দর্য নিয়ে কাউকে ধোঁকা দেওয়া।৬৮৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
✔ ৫৭২ প্রশ্নঃ নক্সাদার
বোরখা পরা কি বৈধ?
উত্তরঃ মহিলার লেবাসের
সৌন্দর্য; দৃষ্টি-আকর্ষী রঙ, নক্সা, ফুল ইত্যাদি গোপন করার জন্যই বোরখা বা
চাদর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই বোরখা বা চাদরই যদি জরিদার, এমব্রয়ডারি করা, ফুলছাপা ইত্যাদি হয়, তাহলে তো আর উপরে আরো একটা বোরখা পরা ওয়াজেব হয়ে যায়। সুতরাং চাদর বা
বোরখা সাদা-সিধা হবে, যা সৌন্দর্য গোপন করবে এবং বিতরণ
করবে না। যা দেখে পুরুষের মনে শ্রদ্ধা সৃষ্টি করবে এবং আকর্ষণ সৃষ্টি করবে না।৬৮৮
(ইবনে জিবরীন)
✔ ৫৭৩ প্রশ্নঃ চোখের
পাতায় অতিরিক্ত লোম বা ল্যাশ লাগানো বৈধ কি?
উত্তরঃ বৈধ নয়। এটাও পরচুলা
লাগানোর মতো জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে। আর এমন প্রসাধিকা মহিলা অভিশপ্তা। ৬৮৯ (ইবনে
জিবরীন)
✔ ৫৭৪ প্রশ্নঃ শিশু
কিশোরীকে বুক ওঠার আগে বগল কাটা ফ্রক পরানো কি বৈধ নয়?
উত্তরঃ মুসলিম মায়ের উচিত, শৈশব থেকেই মায়ের ইসলামী লেবাসে অভ্যস্ত করে তোলা। কিশোরী মেয়ের প্রতি
পাশবিক অত্যাচারের খবর প্রায় শোনা যায়। সুতরাং তাঁর প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা আদৌ
উচিত নয়। বলা বাহুল্য, শেলোয়ারের সাথে ফুল হাতা কামিস বা
ফ্রকই পরানো উচিত। সেই সাথে মাথায় ওড়না। যাতে শৈশব থেকেই তাঁর মনে লজ্জাশীলতা,
অপ্রগলভতা ও ধর্মভীরুতা স্থান করে নিতে পারে।
✔ ৫৭৫ প্রশ্নঃ হাদিসে
এসেছে, ‘সাধাসিদা বা আড়ম্বরহীন হয়ে থাকা
ঈমানের অন্ত ভুক্ত।’ তাঁর মানে কি সৌন্দর্য অবলম্বন করা ঈমানের আলামত নয়?
উত্তরঃ উক্ত হাদীসের অর্থ হল, লেবাসে-পোশাকে মুসলিম অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ি,
বিলাসিতা ও অপচয় করবেনা। তাঁর পোশাকে জাঁকজমক, ঠাটবাট ও আড়ম্বর থাকবে না। নচেৎ সৌন্দর্য অবলম্বন করা দোষের নয়।
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, “যার হৃদয়ে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না।” এক ব্যক্তি
বলল, ‘লোকে তো পছন্দ করে যে, তাঁর
পোশাক ও জুতা সুন্দর হোক (তাহলে সে ব্যক্তির কী হবে?)’ নবী (ﷺ) বললেন, “অবশ্যই আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। (সুতরাং সুন্দর
জামা পোষাক পরায় অহংকার নেই।) অহংকার হল, হোক (সত্য)
প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে ঘৃণা করারা নাম।” ৬৯০ (মুসলিম ৯১ নং, তিরমিযী, হাকেম ১/২৬)
যেমন সাদাসিধা হয়ে থাকার মানে এও নয় যে, মুসলিম ন্যালাখ্যাপা হয়ে থাকবে, লেবাসে পোশাকে
নোংরা হয়ে থাকবে এবং তাঁর দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হবে। যেহেতু পবিত্রতা ও
পরিচ্ছন্নতাও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।৬৯১ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৫৭৬ প্রশ্নঃ হাদীসের
নির্দেশমতে বগলের লোম ছিঁড়ে বা তুলে ফেলতে হয়। কিন্তু আমাকে তা কষ্টকর মনে হয়।
সুতরাং তা যদি কেটে বা চেঁছে ফেলি অথবা কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
উত্তরঃ বগলের লোক ছিঁড়ে বা
তুলে ফেলতে না পারলে তা ক্ষুর বা ব্লেড দিয়ে চেঁছে ফেলা অথবা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা
অথবা কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলায় কোন দোষ নেই।৭৯২ (ইবনে জিবরীন)
✔ ৫৭৭ প্রশ্নঃ অনেক
মহিলার ধারনা, লম্বা নখে সৌন্দর্য আছে।
সুতরাং নখ লম্বা ছেড়ে রাখায় কোন দোষ আছে কি?
উত্তরঃ লম্বা নখে সৌন্দর্য
নেই। অবশ্য বিকৃত পছন্দের অনেকের নিকট তা থাকতে পারে। কিন্তু শরীয়তে নখ লম্বা করার
অনুমতি নেই। বরং মানুষের প্রকৃতি তা লম্বা রাখার বিরোধী। তাই চল্লিশ দিনের মাথায়
তা কেটে ফেলতেই হবে। মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “প্রকৃতিগত আচরণ পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ, (১) খাতনা (লিঙ্গত্বক ছেদন) করা। (২) লজ্জাস্থনের লোম কেটে পরিষ্কার করা। (৩) নখ কাটা। (৪) বগলের লোম
ছিঁড়া। (৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।”৬৯৩ (বুখারী ও মুসলিম)
আনাস (রঃ) বলেন, ‘মোছ ছাঁটা’, নখ কাটা, নাভির নিচের লোম চাঁছা এবং বগলের লোম তুলে ফেলার ব্যপারে আমাদেরকে সময়
বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী
ছেড়ে না রাখি।৬৯৪ (মুসলিম ২৫৮ নং)
✔ ৫৭৮ প্রশ্নঃ শোনা যায়, ‘মোছের পানি হারাম।’ – একথা কি ঠিক?
উত্তরঃ যে পানিতে মোছ ডুবেছে, সে পানি প্রকৃতিগতভাবে ঘৃণ্য হতে পারে। তবে সে পানি পান করা হারাম,
তা বলা যায় না। অবশ্য মোছ ছেঁটে ছোট করার নির্দেশ আছে শরীয়তে।
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা দাড়ি বাড়াও, মোছ ছোট কর, পাকা চুলে (কালো ছাড়া অন্য) খেযাব লাগাও এবং ইয়াহুদ ও নাসারার সাদৃশ্য
অবলম্বন করো না।”৬৯৫ (আহমাদ, সহীহুল জামে ১০৬৭ নং)
তিনি আরও বলেছেন, “যে ব্যক্তি তাঁর মোছ ছাঁটে না, সে আমার
দলভুক্ত নয়।”৬৯৬ (তিরমিযী ২৭৬২, সহীহুল জামে ৬৫৩৩ নং)
✔ ৫৭৯ প্রশ্নঃ চুল নখ
ইত্যাদি কেটে ফেলার পর তা দাফন করা কি বিধেয়?
উত্তরঃ সাহাবী আব্দুল্লাহ
বিন উমার কর্তৃক এরূপ আমল বর্ণিত আছে। অনেক ফুহাও তা মুস্তাহাব মনে করেন।৬৯৭ (ইবনে
উষাইমীন) আর এ কথা বিদিত যে, বহু
যাদুকর তা দিয়ে যাদুও করে থাকে। সুতরাং সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়।
✔ ৫৮০ প্রশ্নঃ দাড়ি রাখা
কি সুন্নত, নাকি ওয়াজেব?
উত্তরঃ দাড়ি রাখা সকল নবীর
সুন্নত (তরীকা)। কিন্তু উম্মতের জন্য তা পালন করা ওয়াজেব। যেহেতু আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা দাড়ি বারাওম মোছ ছোট কর, পাকা চুলে
(কালো ছাড়া অন্য) খেযাব লাগাও এবং ইয়াহুদ ও নাসারার সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।”৬৯৮
(আহমাদ, সহীহুল জামে ১০৬৭ নং)
তিনি আরো বলেছেন, “মোছ ছেঁটে ও দাড়ি রেখে অগ্নিপূজকদের বৈপরীত্য কর।”৬৯৯ (মুসলিম ২৬০ নং)
✔ ৫৮১ প্রশ্নঃ দাড়ি কি
মোটেই ছাঁটা চলবে না? নাকি সৌন্দর্যের জন্য এক
মুঠির বেশি দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়?
উত্তরঃ নবী (ﷺ)– এর ব্যাপক নির্দেশ পালন করতে গিয়ে দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া
ভাল। যেহেতু তিনি যে দাড়ি ছাঁটতেন, তাঁর সহীহ দলীল নেই।
তবে সাহাবীদের আমল থেকে বুঝা যায় যে, এক মুঠির অতিরিক্ত
দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়।
সাজসজ্জা ও প্রসাধন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
নং
|
সাজসজ্জা ও প্রসাধন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
|
৫৫৭
|
বিনা অহংকারে পরিহিত বস্ত্র গাঁটের নিচে ঝুলানো হারাম কি না?
|
৫৫৮
|
মহিলার দেহ থেকে লোম তুলে ফেলা কি বৈধ?
|
৫৫৯
|
পুরুষদের জন্য সোনা ব্যবহার হারাম। কিন্তু শোনা যায়, চার আনা পরিমাণ নাকি জায়েয, যাতে বিপদে কাজে আসে। --- এ কথা কি ঠিক?
|
৫৬০
|
পুরুষদের জন্য সোনা ছাড়া অন্য ধাতুর চেন পরা কি বৈধ?
|
৫৬১
|
পাকা চুল দাড়িতে কি কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ?
|
৫৬২
|
মুসলিম মহিলার জন্য শাড়ি পরা কি বৈধ?
|
৫৬৩
|
সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু চাঁছা কি বৈধ?
|
৫৬৪
|
হাতের নখ লম্বা করা কি হারাম?
|
৫৬৫
|
নখে নখ পালিশ লাগানো কি বৈধ?
|
৫৬৬
|
বিউটি পার্লারে সুন্দরী সাজতে যাওয়া কি মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ?
|
৫৬৭
|
স্বামীর চোখে অধিক সুন্দরী সাজার জন্য কি মাথার পরচুলা, নকল চুল বা টেসেল ব্যবহার করা যায়?
|
৫৬৮
|
সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি বৈধ কি?
|
৫৬৯
|
বৈধ খেলাধুলার সময় শর্ট প্যান্ট পরা কি বৈধ কি?
|
৫৭০
|
বাড়িতে পাখি পোষা কি জায়েয়?
|
৫৭১
|
চোখের ভিতরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা কি বৈধ?
|
৫৭২
|
নক্সাদার বোরখা পরা কি বৈধ?
|
৫৭৩
|
চোখের পাতায় অতিরিক্ত লোম বা ল্যাশ লাগানো বৈধ কি?
|
৫৭৪
|
শিশু কিশোরীকে বুক ওঠার আগে বগল কাটা ফ্রক পরানো কি বৈধ নয়?
|
৫৭৫
|
হাদিসে এসেছে, ‘সাধাসিদা বা আড়ম্বরহীন হয়ে থাকা ঈমানের অন্ত ভুক্ত।’ তাঁর মানে কি সৌন্দর্য অবলম্বন করা ঈমানের আলামত নয়?
|
৫৭৬
|
হাদীসের নির্দেশমতে বগলের লোম ছিঁড়ে বা তুলে ফেলতে হয়। কিন্তু আমাকে তা কষ্টকর মনে হয়। সুতরাং তা যদি কেটে বা চেঁছে ফেলি অথবা কেমিক্যাল দিয়ে তুলে ফেলি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
|
৫৭৭
|
অনেক মহিলার ধারনা, লম্বা নখে সৌন্দর্য আছে। সুতরাং নখ লম্বা ছেড়ে রাখায় কোন দোষ আছে কি?
|
৫৭৮
|
শোনা যায়, ‘মোছের পানি হারাম।’ – একথা কি ঠিক?
|
৫৭৯
|
চুল নখ ইত্যাদি কেটে ফেলার পর তা দাফন করা কি বিধেয়?
|
৫৮০
|
দাড়ি রাখা কি সুন্নত, নাকি ওয়াজেব?
|
৫৮১
|
দাড়ি কি মোটেই ছাঁটা চলবে না? নাকি সৌন্দর্যের জন্য এক মুঠির বেশি দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়?
|
0 Comments