গান-বাজনা,
খেলাধুলা
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite
✔ ৫৮২ প্রশ্নঃ গান-বাজনা শোনা বৈধ
কি? সেই সমস্ত টি,ভি
সিরিজ দেখা বৈধ কি? যাতে অর্ধনগ্না নারীদেহ প্রদর্শন হয়?
উত্তরঃ গান-বাজনা শোনা
হারাম। আর তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে লেশমাত্র সন্দেহ নেই। সলফে সালেহীন; সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, গান
অন্তরে মুনাফিকী (কপটতা) উদগত করে। উপরন্ত গান শোনা-অসার বাক্য শোনা এবং তার প্রতি
আকৃষ্ট হওয়ার পর্যায়ভুক্ত। আর আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা
অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য আসার বাক্য বেছে নেয় এবং
আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর
শাস্তি।” (সূরা লুকমান ৬ আয়াত)
ইবনে মাসঊদ (রঃ)উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘সেই আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই! নিশ্চয় তা (অসার
বাক্য) হচ্ছে গান।’ সাহাবাগণের ব্যাখ্যা (তফসীর) এক প্রকার দলীল। তফসীরের তৃতীয়
পর্যায়ে এর মান রয়েছে। যেহেতু তফসীরের তিনটি পর্যায়; কুরআনের
তাফসীর কুরআন দ্বারা, কুরআনের তাফসীর সুন্নাহ দ্বারা এবং
কুরআনের তাফসীর সাহাবাগণের উক্তি দ্বারা। এমনকি কিছু উলামার সিদ্ধান্ত এই যে,
সাহাবীর তাফসীর রাসূল (ﷺ) এর
তফসীরের পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু শুদ্ধ অভিমত এই যে, তা
রাসুল (ﷺ) এর
তাফসীরের পর্যায়ভুক্ত নয়। অবশ্য তা বিভিন্ন উক্তিসমূহের মধ্যে সঠিকতার অধিকতর
নিকটবর্তী।
পক্ষান্তরে গান-বাজনা শ্রবণ করার অর্থই হল, সেই কর্মে আপতিত হওয়া, যা থেকে নবী (ﷺ) সাবধান
করেছেন। বিতি বলেন, “নিশ্চয় আমার উম্মতের
মধ্যে এমন কতক সম্প্রদায় হবে যারা ব্যাভিচার, রেশম বস্ত্র,
মদ্য এবং বাদ্য-যন্ত্রকে হালাল মনে করবে।”৭০০ (বুখারী)অর্থাৎ,
তারা নারী-পুরুষের অবৈধ যৌন সম্পর্ক, মদপান
এবং রেশমের কাপড় পরাকে হালাল ও বৈধ মনে করবে অথচ তারা পুরুষ, তাঁদের জন্য রেশম বস্ত্র পরিধান বৈধ নয়। অনুরূপ মিউজিক বা বাজনা
শোনাকেও বৈধ ভাববে। আর বাদ্য-যন্ত্র, যার শব্দে মন উদাস
হয়, এমন অসার যন্ত্রকে বলে। হাদিসটিকে ইমাম বুখারী আবু
মালেক আল আশআরী অথবা আবু আমের আল আশআরী থেকে বর্ণিত করেছেন।
সুতরাং এই কথার উপর ভিত্তি করে আমি আমার
মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দের প্রতি গান-বাদ্য শ্রবণ করা থেকে সাবধান হওয়ার জন্য এই
উপদেশবানী প্রেরণ করছি। তারা যেন এমন আলেমদের কথায় ধোঁকা না খাঁয়, যারা বাদ্য যন্ত্রকে বৈধ বলে মত প্রকাশ করেছেন। যেহেতু এর অবৈধতার
সপক্ষে সমস্ত দলীল ব্যক্ত ও সুস্পষ্ট।
আর টি,ভি
সিরিজ যাতে মহিলা প্রদর্শিত হয় তা দেখাও হারাম। যেহেতু তা ফিতনা (বিঘ্ন) এবং
(অবৈধ) নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার দিকে ধাবিত করে। পরন্ত সমস্ত সিরিজের অধিকাংশই
ক্ষতিকারক। যদিও তাতে পুরুষ নারীকে এবং নারী পুরুষকে দর্শন না করে। যেহেতু এসবের
পশ্চাতে সাধারণতঃ উদ্দেশ্য থাকে সমাজেকে তার আচরণ এবং চরিত্রে ক্ষতিগ্রস্ত করা।
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন মুসলমানদেরকে এই
অনিষ্ট থেকে বাঁচান। আর আল্লহই অধিক জানেন।৭০১ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ গজলও গানের মতোই। তা
অসার ও অশ্লীল না হলে এবং শিরকে ও বিদআতমুক্ত থাকলে গাওয়া এবং শোনা বৈধ। কিন্তু
তাতে বাজনা বা মিউজিক থাকলে তা যতই ভাল ও তাওহীদমূলক হোক, গাওয়া ও শোনা বৈধ নয়।
✔ ৫৮৪ প্রশ্নঃ বিয়ে ও ঈদের সময়
‘দুফ’ বাজিয়ে ছোট ছোট মেয়েরা বৈধ গীত গাইতে পারে। অন্য খুশীর উপলক্ষ্যেও কি অনুরূপ
দুফ বাজিয়ে গীত গাওয়া যায়?
উত্তরঃ বিয়ে ও ঈদ ছাড়া অন্য
কোন খুশীর উপলক্ষ্যে ‘দুফ’ বাজানো বৈধ নয়। একদা কোন যুদ্ধ থেকে মহানবী (ﷺ) বিজয়ী হয়ে
ফিরে এলে একটি কৃশকায় দাসী এসে বলল, ‘(হে আল্লাহর রাসুল!)আমি নযর মেনেছিলাম যে, আপনি
ভালভাবে ফিরে এলে আমি আপনার কাছে দুফ বাজাব।’ নবী (ﷺ) বললেন, “তুমি যদি নযর মেনে থাকো, তাহলে তা পুরা কর। আর
না মেনে থাকলে তা করো না।” সুতরাং দাসীটি দুফ বাজাতে থাকল। ইতিমধ্যে আবু বাকর এসে
প্রবেশ করেলেন। তখনও সে বাজাতে থাকল। অন্য কেউ এসে উপস্থিত হলেও সে বাজাতে থাকল।
অবশেষে উমার প্রবেশ করলে দুফটাকে সে নিজ পেছনে লুকিয়ে কাপড়ে মুখও লুকাতে লাগল। তা
দেখে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) উমারের
উদ্দেশ্যে বললেন, “শায়ত্বনও তোমাকে ভয় পায়
হে উমার!”৭০২ (আহমাদ, তিরমিযী, সিঃ
সহীহাহ ১৬০৯ নং)
উক্ত হাদিস থেকেও বুঝা যায় যে, বিয়ে ও ঈদ ছাড়া অন্য উপলক্ষ্যে দুফ বাজানো বৈধ নয়। অবশ্য নযর পালন করা
ও সে ব্যাপারে নবী (ﷺ) এর অনুমতি
দেওয়া এ কথার দলীল যে, এ কেবল তার ফিরে আসার জন্য
নির্দিষ্ট। যেহেতু তার নিরাপদে ফিরে আসার বিষয়টি ঈদ ও বিয়ের চাইতেও বেশি খুশীর
বিষয়।৭০৩ (আলবানী)
উত্তরঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “সেই কাফেলার সঙ্গে (রহমতের)ফিরিশতা থাকেন না, যাতে
কুকুর কিংবা ঘুঙুর থাকে।”৭০৪ (মুসলিম) তিনি আরও বলেছেন, “ঘণ্টা
ও ঘুঙুর শয়তানের বাঁশি।”৭০৫ (বুখারী ও মুসলিম)
সুতরাং অপ্রয়োজনে তা ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে
প্রয়োজনে হারিয়ে যাবার ভয়ে পশুর গলায়, টেলিফোনের
বা মোবাইলের রিং-টনে, এলার্ম ঘড়িতে, বাড়ীর কলিং বেল ইত্যাদিতে ব্যবহার করা দূষণীয় নয়।৭০৬ (ইবনে জিবরীন)
প্রকাশ থাকে যে, এ সব ক্ষেত্রে মিউজিক জাতীয় কিছু ব্যবহার করা বৈধ নয়। বৈধ হল সাধারণ
রিং।
উত্তরঃ উলামাগন স্পষ্ট ভাবে
ঘোষণা করেছেন যে, উভয় প্রকার খেলাই হারাম।
আল্লাহ তাঁদের প্রতি করুনা করুন। যেমন আমাদের শাইখ ও ওস্তাদগণ তা উল্লেখ করেছেন।
এই সিধান্তের কারণ এই যে, উভয় খেলাতে মানুষের মধ্যে
ঔদাস্য এবং আল্লাহ সুবানাল্লাহু তাআলার যিকর ও স্মরনে বাঁধা সৃষ্টি হয়। আবার কখন
কখন উভয় খেলাই খেলোয়ারদের মধ্যে শত্রুতা ও দ্বেষের কারণ হয়। পরন্ত অনেক ক্ষেত্রে ঐ
সব খেলাতে অর্থের বাজিও রাখা হয়। আর এ কথা বিদিত যে, প্রতিযোগীদের
মধ্যে প্রতিযোগিতার উপর কোন পণ বা বাজি রাখা বৈধ নয়। তবে যে প্রতিযোগিতায় বাজি
রাখায় শরীয়ত অনুমতি দিয়েছে তাতে রাখা চলে এবং তা মাত্র তিনটি প্রতিযোগিতা; তীর, উট ও ঘোড়া প্রতিযোগিতা। পক্ষান্তরে যে
ব্যাক্তি তাস ও দাবা খেলার খেলোয়াড়দের অবস্থা চিন্তা করে, সে বুঝতে পারে যে, তারা তাতে কত বেশী সময় নষ্ট
করে; যার সমস্তই আল্লাহর অনুগত্যের বাইরে এবং তাঁদের
নিজেস্ব কোন পার্থিব উপকার লাভ ছাড়াই তা অতিবাহিত করে ফেলে।
আবারও কিছু লোক বলে থাকে যে, তাস ও দাবা খেলায় নাকি ব্রেন খুলে এবং বুদ্ধি বাড়ে। কিন্তু বাস্তবে
তাঁদের দাবীর বাইরে। বরং ঐ সব খেলা ব্রেনকে ভোতা করে এবং এই প্রকার বুদ্ধিতেই
ব্রেনকে সীমাবদ্ধ করে রাখে। সুতরাং যদি কেউ তার চিন্তাশক্তিকে উক্ত পদ্ধতি ছাড়া
অন্যভাবে (ভিন্ন বিষয়ে) ব্যবহার করে, তবে সে কিছু ফল লাভ
করতে সক্ষম হবে না।
অতএব এই কথার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যে খেলা ব্রেন কে ভোতা করে এবং তাঁকে এক প্রকার বুদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ করে
রাখে সেই খেলা থেকে জ্ঞানি মানুষকে দূরে থাকা অবশ্যক।৭০৭ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ তর্কের উপর পণ রাখা
বহু লোকের নিকট বিদআত। তা এই রূপ হয় যে, দুই
ব্যক্তি কোন বিষয়ে মতভেদ করে বলে, ‘আমি যা বলছি তা যদি
সত্যি হয়, তাহলে তোমাকে এই এই লাগবে।’ এবং যা লাগবে তার
নাম নেয়া।(অর্থাৎ এত মিষ্টি খাওয়াতে হবে অথবা এতো পয়সা দিতে হবে ইত্যাদি বলে)। ‘আর
তুমি যা বলছ তা যদি সত্য বা সঠিক হয়, তাহলে আমি এই এই
দেব।’ এবং যা দেবে তার নাম নেয়। এরূপ বাজি রাখা হারাম। কারণ এ কাজ জুয়ার
পর্যায়ভুক্ত, যাকে আল্লাহ তাআলা মদের পাশাপাশি উল্লেখ করে
বলেছেন,
“হে ইমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর
ঘৃন্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর। এতে
তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শায়ত্বন তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও
বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও স্বলাতে বাঁধা দিতে চায়। অতএব
তোমরা কি নিবৃত হবে? (সূরা মাইদাহ ৯১-৯১ আয়াত)”
এই ভিত্তিতে উক্ত প্রকার জুয়াবাজি অবৈধ। কিছু
লোকেরা তাঁকে বৈধ বলে আর নিকৃষ্টতাকে অধিক বৃদ্ধি করে। যেহেতু সে অন্যায়কে ন্যায়
সাব্যস্ত করে এবং তার আসল নাম বর্জন করে ভিন্ন নামকরণ করে। আর তার উপর বৈধতার রঙ
চড়িয়ে দেয়, ফলে সে যা দাবি করে তাতে
মিথ্যুক প্রমাণিত হয় এবং যা ব্যক্ত করে, তাতে সে প্রতারক
প্রতীয়মান হয়।
উত্তরঃ পুরষ্কার যদি
প্রতিযোগী পক্ষ ছাড়া অন্য কোন পক্ষ দেয়, তাহলে
তা গ্রহণ করায় দোষ নেই। দোষ হল প্রতিযোগীদের আপসে পুরষ্কার রেখে হার-জিতে
লাভ-লোকসান হলে। যেহেতু তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত আর মহানবী (ﷺ) বলেছেন,
“উট ঘোড়া অথবা তীর প্রতিযোগিতা ছাড়া অন্য
প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার বৈধ নয়।”৭০৮ (আবূ দাউদ ২৫৭৪, তরমিজি
১৭০০)
যেহেতু এ তিনটি জিনিস জিহাদে কাজে লাগে, তাই তাতে সকল প্রকার পুরষ্কার বৈধ করা হয়েছে।৭০৯ (ইবনে উসাইমিন)
উত্তরঃ দ্বীনী ও আর্থিক নানা
ক্ষতির কারণে এ খেলা বৈধ নয়। বৈধ নয় এ খেলার কোন যন্ত্র বিক্রয় ও তার দ্বারা
ব্যবসা। ৭১০ (ইবনে জিবরিন, লাজনাহ দায়েমাহ,
বিস্তারিত দ্রঃ ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম ১২৬২-১২৭০ পৃঃ)
উত্তরঃ সতর ঢাকার মত লেবাস
পরে কুস্তি খেলা বৈধ। খোদ নবী (ﷺ) কুস্তি
লড়ে প্রসিদ্ধ কুস্তিগির রুকানাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন।৭১১(আবু দাউদ ৪০৭৮, তিরমিজি ১৭৮৫, বাইহাকি ১০/১৮, গায়াতুল মারাম ৩৭৮ নং)তবে ফ্রিস্টাইল কুস্তি বৈধ নয়। কারণ তাতে শরীর
চর্চার চাইতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ইচ্ছাই বেশী থাকে।
উত্তরঃ ষাঁড়ের সাথে এ খেলা
বৈধ নয়। কারণ এতে বড় বিপদ ও প্রাণহানির আশঙ্কা আছে।
উত্তরঃ মুষ্টিযুদ্ধ খেলা বৈধ
নয়। কারণ এ খেলা বড় ঘাত প্রতিঘাত এর খেলা। যাতে বিপদাশঙ্কা খুব বেশী। আর মহান
আল্লাহ বলেন,
“তোমরা নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না।”
(বাকারাহঃ ১৯৫)
✔ ৫৯৩ প্রশ্নঃ লটারির টিকিট কেনা কি
বৈধ? তার পুরস্কারের অর্থ কি হালাল? কোন জন কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কি লটারির খেলা ছাড়া যায়?
উত্তরঃ লটারি জুয়ার
পর্যায়ভুক্ত। সুতরাং পুরষ্কারের লোভে তার টিকেট কেনা হারাম, তার পুরষ্কার ও হারাম। আর হারাম দিয়ে কোন ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করা
প্রস্রাব দিয়ে পায়খানা ধোওয়ার মতো। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর
ঘৃন্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর। এতে
তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শায়ত্বন তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও
বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও স্বলাতে বাঁধা দিতে চায়। অতএব
তোমরা কি নিবৃত হবে? (সূরা মাইদাহ ৯১-৯১ আয়াত)”
“হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা একে অন্যের
সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, তবে তোমাদের পরস্পর
সম্মতিক্রমে ব্যবসার মাধ্যমে (গ্রহণ করলে তা বৈধ)।” (সূরা নিসাঃ ২৯)
যদিও মনে কর যে, লটারি খেলার টাকা দিয়ে মানুষের উপকার করা হয়, তবুও
জানতে হবে যে তাতে পাপ আছে। আর যাতে পুন্য ও পাপ দুটোই একই সাথে আছে তা বর্জন করাই
জ্ঞ্যানির কাজ। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“লোক তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করে। বোল উভয়ের মধ্যেই মহাপাপ ও মানুষের জন্য (যৎকিঞ্চিৎ) উপকারও আছে, কিন্তু ওদের পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।” (বাকারাহঃ ২১৯)
উত্তরঃ শিশুর মূর্তির
মাধ্যমে হাত দ্বারা পরিচালিত ঐ ফুটবল খেলা বৈধ নয়। যেহেতু তাতে শারীরিক কোন উপকার
সাধিত হয় না। পরন্ত অযথা সময় ব্যয় হয়। তাছাড়া তাতে রয়েছে মূর্তি যা ইসলামের ঘোর
পরিপন্থী। ৭১২(লাজনাহ দায়েমাহ)
ব্যায়াম চর্চা করা বৈধ। যদি তা কোন ওয়াজেব
জিনিস বা কর্ম থেকে উদাসীন ও প্রবৃত্ত করে না ফেলে। কারণ তা যদি কোন ওয়াজিব কর্ম
থেকে প্রবৃত্ত করে, তাহলে হারাম হবে। আবার যদি
ব্যায়াম করা কারো চিরচারিত অভ্যাস হয়, যাতে তার অধিকাংশ
সময় তাতেই ব্যয় হয়, তাহলে তা সময় নষ্টকারী অভ্যাস। যার
সর্বনিম্ন মান হবে মাকরূহ।
পক্ষান্তরে যদি ব্যায়ম চর্চাকারীর দেহে কেবল
হাফ প্যান্ট থাকে, যাতে তার জাং অথবা জাঙ্গের
বেশীর ভাগ অংশ দেখা যায়, তাহলে তা অবৈধ। যেহেতু শুদ্ধ
অভিমত এই যে, যুবকের জন্য তার ঊরু আবৃত করা ওয়াজিব। তাই
যদি খেলোয়াড়রা উক্ত ঊরু খোলা রাখা অবস্থায় থাকে, তাহলে
তাঁদেরকে (ও তাঁদের খেলা) দর্শন করা বৈধ নয়। ৭১৩ (ইবনে উসাইমিন)
এ তো পুরুষ ব্যায়াম চর্চাকারী ও খেলোয়াড়দের
কথা। পক্ষান্তরে চর্চাকারিণী বা খেলোয়ার যদি নারী নয়, তাহলে তার বৈধতার গাঢ়তা কত তা অনুমেয় ।
গান-বাজনা, খেলাধুলা বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
নং
|
গান-বাজনা, খেলাধুলা বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
|
৫৮২
|
গান-বাজনা শোনা বৈধ কি? সেই সমস্ত টি,ভি সিরিজ দেখা বৈধ কি? যাতে অর্ধনগ্না নারীদেহ প্রদর্শন হয়?
|
৫৮৩
|
গজল গাওয়া ও শোনা কি বৈধ?
|
৫৮৪
|
বিয়ে ও ঈদের সময় ‘দুফ’ বাজিয়ে ছোট ছোট মেয়েরা বৈধ গীত গাইতে পারে। অন্য খুশীর উপলক্ষ্যেও কি অনুরূপ দুফ বাজিয়ে গীত গাওয়া যায়?
|
৫৮৫
|
বাজানা হারাম। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে গরু ছাগলের গলায় ঘণ্টা বাঁধা বৈধ কি?
|
৫৮৬
|
তাস ও দাবা খেলা বৈধ কি?
|
৫৮৭
|
কিছু লোক তর্কের উপর বাজি রাখে এবং তা বৈধ মনে করে থাকে, আসলেই কি তা বৈধ ?
|
৫৮৮
|
প্রতিযোগিতায় বিতরিত পুরষ্কার গ্রহণ করা বৈধ কি?
|
৫৮৯
|
পকেমোন খেলা বৈধ কি?
|
৫৯০
|
কুস্তি খেলা বৈধ কি?
|
৫৯১
|
ষাঁড় লড়াই খেলা কি বৈধ?
|
৫৯২
|
মুষ্টিযুদ্ধ খেলা বৈধ কি?
|
৫৯৩
|
লটারির টিকিট কেনা কি বৈধ? তার পুরস্কারের অর্থ কি হালাল? কোন জন কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কি লটারির খেলা ছাড়া যায়?
|
৫৯৪
|
বেবিফুট খেলা বৈধ কি?
|
৫৯৫
|
হাফ প্যান্ট পরে ব্যায়াম চর্চা করা বা খেলা বৈধ কি? এমন চর্চাকারীকে দর্শন করাই বা কি?
|
0 Comments