Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

#সবাইকে_ঈদের_শুভেচ্ছা_ও_মুবারকবাদ

#তাক্বাববালাল্লাহু_মিন্না_অমিন্ক

ঈদে একে অপরকে মুবারকবাদ দেওয়া ঈদের অন্যতম আদব ও বৈশিষ্ট্য। এই মুবারকবাদ সাহাবা (রাযি.)-দের যুগে প্রচলিত ও পরিচিত ছিল। জুবাইর বিন নুফাইর বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবাগণ ঈদের দিন একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ হলে বলতেন, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্ক।’[1]

মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ আলহানী বলেন, আমি আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর অন্যান্য সাহাবাগণের সাথে ছিলাম। তাঁরা যখনই (ঈদের নামায পড়ে) ফিরে আসতেন, তখনই একে অপরকে বলতেন, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্ক।’[2]

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আমি আবূ উমামাকে ঈদে তাঁর সাথীদের জন্য বলতে শুনেছি, ‘তাক্বাববালাল্লাহু মিন্না অমিন্কুম।’[3]

অবশ্য ঈদী মুবারকবাদের শব্দাবলী দেশের প্রচলিত ব্যবহার অনুযায়ী হবে; তবে তাতে এমন শব্দ হলে চলবে না, যা শরীয়তে হারাম। অথবা তা বিজাতীর কাছ থেকে ধার করা বা অনুকরণ করা; অর্থাৎ, তাদের পাল-পর্বনে পরস্পরকে অভিনন্দন জানানোর শব্দ যেন না হয়।[4]

প্রকাশ যে, ঈদের নামাযের পর খাস ঈদী মুআনাকা বা কোলাকুলি শরীয়তে বিধেয় নয়। যেমন ঈদের নামাযের পর কবরস্থানে গিয়ে খাস কবর-যিয়ারত বিদআত।[5]

[1] (ফাতহুল বারী ২/৫১৭, তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৩৫৪-৩৫৫পৃঃ) [2] (যাইল বাইহাকী ৩/৩২০) [3] (তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৩৫৫পৃঃ) [4] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ৭পৃঃ, মাজাল্লাতুল বায়ান ১৩৬/২৬) [5] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী আলবানী ২৫৮পৃঃ, মু’জামুল বিদা’ ১৫৪পৃঃ)


Post a Comment

0 Comments