Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▌সাধারণ মানুষের জন্য কাফির ফতোয়া দেওয়া কি নিষিদ্ধ?

সাধারণ মানুষের জন্য কাফির ফতোয়া দেওয়া কি নিষিদ্ধ?
·সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফকিহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.) প্রদত্ত ফতোয়া—
السؤال: كثير من الناس المنتسبين إلى السَّلفية يشترطون في إقامة الحُجَّة أن يكون من العلماء، فإذا وقع العامي على كلام كفرٍ يقول له: لا، ما تكفّر؟
الجواب: إقامة الدليل هذه إقامة الحُجَّة، كل على حسب حاله.
س: لكن يجب على العامي أن يُكفِّر مَن قام فيه الكفر؟
ج: إذا ثبت عليه الكفر كفر، وأيش المانع؟ إذا ثبت عنده ما يُوجب كفره كفَّره، مثل: مَن كفر أبي جهل وأبي طالب وعتبة بن ربيعة وشيبة بن ربيعة، الدليل أنهم ماتوا على الكفر، قتلهم النبيُّ يوم بدر كفارًا.
س: يُمنع العامي من التَّكفير؟
ج: العامي لا يُكفّر إلا بالدليل، العامي ما عنده علم، مسكين، لكن إذا كان عنده علم بشيءٍ معينٍ مثل: مَن جحد تحريم الزنا، فهذا يكفر عند العامَّة والخاصَّة، ما فيه شبهة، لو قال واحد: الزنا حلال، كفر عند الجميع؛ عند العامة وغيرهم، هذه ما يحتاج لها أدلة، أو قال: إنَّ الشرك جائز، يجوز للناس أن يعبدوا غير الله، أحد يشك في هذا؟ ما يحتاج أدلةً، لو قال: يجوز للناس أن يعبدوا الأصنام، وأن يعبدوا النجوم، وأن يعبدوا الجنَّ؛ كفر.
التوقف في الأشياء المُشْكلة التي قد تخفى على العامي، أو يقول إنسان: ترى الصلاة ما هي بواجبة، مَن شاء صلَّى، ومَن شاء لا يُصلي.
প্রশ্ন: “সালাফিয়্যাহর দিকে নিজেদের সম্পৃক্তকারী অনেক মানুষ হুজ্জাহ (দলিল) কায়েমের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করেন যে, হুজ্জাহ প্রতিষ্ঠাকারীকে আলেম হতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি কোনো কুফরি কথার মুখোমুখি হয়, তাহলে তারা বলে, ‘না, তুমি কাফির বলবে না’।”

শাইখ: “হুজ্জাহ কায়েম করা মানে দলিল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করা। সবই সম্পন্ন হবে অবস্থা অনুযায়ী।”

প্রশ্ন: “তাহলে যার মাঝে কুফর কার্যকর হয়েছে, তাকে কাফির ফতোয়া দেওয়া কি সাধারণ মানুষের জন্য আবশ্যক?”
শাইখ: “যখন ব্যক্তির কুফর সাব্যস্ত হয়ে যাবে, তখন তাকে কাফির ফতোয়া দেওয়া হবে। এতে বাধা কীসের? যদি এমন বিষয় সাব্যস্ত হয়, যা তার কুফরিকে আবশ্যক করে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ তাকে কাফির ফতোয়া দিয়ে দেবে। যেমন কাফির ফতোয়া দেওয়া হয়েছে আবু জাহল, আবু তালিব, উতবা বিন রবিয়া, শাইবা বিন রবিয়া প্রমুখকে। তাদেরকে কাফির ফতোয়া দেওয়ার দলিল হচ্ছে তারা কুফরের অবস্থায় মারা গিয়েছে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বদরের যুদ্ধে কাফির অবস্থায় হত্যা করেছেন।”

প্রশ্ন: “কাফির ফতোয়া দিতে সাধারণ মানুষকে কি নিষেধ হবে?”

শাইখ: “সাধারণ মানুষ বিনা দলিলে কাফির ফতোয়া দেবে না। সাধারণ মানুষের কাছে শরয়ি ইলম নেই, সে নিঃস্ব। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তার ইলম থাকতে পারে। যেমন কেউ ব্যভিচারের নিষিদ্ধতাকে অস্বীকার করে, এই লোক সাধারণ-বিশেষ সবার কাছেই কাফির সাব্যস্ত হবে। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ যদি বলে, ‘ব্যভিচার হালাল,’ তবে সে সবার কাছেই কাফির সাব্যস্ত হবে; সাধারণ ও অন্যান্য সবার কাছে। এজন্য দলিলের প্রয়োজন নেই। কিংবা কেউ বলল, ‘শির্ক করা বৈধ। মানুষের জন্য গাইরুল্লাহর ইবাদত করা বৈধ রয়েছে।’ কেউ কি এক্ষেত্রে সন্দেহ করতে পারে? এজন্য দলিলের দরকার নেই। যদি কেউ বলে, ‘মানুষের জন্য মূর্তিপূজা, নক্ষত্রপূজা ও জিনের উপাসনা করা বৈধ,’ তবে সে কাফির হয়ে যাবে।

পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষের কাছে অস্পষ্ট থাকে এমন জটিল বিষয়ে কাফির ফতোয়া দেওয়া থেকে ক্ষান্ত থাকতে হবে। কিন্তু কোনো মানুষ বলছে, ‘নামাজ আসলে ওয়াজিব নয়। যার ইচ্ছে সে নামাজ পড়বে, আর যার ইচ্ছে সে পড়বে না (এমন ব্যক্তি কাফির হওয়ার বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট)’।”

·উৎস: https://tinyurl(ডট)com/ycky2p32 (শাইখ ইবনু বাযের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের আর্টিকেল)।
·
ভাষান্তর: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা


Post a Comment

0 Comments