🔳রাসূল(সাঃ) তার জীবনে কী কী সুন্নাত সিয়াম বা রোযা পালন করেছেন?

🔳রাসূল(সাঃ) তার জীবনে কী কী সুন্নাত সিয়াম বা রোযা পালন করেছেন? নিন্মে তার দৃষ্টান্ত। এর বাইরে যাহা পালন করবে তা বিদাআ’ত বলে গন্য হবে।

🔴১.শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা।            🔴২.যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশকের সিয়াম।

🔴৩.আরাফার দিনের সওম।               🔴৪.মুহররম মাসের সওম।

🔴৫.আশুরার সিয়াম।                      🔴৬.শাবান মাসের সওম।

🔴৭.প্রতি মাসে ৩ দিন সিয়াম।             🔴৮.সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম।

🔴৯.একদিন পর পর সিয়াম।              🔴১০.বিবাহে অসমর্থদের সিয়াম।

→ফরয সিয়াম ব্যাতিত এছাড়া আর কোন সিয়াম নেই। কেউ যদি বলে বেশি করলে সমস্যা কি? তাহলে এই রকম ব্যাক্তিকে আল্লাহ্‌ তায়ালা পছন্দ করে না যে সিমা লঙ্ঘন করে। ইসলাম হচ্ছে পরিপুর্ন। বাড়ানোও যাবে না কমানোও যাবে না।

______________________________________________________________________________________________________

🔘১).আরাফা ও আশুরার সিয়াম রাখার ফযীলতঃ

রসূল(সাঃ)-কে আরাফার দিনে রাযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বললেন,

→ফজিলতঃপূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গোনাহ মোচন করে দেয়। (মুসলিমঃ ২৮০৪, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)ত্বাবারানী ৫৭৯০, আবু য়্যা’লা ৭৫৪৮, সহীহ তারগীব ১০১২)

🔘২).শওয়াল মাসের ছ’দিন সিয়াম পালনের ফযীলতঃ

→ ফজিলতঃশওয়াল মাসের ছয়দিন সিয়াম রাখল, সে যেন সারা বছর সিয়াম রাখল। (মুসলিমঃ ২৮১৫, ২৬৪৮; আবু দাঊদঃ ২৪৩৫, তিরমিযীঃ ৭৫৯, নাসাঈর কুবরা ২৮৬২, ইবনে মাজাহঃ ১৭১৬, ১৭১৫)

🔘৩).শাবান মাসে সিয়াম রাখাঃ

→ফজিলতঃ১)এটি এমন একটি মাস, যে মাসে মানুষের সব কর্মকাণ্ড আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করা হয়। তাই আমি চাই এমন সময়ে আমার কর্মকাণ্ডের খতিয়ান আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হোক, যখন আমি সিয়াম অবস্থায় রয়েছি।

২)রাসূল(সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো,রমাদানের পরে কোন মাসের সিয়াম সবচেয়ে বেশি ফযিলতপূর্ণ? উত্তরে তিনি বলেন, শাবানের সিয়াম; রমাদানের সম্মানার্থে। (তিরমিযী, হাদিস: ৬৬৩)

উম্মে সালম(রা.) বলেন, আমি রাসূল(সা.)-কে শাবান ও রমাদান মাস ছাড়া অন্য কোন দুই মাস একাধারে সিয়াম রাখতে দেখিনি। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৩৬)

রাসূল(সাঃ)এই মাসে বেশি বেশি রোযা রাখতেন।এই মাসের মাসের শুরু থেকেই রাখতেন। [আহমাদ, বুখারীঃ ১৯৬৯, ১৯৭০;, মুসলিমঃ ২৭৭৭,,২৭৭৮ তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)]

🔘৫).মুহাররম মাসের রোযাঃ

→ফজিলতঃ রাসূল(সা:) “রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’ এর রোজা। [সহিহ মুসলিম (১১৬৩)]

কেউ যদি মনে করেন,আশুরার রোজা দুই দিন রাখবেন, তাহলে ৯ ও ১০ তারিখে রাখাই উত্তম। [বুখারী, (৩/২৪), হাদীস নং ১৮৯৩; মুসলিম,(২/৭৯২;২৭২৩, হাদীস নং ১১২৫, দেখুন, শারহু মুসলিম (৮/৪); ফাতহুল বারীঃ (৪/২৪৬]

🔘৬).দাঊদী (আঃ)-এর সিয়াম/রোযাঃ

→ফজিলতঃ আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় সাওম হলো দাঊদ আলাইহিস সালামের সিয়াম।একদিন সাওম পালন করতেন, আরেকদিন সাওম ভঙ্গ করতেন। [বুখারীঃ ১১৩১, মুসলিম: ২৭৯৬, আবু দাঊদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)]

🔘৭).(প্রত্যেক সপ্তাহে) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজাঃ

→ফজিলতঃ‘রাসূলুল্লাহ(সাঃ) সোম ও বৃহস্পতিবারে সিয়াম রাখার জন্য সমধিক সচেষ্ট থাকতেন।’(প্রত্যেক সপ্তাহে) সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়ে থাকে। কাজেই আমি রোযাদার অবস্থায় আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে পেশ করা হোক এমনটি আমি পছন্দ করছি। (তিরমিযী: ৭৪৭) মুসলিম : ১১৬২; নাসাঈ: ২৩৬০; তিরমিযী : ৭৪৫)] 

→আবূ ক্বাতাদাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর কাছে সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ

“ঐদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে।”(মুসলিম ২৬৪০;মুসলিম ২৮০৪)

→আবূ হুরাইরাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

→“প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে শিরক(অংশীদার স্থাপন) করে না।

তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শত্রুতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য অবকাশ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও, এ দু’জনকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য সুযোগ দাও।” (মুসলিম ৬৪৩৮)

🔘৮).প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম রাখাঃ

→প্রতি মাসে তিন দিন করে সাওম পালন করা। তিনটি সাওম প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে। [বুখারী ১৯৭৯, মুসলিম ২৭৯৩) তিরমিযী ৭৬২, ইবনে মাজাহ ১৭০৮)

কারণ, এ তিন দিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাঁদনী রাত। তাই আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে এ দিনগুলোতে সাওম পালন করা সময় উপযোগী। “আবাসস্থল ও সফরে” অর্থাৎ, তিনি সফরে এবং আবাস উভয় অবস্থাতেই এ সাওমগুলো পালন করতেন।দেখুন: আল-ফাতহ্ (৪/২২৭), মিরকাতুল মাফাতীহ (৪/৫৬৬) ফাইযুল কাদীর (১/৩৯৫) দলীলুল ফালেহীন (৭/৭২) 

→ফজিলতঃ প্রতি মাসে ৩ দিন বা আইয়ামে বীজের রোজা রাখলে তাতে সারা মাস রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। কেননা যে কোনো নেক আমল আল্লাহ তায়ালা ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকেন।[ আবু দাউদ ২৪৪৯, হাদীসের মানঃ সহীহ, – নাসায়ী ২৪২০, হাদীসের মানঃ হাসান, – বুখারী ১৯৮১, – আবু দাউদ ২৪৫০]

🔘৯).যিলহজ্জ মাসের সিয়ামঃ

রাসূলুল্লাহ্(সাঃ) যিলহজ্জ মাসের নয় দিন, সিয়াম পালন করতেন।

→ফজিলতঃঅন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর তথা দশদিনের নেক আমল অধিক প্রিয়। জিহাদের চেয়েও বেশি প্রিয় আমল। [সহিহ বুখারীঃ ২/৪৫৭)]সহিহ বুখারী (১৮০৫)]; [সুনানে নাসাঈ (৪/২০৫)]

🔘১০.বিবাহে অসমর্থদের সিয়ামঃ

→হে যুবকেরা, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি যৌন মিলন ও পরিবারের ভরণ পোষণের ক্ষমতা রাখে সে যেন বিবাহ করে, কেননা এতে দৃষ্টি অবনমিত হয় এবং যৌনাঙ্গের হেফাযাত করা হয়। আর যে যুবক(স্ত্রীর ব্যয়ভার বহনের) ক্ষমতা রাখে না সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম পালন যৌন স্পৃহা দমিয়ে রাখে। (বুখারী : ৫০৬৬; মুসলিম:১৪০০)

🔘প্রশ্ন: মোট কতটি এবং কোন কোন দিন রোজা রাখা হারাম?

→উত্তর: যে সকল দিন রোযা রাখা হারাম তা নিম্নরূপ:

🔹১) ঈদুল ফিতর (রামাযানের ঈদ) এর দিন।

🔹২) ঈদুল আযহা (কুরবানী) এর দিন।

🔹৩) ঈদুল আযহার এর পরে আরো তিন দিন।

🔹৪) বিরামহীনভাবে সারা বছর রোজা থাকা।

🔹৫) নির্দিষ্ট করে কেবল শুক্রবার রোজা থাকা।

🔹৬)সন্দেহের দিন রোজা রাখা।

→অনুরূপভাবে শাবান মাসের ৩০তারিখে যদি রমাযানের চাঁদ উদিত হওয়ার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য নিশ্চয়তা না পাওয়া তবে সে দিন রোজা থাকা নিষিদ্ধ।

[সহিহ বুখারি (১৯০৯; ফাতাওয়াল লাজনা (১০/১১৭)], [আল-শারহুল মুমতি (৬/৩১৮)]

🔹৭)মাস শুরু হওয়ার একদিন বা দুইদিন আগে থেকে রমযানের রোযা রাখার নিষেধাজ্ঞা।

তবে কারো যদি রোযা রাখার বিশেষ কোন অভ্যাস থাকে তাহলে সে সেদিন রোযা রাখুক।”[সহিহ বুখারী-১৯১৪, (১৯৯২; (১৯৮৫; ১৮৪৬,১৮৫৯) ও সহিহ মুসলিম (১১৪১,১০৮২, (১৩/২৪, হাঃ ১১৪৪, ৮২৭ ) আহমাদ ১০৮০৮)

🔳→আরবী বার মাসের নাম

১)মুহররম। ২)সফর। ৩)রবিউল আউয়াল। ৪)রবিউস সানি। ৫)জমাদিউল আউয়াল। ৬)জমাদিউস সানি। ৭) রজব। ৮) শাবান। ৯) রমজান। ১০) শাওয়াল। ১১) জিলক্বদ। ১২) জিলহজ্জ।

এই বারো মাসের মধ্যে কয়েকটি মাস খাস করে সিয়াম রেখেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায়। তাছাড়া আর কোন তথ্য পাওয়া যায় না সহীহ হাদিসে।

Writer and editor: rasikul islam(india)

মাসের নাম গুলির অর্থ পরে ইনশাআল্লাহ অ্যাড করব। 

(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে📚 এখানে পাবেন🎶প্রচুর অডিও সিরিজ🎶100 এর বেশী শায়খ ভিত্তিক অডিও 90 এর উপর 🎶বিষয় ভিত্তিক অডিও🌎অডিও কুরআন এবং অনলাইনে অডিও শুনুন🎶এছাড়াও বিষয় ভিত্তিক ভিডিও,♂সহীহ-সুন্নাহ-ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল,ইসলামিক পত্রিকা 📚 and অনেক জানা-অজানা-আর্টিকল 📚 বিষয় ভিত্তিক সিরিজ আকারে http://islamicebookandpic.in/ ইসলামিক গালারি 👇বিশেষ দ্রস্টব্যঃ-👇 ওয়েবসাইট sarolpoth.blogspot.com/ ইসলামিক সমস্থ প্রগ্রাম একসাথে পেতে http://salafimp3web.blogspot.com/👉 অডিও সমাহার👈 👉 https://salafi-pdfbooks.blogspot.com/ সমস্ত ইসলামিক বই👆