সিয়ামের উপর
ঔষধ ও ডাক্তারি চিকিৎসার প্রভাব
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্ তাআলার।
নিম্নে কিছু জিনিসের একটি তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো চিকিৎসারূপে ব্যবহৃত হয়, তন্মধ্যে কোনটি রোযা বিনষ্ট করে আর কোনটি করে না তারও
ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এটা একটা শারয়ী গবেষণার সারাংশ যা ফিক্বহ কাউন্সিলের
ধারাবাহিক সভায় পরিবেশন করা হয়েছিল।
🔳নিম্নোক্ত জিনিসগুলির জন্য রোযা কোনোভাবে প্রভাবিত হয় না
🔘চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ, কানের পিচকারি, নাকের
ড্রপ ও অনুনাসিক স্প্রে–যতক্ষণ না এমন কিছু গলাধঃকরণ করে যা
গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
🔘কণ্ঠনালীপ্রদাহ, ইত্যাদির চিকিৎসার জন্য জিহ্বার তলদেশে স্থাপিত ট্যাবলেট বা লজেন্স-যতক্ষণ
না এমন কিছু গলাধ:করণ করে যা গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
🔘যোনিদেশের
পটী, ডুশ, কোনো আয়নার
ব্যবহার অথবা অভ্যান্তরীণ ডিজিটাল পরীক্ষা।
🔘জরায়ুর মধ্যে
কোনো কুণ্ডলি (IUD) ব্যবহার।
🔘মুত্রনালীতে ক্যাথেটারের
ব্যবহার, কিংবা ডায়গনিস্টিক ছবির জন্য রঙয়ের
ইঞ্জেকশন বা ঔষধ অথবা মুত্রাশয় পরিষ্কার।
🔘দাঁতের
তুরপুণ, দাঁত তোলা বা পলিশ করা, দাঁতন বা টুথব্রুশ ব্যবহার, যতক্ষণ না এমন কিছু
গলাধ:করণ করে যা গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
🔘মুখের
চিকিৎসার জন্য কুলকুচো বা কিছু ব্যবহার, যতক্ষণ না এমন
কিছু গলাধ:করণ করে যা গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
🔘ইঞ্জেকশন, তা নিম্নস্ত্বকে করা হোক কিংবা পেশী বা শিরায় করা হোক- তবে এর ব্যতিক্রম
ওই সমস্ত ইঞ্জেকশন যেগুলোপুষ্টিবিধানের উদ্দেশ্যে করা হয়।
🔘অক্সিজেন।
🔘চেতনানাশক, যতক্ষণ না তারা রোগীকে পুষ্টি সরবরাহ করে।
🔘যে সমস্ত ঔষধ
চামড়া দিয়ে শোষিত হয়, যেমন বিভিন্ন ক্রিম, লোশন
এবং প্যাচ। এগুলো ত্বকের মাধ্যমে ঔষধ শোষণে ব্যবহৃত হয়।
🔘হৃৎপিণ্ডের
নালী বা অন্যান্য অঙ্গের পরীক্ষা বা চিকিৎসার জন্য শিরায় ক্যাথেটারের ব্যবহার।
🔘পাকস্থলির
রোগ নির্ণয় বা অস্ত্রপচারের জন্য ল্যাপারসকোপের ব্যবহার।
🔘লিভার ও
অন্যান্য অঙ্গের বায়োপসি যতক্ষণ না এতে পুষ্টিসাধনের কিছু সংযুক্ত হয়।
🔘গ্যাস্ট্রোসকোপি
যদি না এতে পুষ্টিসাধনের কিছু সংযুক্ত হয়।
🔘মস্তিষ্ক বা
সুষুম্না কাণ্ডে ঔষধ বা যন্ত্রের প্রয়োগ।
🔘অনৈচ্ছিক বমি
(ইচ্ছাকৃত বমির বিপরীত)।
🔳–মুসলমান ডাক্তারদের উচিত উপরোক্ত চিকিৎসা ও পদ্ধতিগুলি রোযা ইফতার করা
পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য রোগীকে পরামর্শ প্রদান করা যদি তা তার জন্য নিরাপদ হয়
এবং তার কোনো ক্ষতি না হয় (যদিও এই প্রক্রিয়াগুলি রোযাকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না)। (ইসলামি ফিক্বহ কাউন্সিল, পৃষ্ঠা:২১৩)
0 Comments