সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করার
শর্তসমূহ:
হাদীস: ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তাঁর নিকট একটি লোককে নিয়ে আসা হল এবং তার সম্পর্কে বলা হল
যে, ‘এ লোকটি অমুক। তার দাড়ি মদ টপকাচ্ছে।’ তিনি বললেন, ‘আমাদেরকে জাসূসী করতে (গুপ্ত দোষ খুঁজে বেড়াতে) নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি কোন অপরাধ আমাদের সামনে স্পষ্ট
হয়ে যায়, তাহলে আমরা তার কারণে তাকে পাকড়াও করব।’ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এটি আবূ দাউদ সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবিক সনদ দ্বারা বর্ণনা
করেছেন।
হাদীস
عن ابن
مسعود -رضي
الله
عنه-: أنه
أُتِي
برجُل
فقيل
له: هذا
فُلان
تَقْطُر
لحيته
خَمْرًا،
فقال: إنا
قد
نُهِيْنَا
عن
التَّجَسُّسِ،
ولكن
إن
يَظهر
لنا
شَيْءٌ،
نَأخُذ
به.
[صحيح.] - [رواه
أبو
داود.]
المزيــد ...
ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তাঁর নিকট একটি লোককে নিয়ে আসা হল এবং তার সম্পর্কে বলা হল
যে, ‘এ লোকটি অমুক। তার দাড়ি মদ টপকাচ্ছে।’ তিনি বললেন, ‘আমাদেরকে জাসূসী করতে (দোষ খুঁজে বেড়াতে) নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি কোন অপরাধ আমাদের সামনে স্পষ্ট
হয়ে যায়, তাহলে আমরা তার কারণে পাকড়াও করব।
সহীহ - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা
করেছেন।
ব্যাখ্যা:
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো যে মদ পান
করেছে। আর তার অবস্থাই তা বুঝাচ্ছিল, যেমন তার দাঁড়ি মদ টপকাচ্ছিল। তখন তিনি তাদের উত্তর দেন যে, আমাদের অপরের বিষয়ে গোয়েন্দাগিরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কারণ, লোকটির বাহ্যিক অবস্থা দ্বারা বুঝা যায় সে তা
গোপনে পান করেছিল কিন্তু এ সব লোক তার ওপর নজরদারি করে তাকে এ অবস্থায় বের করে
নিয়ে এসেছে। তবে যখন আমাদের কাছে কোনো অপরাধ স্পষ্ট ও জাহির হয় এবং ন্যায়পরায়ন
সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত হয় অথবা তার ওপর কোন প্রকার গোয়েন্দাগিরী ছাড়াই সে নিজের
অপরাধ স্বীকার করে, তখন আমার তার দাবি অনুযায়ী তার ওপর হদ বা
শাস্তি বাস্তবায়ন করব। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পর্দা দ্বারা আবৃত হল আমরা তাকে
পাঁকড়াও করবো না।
হাদীস: আমি তোমাকে
আল্লাহর সপথ দিয়ে বলছি, তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছো: আমার পক্ষ থেকে উত্তর দাও। হে আল্লাহ, তুমি তাকে রুহুল কুদুস দ্বারা শক্তিশালী করো। তিনি বললেন, আল্লাহুম্মা হ্যাঁ।
হাদীস
عن أبي
هريرة
أنَّ
عمر
مرَّ
بِحَسَّان -رضي
الله
عنهم- وهو
يَنْشُدُ
الشِّعر
في
المسجد،
فَلَحَظَ
إليه،
فقال: قد كُنْتُ
أَنْشُد،
وفيه
من
هو
خير
مِنْك،
ثمَّ
الْتَفَتَ
إلى
أبي
هريرة،
فقال: أَنْشُدُكَ
الله،
أَسَمِعْتَ
رسول
الله -صلى
الله
عليه
وسلم- يقول: «أَجِبْ عَنِّي، اللَّهُمَّ
أَيِّدْهُ
بروح
الْقُدُسِ»؟ قال: اللهمَّ
نعم.
[صحيح.] - [رواه
مسلم.]
المزيــد ...
আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত, উমার হাসসান—রাদিয়াল্লাহু আনহুম—এর পাশ দিয়ে গেলেন যে অবস্থায় সে মসজিদে কবিতা পাঠ করছে। তিনি তার দিকে দৃষ্টি
দিলেন। তখন তিনি বললেন, আমি কবিতা পড়তাম তখন তাতে আপনার চেয়ে উত্তম
ব্যক্তি ছিল। তারপর তিনি (হাসসান) আবূ হুরায়রার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর সপথ দিয়ে বলছি, তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছো: আমার পক্ষ থেকে উত্তর দাও। হে আল্লাহ, তুমি তাকে রুহুল কুদুস দ্বারা শক্তিশালী করো। তিনি বললেন, আল্লাহুম্মা হ্যাঁ। সহীহ - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যা:
হাদীসটির অর্থ: হাসসান রাদিয়াল্লাহু আনহু মসজিদে কবিতা পড়তে ছিলেন। তখন উমার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উমার তার দিকে অপছন্দের দৃষ্টি দিলেন। হাসসান যখন তার থেকে তা দেখলেন, তাকে বললেন, আমি মসজিদে কবিতা পড়তাম যখন তাতে তোমার থেকে যিনি উত্তম তিনি উপস্থিত ছিলেন। তারপর তিনি আবূ হরায়রাহকে সাক্ষী বানান। অর্থাৎ রাসূলের উপস্থিতে মসজিদে তার কবিতা আবৃতি করা, এর ওপর তাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং কবিতা আবৃতির ওপর তাকে উৎসাহ দেওয়া ইত্যাদি বিষয় যা তিনি যানেন সে সব বিষয়ে তিনি তার কাছে সাক্ষী কামনা করলেন এবং বললেন: “আমি তোমাকে আল্লাহর নামে জিজ্ঞাসা করছি এবং তার দ্বারা সপথ দিচ্ছি যে, তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছ যে, তিনি বলেন, হে হাসসান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে উত্তর দাও। অর্থাৎ মুশরিক কবিদেরকে তুমি তোমার কাব্য দ্বারা উত্তর দাও। রাসূল থেকে তাদের প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে এবং তার দীনের সাহায্যার্থে তা দ্বারা তুমি তাদের কুৎসা রচনা কর। আর তুমি কি তাকে বলতে শুনেছ যে, তিনি বলেছেন হে আল্লাহ তুমি তাকে রুহুল কুদুস দ্বারা শক্তি শালী কর। অর্থ জিবরীল দ্বারা সাহায্য কর এবং তাকে তার অনুগত কর যাতে সে তার অন্তরে এমন কবিতা ডেলে দেয় যা ইসলামের দুশমনদের ওপর তীরের ন্যায় আঘাত করে। আবূ হুরায়রাহ বললেন, হ্যাঁ অর্থাৎ,আমি তোমাকে তার সামনে মসজিদে কবিতা পাঠ করতে শুনেছি এবং তাকে তোমার সম্পর্কে এ কথা বলতেও শুনেছি।
0 Comments