সিয়ামের তাৎপর্য
🔷সিয়াম মহাতাৎপর্যপূর্ণ একটি ইবাদত। একটি বিশুদ্ধ
হাদিসে উল্লেখ আছে : আল্লাহ্ তাআলা সিয়ামকে নিজের জন্য বেছে নিয়েছেন। আল্লাহ্
তাআলা স্বয়ং এর প্রতিদান দেবেন আর অপরিমিত হারে প্রতিদান দেবেন। হাদিসে কুদ্সিতে
উল্লেখ আছে, আল্লাহ্ তাআলা বলছেন : “তবে সওম এর ব্যতিক্রম। সওম আমার জন্য আর আমিই এর
প্রতিদান দেবো”। (সহি বুখারি : ১৯০৪; সহি তারগিব : ১/৪০৭)
🔘“সওমের কোনো তুলনা নেই”। (নাসায়ি : ৪/১৬৫; সহি তারগিব : ১/৪১৩)
🔘“সিয়াম পালনকারীর দুআ
প্রত্যাখ্যাত হয় না”। (বায়হাকি : ৩/৩৪৫; আস-সাহিহাহ্ : ১৭৯৭)
🔘“সওম পালনকারীর জন্য দুটি
খুশির মুহূর্ত রয়েছে। একটি খুশি সওম ইফ্তারের সময় এবং অপরটি সওম নিয়ে স্বীয়
প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ঘটবে”। (সহি মুস্লিম : ২/৮০৭)
🔘কিয়ামতদিবসে সিয়াম বান্দার জন্য
সুপারিশ করবে এবং বলবে : “হে প্রভু ! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও কামনা-বাসনা
পূরণ করতে দিইনি; সুতরাং তুমি তার জন্য আমার সুপারিশ গ্রহণ করো”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ২/১৭৪, হায়সামি “আল-মাজ্মা”, ৩/১৮১-তে এর সনদটিকে সহি
বলেছেন। আরও দেখুন : সহি তারগিব : ১/৪১১)
🔘“সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ
আল্লাহ্ তাআলার নিকট কস্তুরির সুগন্ধি অপেক্ষা অধিম প্রিয়”। (মুসলিম : ২/৮০৭)
🔘“সিয়াম একটি সুরক্ষা ও
শক্তিশালী দুর্গ যা মানুষকে অগ্নিকুণ্ড হতে রক্ষা করে”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ২/৪০২; সহি তারগিব : ১/৪১১; সহি আল-জামি’ : ৩৮৮০)
🔘“যে ব্যক্তি আল্লাহ্র
জন্য কেবল একদিন সওম পালন করবে, আল্লাহ্ তাআলা তাকে সত্তর বছর জাহান্নামের
অগ্নিকুণ্ড হতে দূরে সরিয়ে রাখবেন”। (মুস্লিম : ২/৮০৮)
🔘“যে ব্যক্তি আল্লাহ্
তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনার্থে মাত্র একদিন সওম করবে, যদি সেটা তার জীবনের শেষদিন হয়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ
করবে”। (মুস্নাদে আহ্মাদ :
৫/৩৯১; সহি তারগিব : ১/৪১২)
🔘“জান্নাতে রাইয়ান নামে
একটি দরজা আছে। সেই দরজা দিয়ে কেবল সওম পালনকারীরা প্রবেশ করবে। তারা ব্যতীত আর
কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যখন তাদের প্রবেশকার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে, তখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া
হবে এবং তারপর আর কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না”। (বুখারি : ১৭৯৭)
🔘রমযান মাসের সিয়াম ইস্লামের একটি
স্তম্ভ। এই মাসে কুর্আন অবতীর্ণ হয়েছে। এই মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, যেটি অন্য এক হাজার মাস
অপেক্ষা উত্তম।
🔘“রমযান মাস শুরু হলে
জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া
হয় এবং শয়তানের পায়ে শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়”। (বুখারি : ৩২৭৭)
🔘“রমযানের সিয়াম অন্য দশ
মাসের সিয়ামের সমতুল্য”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ৫/২৮০; সহি তারগিব : ১/৪২১)
🔘“যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে ও
সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে
দেওয়া হবে”। (বুখারি : ৩৭)
🔘“প্রত্যেক দিন সিয়াম ইফ্তারের সময় আল্লাহ্ তাআলা কিছু লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেওয়ার জন্য বেছে নেন”। (মুস্নাদে আহ্মাদ : ৫/২৫৬; সহি তারগিব : ১/৪১৯)
0 Comments