শারহ মুওয়াত্তা ইমাম মালিক –
শায়খ যুবাইর আলী যাই
হাদিস নং ৬২
–:– খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি ডান হাত দিয়ে করা উচিত
ইতিহাফ উল-বাসিম ফি তাহকিক মুওয়াত্তা আল-ইমাম
মালিক [তালখিস আল-কাবিসি] রিওয়ায়েত আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম.
তাহকিক, তাখরিজ, শারহ: মুহাদ্দিস যুবাইর আলী যাই,
অনুবাদক আবু উবাইদাহ, অনুবাদ, নিরীক্ষা
এবং অতিরিক্ত টীকা:আবু হিব্বান ও আবু খুযাইমাহ আনসারী
আবু বকর ইবন উবাইদুল্লাহ: একটি হাদিস। এবং এটিতে ইত্তিসাল (সংযোগ) রয়েছে এবং
কিছু অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা (দেখা, অনুসন্ধান, যাচাই-বাছাই) রয়েছে।
🌿 বাংলা অনুবাদঃ [৬২] মালিক থেকে, তিনি ইবনু শিহাব থেকে, তিনি আবু বকর ইবন উবাইদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু$) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস-সাল্লাম$) বলেছেন, “যখন তোমরা খাও, তখন ডান হাত দিয়ে খাও এবং (যখন তোমরা পান করো, তখন) ডান হাত দিয়ে পান করো। শয়তান তার বাম হাত দিয়ে খায় এবং বাম হাত দিয়ে পান করে।”
[তাহকিক] – [সহীহ]
N হুমাইদি তাঁর মুসনাদে (নং ৬৩৫) বলেছেন, "সুফিয়ান আমাদের কাছে বর্ণনা
করেছেন: আয-যুহরি আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন: আবু বকর ইবন উবাইদুল্লাহ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উমর আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে তিনি তাঁর দাদা আবদুল্লাহ ইবন উমরকে
বলতে শুনেছেন: '...' হাদিসের শেষ পর্যন্ত এবং এর সনদ [সহীহ] (নির্ভরযোগ্য)।"
এই থেকে জানা যায় যে এই বর্ণনার সনদটি
[মুততাসিল] সংযুক্ত এবং এর ইত্তিসালের (সংযুক্ত হওয়ার কারণে) অতিরিক্ত
যাচাইকরণের প্রয়োজন নেই।
[রেফারেন্স]
N আল-মুওয়াত্তা (ইয়াহইয়ার বর্ণনা ২/৯২২, ৯২৩ হাদিস
নং ১৭৭৭, কিতাব ৪৯, অধ্যায় ৪, হাদিস নং ৬) আত-তামহীদ (১১/১০৯) আল-ইসতিযকার: (নং
১৭০৯)
N মুসলিম (নং ২০২০) এ মালিকের হাদিস থেকে এটি বর্ণিত হয়েছে।
🌿 হাদীস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও ব্যাখ্যা
১) এই হাদিস থেকে জানা যায় যে, শরীয়তে অনুমোদিত কোনো বৈধ ওজর (অসুবিধা) ছাড়া বাম হাতে খাওয়া (এবং পান করা) নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ ($সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস-সাল্লাম$) বাম হাতে খাওয়া (এবং পান করা) এবং এক পায়ে জুতো পরে হাঁটতে নিষেধ করেছেন। (দেখুন হাদিস নং ১০৪, এবং সহীহ মুসলিম ৭০/২০৯৯)।
২) খাওয়া-দাওয়া, পানীয় এবং সমস্ত জাগতিক বিষয়ে শরীয়তের শিষ্টাচার ও আদবকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক।
৩) শয়তানদের (জিনদের) খাওয়া ও পান করা আছে — হাদীস থেকে এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
৪) কোনো বৈধ ওজর ছাড়া বাম হাতে খাওয়া এবং পান করা শয়তানের রীতি।
৫) মুসলমানকে বলা হয়েছে— ফাসিক বা শয়তানের পথ থেকে দূরে থাকতে।
৬) কারণ, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের মতো আচরণ করে, সে সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।
৭) এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, শয়তানের কাজের মতো কাজগুলো পরিহার করা উচিত।
৮). শয়তানের দুটি হাত আছে এবং সে খায় ও পান করে।
৯) ডান হাতের সম্মান বৃদ্ধি; কারণ আমাদের ডান হাত দিয়ে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এটা সুবিদিত যে খাদ্য দেহের জন্য পুষ্টি, এবং সম্মানিত কাজগুলো ডান হাত দিয়ে করতে হয়।
১০). কাফিরদের (অবিশ্বাসীদের) সাদৃশ্য অবলম্বন থেকে নিষেধ; কারণ আমাদের শয়তানের সাদৃশ্য অবলম্বন থেকে নিষেধ করা হয়েছে, আর শয়তান হলো কুফরের মূল।
১১). নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতকে এমন একটি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে নসিহত করেছেন যা তাদের কাছে গোপন থাকতে পারত।
🌸 শিক্ষণীয় দিক ও হিকমা
1️⃣ মুমিনের জন্য সুন্নাহর অনুসরণ আবশ্যক।
-
ডান হাতে খাওয়া, পান করা, নেওয়া ও দেওয়া — নবী ﷺ-এর আদেশ।
-
কোনো বৈধ অজুহাত (যেমন: অসুস্থতা বা হাতের সমস্যা) ছাড়া এটি লঙ্ঘন করা ঠিক নয়।
2️⃣ ডান হাতকে সম্মানিত করা।
-
ইসলামে ডান দিক ও ডান হাতকে সম্মানিত করা হয়েছে।
-
ভালো কাজ, গ্রহণ, ও সম্মানজনক কাজ সব ডান হাতে করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
3️⃣ বাম হাত অপবিত্র কাজের জন্য নির্ধারিত।
-
যেমন টয়লেট, পরিষ্কার বা অপ্রীতিকর কাজ।
-
তাই বাম হাতকে খাওয়া বা সামাজিক আদান-প্রদানে ব্যবহার করা অনুচিত।
4️⃣ শয়তানের অনুকরণ থেকে বিরত থাকা।
-
নবী ﷺ বলেছেন, “যে জাতির মতো আচরণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”
-
তাই শয়তানের আচরণ থেকে দূরে থাকা মুমিনের ঈমানের অংশ।
5️⃣ রাসূল ﷺ-এর কোমল উপদেশ ও করুণা।
-
নবী ﷺ এমন ছোট ছোট কাজেও আদব শিখিয়েছেন, যা আমাদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
7️⃣ বারাকাহ (বরকত) লাভের পথ।
-
নবী ﷺ-এর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলে খাওয়া-পানায় বরকত আসে।
6️⃣ কাফির ও শয়তানের সাথে সাদৃশ্য পরিহার।
যেমন শয়তানের মতো বাম হাতে খাওয়া নিষিদ্ধ, তেমনি অমুসলিমদের আচরণ অনুকরণ করাও নিষিদ্ধ।
৮) রাসূল ﷺ-এর দয়া ও উপদেশ।
নবী ﷺ তাঁর উম্মতকে এমন একটি বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন যা অনেকের কাছে তুচ্ছ মনে হতে পারে, কিন্তু এটি আখলাক ও আদবের চূড়ান্ত শিক্ষা।
🕊 কেন ডান হাতে শুরু করা সুন্নাহ?
কারণ নবী ﷺ বলেছেন —
«كان النبي يحب التيمن في شأنه كله، في طهوره وترجله وتنعله»
“নবী ﷺ তাঁর সব কাজে ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালোবাসতেন — যেমন পবিত্রতা, চুল আঁচড়ানো ও জুতা পরা।”
📚 (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
📖 কুরআনের আলোকে
وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ
“তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।”
📚 (সূরা আল-বাকারা, ২:১৬৮)
অর্থাৎ, শয়তানের মতো আচরণ করা কিংবা তার পথে চলা মুসলমানের জন্য নিষিদ্ধ।
“নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।”
(সূরা আল-আহযাব, ৩৩:২১)
📌 এই আয়াত অনুযায়ী, রাসূল ﷺ-এর প্রতিটি আদেশ — এমনকি খাওয়া-পানার ক্ষেত্রেও — অনুসরণ করা ঈমানের অংশ।
উৎস:
🔹 Sharh Muwatta Imam Malik – Shaikh Zubair Ali Zai
🔹 Itihaf al-Basim fi Tahqiq Muwatta al-Imam Malik (Talkhis al-Qabisi)
🔹 Sahih Muslim (Hadith No. 2020)
N Explanation
of the ruling from Bulugh al-Maram by al-Bassam (5/445).
N Explanation
of Bulugh al-Maram by Ibn Uthaymeen (6/270).
N The
Path of Peace, Explanation of Bulugh al-Maram, by al-San'ani (2/625).
N Awn
al-Mabud, Explanation of Sunan Abi Dawud (10/179).
N Fatwas
of the Standing Committee - First Group - (26/387).
N আল-বাসসাম (৫/৪৪৫) কর্তৃক রচিত বুলুঘ আল-মারম
থেকে হুকুমের ব্যাখ্যা।
N ইবনে উসাইমিন (6/270) দ্বারা বুলুগ আল-মারামের
ব্যাখ্যা ফাত ধি আল-জালাল ওয়া আল-ইকরাম।
N শান্তির পথ, বুলগ আল-মারমের ব্যাখ্যা, আল-সান'আনি
(2/625)।
N আউন আল-মাবুদ, সুনানে আবি দাউদের ব্যাখ্যা
(10/179)।
N স্থায়ী কমিটির ফতোয়া - প্রথম দল - (২৬/৩৮৭)।
____________________________________________________
১. প্রথম হাদীস (আবূ হুরায়রাহ্
রা. কর্তৃক বর্ণিত):
বাংলা অনুবাদ:
"যখন
তোমাদের মধ্যে কেউ খায়, সে যেন তার ডান হাত দিয়ে খায়, যখন সে পান করে, সে যেন তার
ডান হাত দিয়ে পান করে, যখন সে কিছু গ্রহণ করে, সে যেন তার ডান হাত দিয়ে গ্রহণ করে,
এবং যখন সে কিছু প্রদান করে, সে যেন তার ডান হাত দিয়ে প্রদান করে। কেননা, শয়তান
তার বাম হাত দিয়ে খায়, তার বাম হাত দিয়ে পান করে এবং তার বাম হাত দিয়ে প্রদান
করে।"
হাদীসের মান: হাসান (উত্তম)
২. দ্বিতীয় হাদীস (আবদুল্লাহ ইবন উমর রা. কর্তৃক বর্ণিত) ও তার ব্যাখ্যা:
বাংলা অনুবাদ (মূল হাদীস):
"তোমাদের
কেউ যেন তার বাম হাত দিয়ে না খায় এবং তা (বাম হাত) দিয়ে পান না করে। কেননা, শয়তান
তার বাম হাত দিয়ে খায় এবং তা দিয়ে পান করে।"
[বর্ণনাকারী
বলেন] নাফি' (ইবন উমরের মুক্ত দাস) এর সাথে যোগ করতেন: "এবং তা দিয়ে (বাম হাত
দিয়ে) কিছু গ্রহণ করবে না, এবং তা দিয়ে কিছু প্রদানও করবে না।"
হাদীসের মান: [সহীহ] (মুসলিম)
হাদীসের ব্যাখ্যা (সংক্ষেপে):
এই হাদীসে
রাসূলুল্লাহ (সা.) মুসলিমদেরকে বাম হাত দিয়ে খাওয়া ও পান করা থেকে নিষেধ করেছেন।
এর কারণ হলো, শয়তান বাম হাত দিয়ে খায় ও পান
করে। মুসলিমদেরকে শয়তানের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে এবং তার বিরোধিতা করতে বলা
হয়েছে।
ডান হাতের প্রাধান্য: নবী (সা.)-এর সাধারণ নির্দেশ ছিল
প্রতিটি উত্তম ও ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে শুরু করা। আর বাম হাতকে অপছন্দনীয় বা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাইরের কাজগুলোর জন্য রাখা।
গ্রহণ ও প্রদান: ইবন উমরের মুক্ত দাস নাফি' (রা.)
থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা অনুযায়ী, বাম হাত দিয়ে কিছু নেওয়া বা দেওয়াও নিষেধ। প্রথম
হাদীসেও এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।
ব্যতিক্রম:
যদি কোনো ওযর (যেমন রোগ, আঘাত বা ডান হাত ব্যস্ত থাকা) থাকে, তবে বাম হাত দিয়ে
খাওয়া বা পান করাতে কোনো দোষ নেই।
সারসংক্ষেপ: এই হাদীসগুলোতে শয়তানের সাথে সাদৃশ্য (تشبه) এড়িয়ে চলার নির্দেশ এবং খাবার, পানীয়, আদান-প্রদান ইত্যাদি উত্তম কাজে ডান হাত ব্যবহার করার গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। এটি বরকত লাভের অন্যতম কারণ।
_____________________
১. প্রথম হাদীস: ডান হাতে খাওয়া, পান
করা, গ্রহণ ও প্রদান করা
📖 রেওয়ায়ত/বর্ণনাকারী: আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
📚
উৎস/সূত্র: আল-জামি‘
আস-সাগীর, আল-সুয়ূতী
📑 হাদীস নং: ৪৮০, হাদীসটি মূলত ইবন মাজাহ (হাদীস নং ৩২৬৬)-এর সংকলনে
সামান্য ভিন্নতা সহকারে এবং (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৮৩০৬)-এ সংক্ষেপে বর্ণিত
হয়েছে।
তাহকিক (মান নির্ণয়): আল-সুয়ূতী,
তাঁর আল-জামি আস-সাগীর গ্রন্থে হাদীসটির মান 'হাসান' (উত্তম) বলে উল্লেখ করেছেন।
রাবী: আবু হুরাইরা
(রাদিয়াল্লাহু আনহু)
উৎস:
- সুনান ইবনু মাজাহ (হাদীস নং ৩২৬৬)
- মুসনাদ আহমাদ (হাদীস নং ৮৩০৬)
- আল-জামি‘ আস-সগীর (ইমাম আস-সুয়ূতী,
হাদীস নং ৪৮০)
📘 তাহকীক ও তাখরীজ:
➤ (১) সুনান ইবনু মাজাহ:
- তাহকীক: মুহাদ্দিস মুহাম্মদ
ফুয়াদ আবদুল বাকী (رَحِمَهُ اللَّهُ)
- তাখরীজ: ইমাম ইবনু মাজাহ
নিজে এবং পরে “تحقيق سنن ابن ماجه” (শায়খ মুহাম্মদ
নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী)
- রায়: শায়খ আল-আলবানী
বলেছেন —
“حسن صحيح” — অর্থাৎ “হাসান সহীহ”
📚 (দেখুন: صحيح ابن ماجه، حديث ২৬৫৭)
➤ (২) মুসনাদ আহমাদ:
- তাহকীক: শায়খ আহমাদ শাকির
(رَحِمَهُ اللَّهُ) এবং পরবর্তীতে
শায়খ শু‘আইব আল-আরনাউত
- রায়: সহীহ লি গায়রিহি
(অন্য সূত্রে সহীহ)
➤ (৩) আল-জামি‘ আস-সগীর (السيوطي):
- সংকলনকারী: ইমাম জলালুদ্দীন
আস-সুয়ূতী (রহ.)
- তাহকীক: শায়খ মুহাম্মদ
নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (رَحِمَهُ اللَّهُ) “صحيح الجامع الصغير” ও “ضعيف الجامع الصغير”-এ পৃথকভাবে যাচাই
করেছেন।
- রায়: আল-আলবানী বলেছেন
—
“حسن” (হাসান)
সহীহ, যুবায়ের
আলী যাঈ রাহিমাহুল্লাহ
২. দ্বিতীয় হাদীস: বাম হাতে খাওয়া ও পান করতে নিষেধ
বর্ণনাকারী:
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
📚 (সহীহ মুসলিম
– হাদীস: ২০২০),
হাদীসটি সহীহ মুসলিম-এর সংকলনভুক্ত (হাদীস নং ২০২০)।
এটি বুখারী শরীফের বাইরে কেবল মুসলিম শরীফের একক বর্ণনাসমূহের মধ্যে অন্যতম।
🧾তাহকিক তাখরীজ: (মান নির্ণয়): ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ মুসলিম
গ্রন্থে হাদীসটি সংকলন করেছেন এবং সহীহ মুসলিমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এর মান 'সহীহ'
(বিশুদ্ধ)।
মূল বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা.)
৩. তৃতীয় হাদীস: ডান হাতে খাওয়া ও পান করার নির্দেশ (পুনরাবৃত্তি)
রাবী: আবদুল্লাহ
ইবনু উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)
উৎস: সহীহ
মুসলিম (হাদীস নং ২০২০)
সহায়ক উৎস: সহীহ
ইবনু হিব্বান (হাদীস নং ৫২২৬)
📘 তাহকীক ও তাখরীজ:
ইমাম মুসলিম ইবনুল হজ্জাজ
(রহ.) এই হাদীসটি নিজেই “সহীহ মুসলিম”-এ অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
➤ তাহকীক: মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ফুয়াদ আবদুল
বাকী (মিশর), “تحقيق صحيح مسلم”
➤ তাখরীজ: ইমাম মুসলিমের নিজস্ব তাখরীজ, এবং পরে ইমাম নওয়াওয়ী
(রহ.) তাঁর “شرح صحيح مسلم”-এ বিশদ ব্যাখ্যা
করেছেন।
ইমাম ইবনু হিব্বান (রহ.)
এই হাদীসটি তাঁর “সহীহ ইবনু হিব্বান” গ্রন্থে (নং ৫২২৬) সংকলন করেছেন।
➤ তাহকীক: শায়খ শু‘আইব আল-আরনাউত (رحمه الله)
➤ রায়: হাদীসটি সহীহ (صحيح)
সুনানে আবি দাউদ ৩৭৭৬, (সুনানে তিরমিযী:
১৮০০)
হাদীসের মান:সহীহ, শায়খ
আলী হাসান আল-হালাবী ও আলী আল-যাই (علي زئي)
একে "صحيح" (সহীহ) হিসেবে তাহকীক করেছেন।
মূল বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা.)
মুয়াত্তা ইমাম মালিক, মুয়াত্তা (Hadith 49-6), হাদীসের মান, সহীহ
More ref" আহমাদঃ 6184,(5847,5514 ,4537,4886 ,8306 , 8590
– শব্দ শৃঙ্খল ( আর্নৌত )সঠিক ( আল- আরনাউত )সহীহ/ইসনাদ সহীহ,
সুনানে দারেমী (2073)ইসনাদ সহীহ
সহীহ ইবন হিব্বান (5229):5226 , সহীহ,
- শব্দ ( আলবানি ), আল-আদাব আল মুফরাদ: ১১৮৯
________________________________
| ক্র. | হাদীসের উৎস | তাহকীক / মূল্যায়ন | তাহকীককারী আলেম | মন্তব্য |
|---|---|---|---|---|
| ১ | সহীহ মুসলিম (হাদীস নং ২০২০,৫২৬৭ ) | সহীহ | ইমাম মুসলিম নিজে | সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সহীহ সূত্র |
| ২ | সুনান আবু দাউদ (৩৭৭৬) | সহীহ | ইমাম আলবানী – সহীহ আবি দাউদ (নং ৩২০৮) | শুদ্ধ সনদে বর্ণিত |
| ৩ | সুনান ইবন মাজাহ (৩২৬৬) | সহীহ | শায়খ ‘আলী যা‘ঈ (ʿAli al-Zaʾī) | সনদ সহীহ — হিশাম ইবন হাসসান নির্ভরযোগ্য |
| ৪ | আল-মুওত্তা ইমাম মালিক (৬/৪৯) | সহীহ | ইমাম মালিক | সনদ উচ্চ ও নির্ভরযোগ্য |
| ৫ | মুসনাদ আহমাদ (৪৫৩৭, ৪৮৮৬, ৫৫১৪, ৫৮৪৭, ৬১৮৪, ৬৩৩২, ৮৩০৬, ৮৫৯০) | সহীহ | শায়খ শু‘আইব আল-আর্নাউত | বহু সনদে সহীহ, বারংবার বর্ণিত |
| ৬ | সুনান দারেমী (২০৭৩) | সহীহ | ইমাম দারেমী নিজে (وإسناده صحيح كما قال الداراني) | সনদে মালিক – ইবন শিহাব – ইবন উমর চেইন |
| ৭ | সহীহ ইবন হিব্বান (৫২২৬, ৫২২৯) | সহীহ | শায়খ শু‘আইব আল-আর্নাউত | দুই সনদে প্রমাণিত সহীহ |
| ৮ | আল-মুসান্নাফ ‘আবদুর রাজ্জাক (নং ১৭৯৬৭) | সহীহ | শায়খ হাবীবুর রহমান আল-আযমী | সহীহ মুসলিমের সনদের অনুরূপ |
| ৯ | আল-সুনান আল-কুবরা আন-নাসায়ী (৬৮৬২) | সহীহ | শায়খ আল-আর্নাউত (হুকুম দেননি, তবে সনদ সহীহ) | সনদ মুসলিমের সনদের অনুরূপ |
__________________ aro gadis:
আপনার জন্য উপযুক্ত স্নাতক পদ্ধতিটি বেছে নিন:
রেফঃ https://hadithunlocked.com/ibnmajah:3266
https://hadithportal.com/index.php?show=hadith&h_id=3881&uid=0&sharh=10000&book=31&bab_id=
https://hadithprophet.com/hadith-51018.html
https://hadithprophet.com/hadith-51020.html


0 Comments