Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল।।

🌿 বিষয়: জামাতে ভিড় হলে তাশাহহুদের সময় তাওয়ারুক (التورك) না করা

📖ফতোয়ার শিরোনাম:(ভিড়ের মধ্যে কাতারে(দাঁড়ানোর সময়) নামাযের শেষ বৈঠকে তাওয়াররুক ত্যাগ করার বিধান)। 🎙️শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায(রহিমাহুল্লাহ)👉নূর আলা দারব—অডিও ফতোয়া

উৎস: binbaz.org.sa

🌿 বিষয়: জামাতে ভিড় হলে তাশাহহুদের সময় তাওয়ারুক (التورك) না করা

(حكم ترك التورك في التشهد عند ازدحام الصف)

প্রশ্ন: ভিড়যুক্ত কাতারে নামায পড়া মুসল্লির জন্য তাওয়াররুক করার বিষয়ে কী নির্দেশ?

 উত্তর: যদি খুব কাছাকাছি হয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় এবং তাওয়াররুক না করলে সেই প্রয়োজন পূরণ হয়, তবে তাওয়াররুক করার দরকার নেই।

 তাওয়াররুক (নামাযের শেষ বৈঠকে এক বিশেষ পদ্ধতিতে বসা) হলো একটি সুন্নত এবং মুস্তাহাব (পছন্দনীয় কাজ)। এটি সাধারণত শেষ তাশাহ্হুদের (বৈঠকের) সময় করা হয়।

 কিন্তু যদি এই তাওয়াররুক করার কারণে কেউ তাঁর অন্য ভাইদের কষ্ট দেন, তবে তিনি তাওয়াররুক করবেন না।

 তিনি তার বাম পায়ের উপর বসবেন, যেমনটি তিনি দুই সিজদার মাঝখানে বসেন এবং প্রথম তাশাহ্হুদের সময় বসেন।

 এর কারণ হলো: ভাইদের কষ্ট দেওয়া একটি হারাম (নিষিদ্ধ) কাজ।

 তাই, একটি হারাম কাজকে বৈধ করার জন্য একটি মুস্তাহাব কাজ করা যাবে না। বরং তিনি মুস্তাহাব কাজটি ছেড়ে দেবেন, যাতে হারাম কাজটি এড়ানো যায়।

 কারণ, ভাইদের কষ্ট দেওয়া এবং তাদের উপর বাড়াবাড়ি করা জায়েজ নয়।

 সুতরাং, যদি কাতারে খুব ভিড় থাকে, তাহলে তিনি তাওয়াররুক করবেন না, বরং তাঁর বাম পায়ের উপর বসবেন, যেমনটি দুই সিজদার মাঝখানে বসেন, যদি তিনি তা করতে সক্ষম হন।

 আর যদি তিনি অসুস্থ হন বা অক্ষম হন এবং বসতে না পারেন, তবে তিনি যতটা সম্ভব করবেন এবং যথাসম্ভব কষ্ট দেওয়া এড়িয়ে চলবেন।

 উৎস:

N  [এই উত্তরটি, শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায(রহিমাহুল্লাহ)এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।,ফতোয়া নূর আলা আদ-দারব, নং- ১০৩৭৬, 443/44317 ]


🕊️ শিক্ষণীয় দিকসমূহ:

  1. অন্যের কষ্ট দূর করা ইসলামি দায়িত্ব:

    • ইসলামে অন্য মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া হারাম। তাই নামাজেও অন্যের আরাম ও জায়গার প্রতি সম্মান রাখতে হবে।

  2. সুন্নাত ত্যাগ করা যায় যদি তাতে ক্ষতি হয়:

    • তাওয়ারুক একটি সুন্নাত বসার ভঙ্গি, কিন্তু যদি এতে পাশের মুসল্লি কষ্ট পায়, তবে তা করা যাবে না।

    • অর্থাৎ, “হারাম বর্জন” সর্বাগ্রে, “সুন্নাত পালন” পরে।

  3. দ্বীন সহজ ও ভারসাম্যপূর্ণ:

    • শরীয়ত কখনো এমন কোনো কাজ চাপিয়ে দেয় না যাতে অন্যদের ক্ষতি হয়।

    • ইসলামে ভারসাম্য (মোদারাত) ও দয়া অগ্রাধিকার পায়।

  4. জামাতে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি শেখায়:

    • নামাজ শুধু আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক নয়; এটি ভাইদের প্রতি সহমর্মিতা ও শৃঙ্খলার শিক্ষাও দেয়।

  5. শরীয়তের অগ্রাধিকারবোধ:

    • ইসলাম শিক্ষা দেয়—“মাকরূহ বা হারাম থেকে বাঁচা” হলো “সুন্নাত আমল করার” চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

🌸 সংক্ষেপে শিক্ষা:

“সুন্নাত কাজও তখনই সুন্দর হয়,
যখন তাতে কারো কষ্ট না হয়।” 🌙

🧭 সারাংশ:

  • তাওরুক সুন্নত, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

  • যদি ভিড় হয় এবং এতে অন্য মুসল্লিদের কষ্ট হয়, তবে তাওরুক করা যাবে না।

  • বরং সাধারণভাবে বাম পায়ের ওপর বসা উচিত।

  • অন্যকে কষ্ট দেওয়া হারাম, তাই সুন্নত ত্যাগ করে হারাম থেকে বাঁচা উত্তম।

Post a Comment

0 Comments