📑দো’আঃ-৩. হাঁচি দেওয়ার পর বা নিজে হাঁচি দিলে যেন বলেঃ
🗣উচ্চারণ: আল-‘হামদু লিল্লা-হ। (কম পক্ষে বলে)।
📜হাদিসঃ নবী (ﷺ) বলেন, তোমাদের কেউ
হাঁচি দিলে সে যেন বলে বা কারো হাঁচি আসলে-
🗣উচ্চারণ:”আলহামদু লিল্লাহী ‘আলা কুল্লী হা-ল” বলা।
📑অর্থঃ (সকল প্রশংসা আল্লাহর, সকল অবস্থায়)।
N প্রমাণ: [সহীহ বুখারীঃ ৬২২৪, ৬২২১; সহীহ। সুনানে তিরমিযী, হাদীস
নং: ২৭৪১]
📑দো’আঃ-৪. অন্যের হাঁচি শুনলে বা কেউ হাঁচি দিলে তার উত্তরেঃ
🗣উচ্চারণ: ইয়ারহামুকাল্ল-হ। অর্থঃ (আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন)।
🌸শিক্ষনীয় বিষয়ঃ
§ নিজে হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ
বলে আল্লাহর স্মরণ করা সুন্নাহ।
§ অন্যের হাঁচি শুনলে ‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’ বলা, তাদের জন্য দোয়া করা
সুন্নাহ।
§ দৈনন্দিন ছোটখাটো কাজেও আল্লাহর
স্মরণ রাখা মুসলমানের জীবন শিষ্টাচারের অংশ।
§ যারা তা শোনবে তাদের প্রত্যেককে
তার জবাব দেয়া ওয়াজিব হবে।
N প্রমাণ: সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৬২২২-২৪
এবং হাইলে আস করনীয়ঃ
হাই তোলা শয়তানের কাজ। অতএব তোমাদের
কারো যখন হাই আসে, তখন যথাসম্ভব তা প্রতিরোধ করা উচিত। কারণ যখন কোন ব্যক্তি হাই তোলে,
তখন শয়তান তা দেখে হাসতে থাকে।
✍এর কারণ হচ্ছে: হাঁচির দ্বারা অনেক উপকার রয়েছে। যথা- 👇
↪১. হাঁচি দ্বারা মস্তিষ্কের নিষ্ক্রিয়তা
ও ক্লেশ দূর হয়।
↪২. মন সতেজ ও তরতাজা
হয়।
↪৩. মস্তিষ্ক হতে ময়লা
বের হয়ে আসে।
↪৪. অনুভূতি শক্তি প্রখর
হয়।
↪৫. মানুষের মনের অলসতা
কেটে প্রফুল্লতা ফিরে আসে।
↪৬. এটা আল্লাহর বিশেষ
এক নি‘আমাত।
↪৭. এর ফলে ‘ইবাদাতে,
কাজে-কর্মে, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হয়। কাজে হাঁচি আসাতে আল্লাহর প্রশংসা করা
উচিত।
এজন্য আল্লাহ তা‘আলা
হাঁচিকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা হাই তোলাকে অপছন্দ করেন।
✍এরূপ অপছন্দের কিছু কারণ রয়েছে নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো: ⮯
↪১. হাই তোলা শয়তানের কাজ।
↪২. হাই সাধারণত চরম ক্লান্তি ও অলস্যের নিদর্শন।
↪৩. এটা ‘ইবাদাতে ও কাজ-কর্মে সর্বদা বিঘ্ন ঘটায়।
↪৪. হাই মস্তিষ্কে জড়তা সৃষ্টি করে এবং অনুভূতি ক্ষমতা কমিয়ে
দেয়। ফলে ব্যক্তি অকর্মণ্য হয়ে পড়ে।
↪৫. হাই তোলার সাথে সাথে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে। ফলে প্রয়োজনীয় কর্তব্য ও আবশ্যকীয় কাজ রেখেই মানুষ কখনো কখনো ঘুমিয়ে পড়ে এবং তা দেখে শয়তান খুশি হয়। এ সকল কারণেই আল্লাহ তা‘আলা হাই তোলাকে অপছন্দ করেন।
📂 হাই ও হাঁচি আসলে কি ভাবে বাধা দিবেনঃ
📙হাদিসের এর বিশ্লেষণ: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাই তোলার কারণে শয়তান হাসে। কেননা, উদরপূর্তিজনিত শারীরিক
ক্লান্তি হতেই হাইয়ের উৎপত্তি। আর হাই ‘ইবাদাত ও আনুগত্যের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
করে। যা শয়তানের একান্ত কামনা। সুতরাং কেউ হাই তুললে শয়তান অত্যন্ত খুশি হয়।
📜হাদিসঃ 1 আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, যখন তোমাদের কারো হাই আসে সে তার হাত মুখে রাখবে কেননা শয়তান তার মুখের ভিতর প্রবেশ।
📜হাদিসঃ 2 আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দেয় সে যেন হাতের তালু চেহারায় রাখে এবং আওয়াজ হালকা, আস্তে করে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হাঁচি দিতেন তখন স্বীয় হাত কিংবা কাপড় দ্বারা চেহারা আবৃত করে রাখতেন। এটা এজন্য যে, একদিকে মাজলিসের আদব রক্ষেত হয় এবং অন্যদিকে হাঁচি দেয়ার সময় মানুষের চেহারা এমন অস্বাভাবিক হয়ে যায় যা অপরের কাছে খারাপ লাগতে পারে।
তাই মানুষের দৃষ্টি আড়াল করার জন্য চেহারা ঢেকে নেয়া হয়।
আবার মুখে যদি হাত বা কাপড় না দেয়া হয়, তবে মুখের থুথু, কফ, নাকের ভিতরের ময়লা
অন্যের শরীরে কিংবা নিজের শরীরে পড়েও জামা-কাপড় অপরিষ্কার হতে পারে। আবার হাঁচির আওয়াজ
বড় হলেও অপরের বিরক্তির কারণ হতে পারে, তাই মুখে হাত বা কাপড় দিতে হয়। (বেশীর ভাগই
মানুষ জানেই না)।




0 Comments