🕋 জুম্মার মাসায়েল পর্বের অংস
🎙️ আলেম: শায়খ মতিউর রহমান আল-মাদানী হাফিযাহুল্লাহ্।
সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ এই ভিডিওতে আলোচিত হয়েছে আল্লাহর রাসুল সাঃ নাম শুনলে,
ইমাম আমিন বললে, ও দুয়ার সময় হাত টোলা সম্পর্কে,ইসারা করা সম্পর্কে।
🎙️ইমাম যদি খুতবায় মুসলমানদের জন্য দু’আ করেন, তবে তার দু’আয় আমীন বলা মুস্তাহাব।
কিন্তু তা উঁচু আওয়াযে ও সমবেত কন্ঠে যেন না হয়। প্রত্যেকে আলাদাভাবে নীরবে নীচু কন্ঠে ‘আমীন’ বলবে।
যাতে করে সেখানে অন্যের অসুবিধা এবং চেঁচামেচী না হয়।
জুমআর খুতবায় ইমামের দু’আ করার সময় হাত উত্তোলন করা শরীয়ত সম্মত নয়। জুমআর খুতবায় দু’আ করার সময় খলীফা বিশ্র বিন মারওয়ান দু’হাত উত্তোলন করলে ছাহাবায়ে কেরাম তার প্রতিবাদ করেন।
কিন্তু এর ব্যতিক্রম হচ্ছে ইস্তেস্কার দু’আ। এদু’আ পাঠ করার সময় হাত উত্তোলন করবে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত হয়েছে,
তিনি জুমআর খুতবায় বৃষ্টি প্রার্থনার দু’আয় হাত উত্তোলন করেছেন। লোকেরাও তাঁর সাথে হাত উঠিয়েছেন।
এছাড়া জুমআর খুতবায় অন্যান্য দু’আর ক্ষেত্রে হাত উত্তোলন করা উচিৎ নয়।
খুতবায় হাত তুলে দুআ বিধেয় নয়।
(আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭২পৃ:)
বরং এই সময় কেবল তর্জনীর ইশারায় দুআ করা বিধেয়।
বিশর বিন মারওয়ানকে খুতবায় হাত তুলে দুআ করতে দেখে উমারাহ্ বিন রুয়াইবাহ্ বললেন, ‘ঐ হাত দুটিকে আল্লাহ বিকৃত করুন।’
(মুসলিম, সহীহ ৮৭৪, আবূদাঊদ, সুনান ১১০৪নং)
মাসরুক বলেন, ‘(জুমআর দিন ইমাম-মুক্তাদী মিলে যারা হাত তুলে দুআ করে) আল্লাহ তাদের হাত কেটে নিন।’ (ইবনে আবী শাইবা ৫৪৯১ ও ৫৪৯৩ নং)
বিধেয় নয় মুক্তাদীদের হাত তুলে দুআ। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭৩পৃ:)
বরং ইমাম খুতবায় (হাত না তুলে) দুআ করলে, মুক্তাদীহাত না তুলেই একাকী নিম্নস্বরে বা চুপে-চুপে ‘আমীন’ বলবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪২৭, ৪২৮)
(বুখারী ৯৩২, ৯৩৩, ১০১৩, ১০২৯, মুসলিম, সহীহ ৮৯৭নং) সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
📥 ভিডিও ডাউনলোড করুন


0 Comments