খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের ৭ম পর্ব!
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র
জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর
প্রতি।
► ওয়া'বাদ,
প্রিয় দ্বীনী ভাই ও
বোনেরা,
আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজি চিহ্নিতকরণ ও
তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের ৭ম
পর্ব!
আজকে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য যেগুলো সাধারনত খারেজীদের মধ্যে পাওয়া যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ!
● বাড়তি বৈশিষ্ট্যঃ ১
"অকৃতজ্ঞতা এবং কোন মুসলিম শাসকের নেক আমল ও
অবদানকে খাটো করে দেখা "
এসব দল
অর্থাৎ খারেজী এবং অ-খারেজী উভয়েই – মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তাদের অকৃতজ্ঞতার ক্ষেত্রে সকল সীমা অতিক্রম করে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা এরকমটা করে থাকে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে! যেমন:
► স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সময় ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে ভিআইপি এর
সুবিধা না
পাওয়!
► জিসিসি ভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকত্ব না পাওয়া এবং এর
মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা আদায় করতে না
পারা!
► শর্তহীন ফ্রি বাণিজ্য করার লাইসেন্স না
পাওয়া
ভালো বেতন না পাওয়া অথবা এই
কারণে যে
তারা অমুসলিমদের দেশে কিছু একটা সুযোগ সুবিধা পায় যা তারা মুসলিমদের দেশে আসার পর
থেকে পায় না সুতরাং ওই মুসলিম ভুমি তাদের অন্য যত
বৈষয়িক এবং দ্বীনি সুবিধা দিয়েছে তার সব কিছু তারা ভুলে যায় শুধুমাত্র অমুসলিমদের দেশ থেকে পাওয়া কিছু আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে!
তাদের (খারিজীদের) কারণগুলো এরকমই।
বিভিন্ন সংগঠনের উপরের স্তরগুলো থেকে যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং এবং পরিবর্তন সাধনের ডাক দেয়, তারা এরকমটা করে মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ যেমন সরকারী খাতগুলোতে তাদের কোম্পানির শেয়ার থাকা, ইত্যাদি অসৎ উদ্দেশ্যে।
এ ধরণের স্পর্শকাতর তথ্য আলোচনা করার জায়গা এই
কলাম না,
কিন্তু বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ পাঠক মাত্রই বুঝে নিতে পারবেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। আল্লাহ্র
নবী মুহাম্মাদ ﷺ যে সমস্ত হাদিস আমাদেরকে কৃতজ্ঞ থাকার আদেশ দেয় সেগুলো সংখ্যায় অনেক।
✍ হাদিসে এমনও আছে যে
আল্লাহ্র
নবী মুহাম্মাদ ﷺ
বলেছেন:
“যে ব্যক্তি লোকদেরকে তাদের উপকারের জন্য ধন্যবাদ দেয় না (তাদের করা উপকারের জন্য), সে
আল্লাহ্কেও (ঠিকভাবে) ধন্যবাদ দেয়নি। মহান এবং মহিমান্বিত তিনি!” (মুসনাদ আহমাদ, সুনান আত-তিরমিযি)
এটি নিঃসন্দেহে অনেক বড়
একটি গুণ, তা না
হলে মানুষকে ধন্যবাদ দেয়ার কাজটিকে আল্লাহ্কে ধন্যবাদ দেয়ার সাথে উল্লেখ করা হতো না। অপর এক হাদিস
আল্লাহ্র
নবী মুহাম্মাদ ﷺ বলছেন: কোন ভালো কাজকেই ছোট করে দেখো না
বা মনে করো না
যে সেই কাজটি তুচ্ছ, যদিওবা তা
তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা হয়। এবং নাবিজী এই ছোট ছোট কাজগুলোকেও সদাকার অন্তর্ভুক্ত করেছেন! এই
হচ্ছে ইসলামে ছোট ছোট আমলগুলোর পুরষ্কার এবং মর্যাদা! অপর এক
হাদিসে কারও পানির পাত্র ভর্তি করে দেয়াকে সৎকাজে আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করার সাথে তুলনা করা হয়েছে, যদি কেউ আর
কোনও উপায়ে তা করতে না পারে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এবং তার সাহাবীদের জীবন থেকে এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে, যেখানে তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট মুনাফিক অথবা মুশরিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন যখন তারা একজন বা
দুজন মুসলিমের কোন উপকার করেছে। যেমন,
✍রাসুলুল্লাহ ﷺ মনে রেখেছিলেন সেই সময়ের কথা যখন মুত’ইম
ইবনে আদি তাকে সাহায্য করেছিল, এমন এক সময়ে যখন আর
সবাই তার দিক থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নিয়েছিল এবং মক্কায় প্রবেশের জন্য তাকে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তখন মূর্তিপূজারী , রাসুলুল্লাহ ﷺ এর
বাণীকে প্রত্যাখ্যানকারী, কুরাইশি মুত’ইম ইবনে আদি
আল্লাহ্র
নবী মুহাম্মাদ ﷺ নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তার জীবন বহুলাংশে সহজ করে দিয়েছিল ওয়ালিল্লাহিল হামদ। কিন্তু তার মৃত্যু হয়
কুফরের উপর।
এর কয়েক বছর পরে যখন আল্লাহ্র নবী মুহাম্মাদ ﷺ হাতে বেশ কয়েকজন যুদ্ধবন্দী এসে পরে, যারা সেই সময়ের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হতো, তখন তিনি প্রকাশ্যে এবং উচ্চস্বরে বলেন:
“আজ যদি আল-মুত’ইম বিন আদি জীবিত থাকতো এবং সে এই
লোকগুলোর ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করতো, তাহলে আমি তার জন্যে এদেরকে মুক্ত করে দিতাম”
[রেফ: বুখারী (১৩৯৩, ৬৫১৬)]
এরকম আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে, কেয়ামত পর্যন্ত মুনাক্বিকদের সর্দার হয়ে থাকা আবদুল্লাহ বিন উবাই আল-সালুলকে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জানাযা দেয়া এবং তাকে নিজের চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
বর্ণিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ ﷺ তার চাদর আবদুল্লাহ বিন উবাই ইবনে সালুলকে দিয়েছিলেন এবং তার মৃত্যুর পর
তাকে এটি দিয়ে তার কাফনের ব্যবস্থা করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ এজন্যে এমনটা করেছিলেন কারণ সে
(আবদুল্লাহ বিন উবাই) নাবিজীর চাচা আল-আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবকে পরার জন্য একটি কাপড় দিয়েছিল যখন তিনি বদরের যুদ্ধে বন্দি হন, সুতরাং রাসুলুল্লাহ ﷺ এর
বিনিময়ে তাকে একটি কাপড় প্রদান করেন যদিও সে
ছিল মুনাফিকদের নেতা যেমনটা আমরা সকলেই জানি!
✍ ইবনে ইসহাক রাদিঃ বলেছেন:
قال ابن إسحاق: و كان ممن قتل يوم أحد مخيريق، وكان أحد بني ثعلبة بن الغيطون، فلما
كان يوم أحد قال: يا معشر يهود، والله لقد علمتم أن نصر محمد عليكم لحق. قالوا:
إن اليوم يوم السبت. قال: لا سبت لكم، فأخذ سيفه وعدته وقال: إن أصبت فمالي لمحمد
يصنع فيه ما شاء. ثم غدا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقاتل معه حتى قتل، فقال
رسول الله صلى الله عليه وسلم فيما بلغنا: ((مخيريق خير يهود)).
“উহুদের দিনে যারা নিহত হয়েছিল তাদের একজন ছিল মুখাইরিক, এবং সে ছিল বানু সালাবাহ ইবনে আল-ঘাইসুন গোত্রের।
উহুদের দিনে সে বলেছিল, ‘হে ইহুদিরা! আল্লাহ্র
কসম, তোমরা ভালো করেই জানো যে
মুহাম্মাদকে সাহায্য করা তোমাদের জন্য কর্তব্য!’ তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয়ই আজকের দিন হচ্ছে সাবাথের দিন (ইহুদিদের বিশ্রাম নেয়ার দিন)’ সে জবাব দিল, ‘তোমাদের যেন কোনদিন বিশ্রাম না
হয়’।
এরপর সে
তার তলোয়ার এবং তার সরঞ্জামাদি নিয়ে নিল এবং বলল, ‘আমি যদি নিহত হই (যুদ্ধ করতে গিয়ে), তাহলে আমার সম্পদ মুহাম্মাদের কাছে যাবে, সে তা
দিয়ে যা
ইচ্ছা করতে পারে”।
এরপর সে
আল্লাহ্র
রাসুল সাঃ এর কাছে চলে গেল এবং তার পাশে থেকে যুদ্ধ করল যতক্ষণ না
সে নিহত হলো। সুতরাং আল্লাহ্র রাসুল সাঃ তার ব্যাপারে বললেন, ‘মুকাইরিক হচ্ছে ইহুদীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ’”।
রাসুলুল্লাহ ﷺ শুধু যে তার প্রশংসা করেছিলেন তাই নয়
বরং তার অর্থ সম্পদকে ওয়াকফ করে দেয়ার মাধ্যমে তিনি তা
মুসলিমদের কাজে লাগিয়েছিলেন! কি
অসাধারণ সম্মাননা আর কৃতজ্ঞতা প্রর্দশন করলেন একজন অমুসলিমের জন্যে শুধুমাত্র তার একটি উপকারের কারণে!
✍ এক মহিলাকে একবার থামানো হয়েছিল এবং তাকে বলা হয়েছিল রাসুলুল্লাহ ﷺ কে পানি দিতে। ঘটনাটি বেশ দীর্ঘ, কিন্তু মূল কথা হচ্ছে সেই মহিলা তার পানির পাত্র দিয়ে মুসলিমদের সাহায্য করেছিলেন।
সেই হাদিসটি বলছে:
فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ يُغِيرُونَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ،
وَلاَ يُصِيبُونَ الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ مِنْهُ، فَقَالَتْ يَوْمًا لِقَوْمِهَا مَا
أُرَى أَنَّ هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ يَدَعُونَكُمْ عَمْدًا، فَهَلْ لَكُمْ فِي الإِسْلاَمِ
فَأَطَاعُوهَا فَدَخَلُوا فِي الإِسْلاَمِ.
এরপর থেকে মুসলিমরা তার চারপাশে বসবাসরত পৌত্তলিকদেরকে আক্রমণ করতেন কিন্তু তার বসতিটি সবসময় এড়িয়ে যেতেন। একদিন সেই মহিলা তার গোত্রের লোকদেরকে বললেন: “আমার মনে হয়
তারা ইচ্ছা করে তোমাদেরকে বাদ দিয়ে যায়। তোমাদের কি
ইসলামের প্রতি কোন আগ্রহ আছে? তারা তার কথা শুনলো এবং তারা সবাই ইসলাম গ্রহণ করলো। আবু আবদুল্লাহ বলেন: “সাবা শব্দটির অর্থ “এমন একজন যে তার পূর্বের ধর্মকে ত্যাগ করেছে এবং কোন নতুন ধর্ম গ্রহণ করেছে”। আবুল আইলিয়া বলেন, সা’বি-রা হচ্ছে আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে একদল লোক যারা যবুর কিতাব থেকে তিলাওয়াত করে”।
[রেফ: সাহিহ আল-বুখারী ৩৪৪]
এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে যা
প্রমাণ করে যে নাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম, এবং যেকোনো সম্মানের উপযুক্ত এবং আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোক, কখনো তাদের শত্রুর দ্বারা তাদের কোন ক্ষুদ্র উপকারের কথাও ভুলে যেতেন না। কিন্তু আজকের খারেজিরা বিগত দিনগুলির খারেজিদের চেয়েও নিকৃষ্ট এই
কারণে যে
অন্ততপক্ষে আগেকার দিনের খারেজিরা মুসলিম শাসকদের ভালো দিকগুলো স্বীকার করে নিত। অথচ আজকের যুগের খারেজিরা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অনুদানকেও ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে, মিথ্যাচার করে খারাপ কিছু বলে দাবি করে।
✍ আজকের দিনের খারেজিদের অকৃতজ্ঞতা আগেকার দিনের খারেজিদের চাইতে বহুগুণ খারাপ!
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর
মতো একজন সাহাবীকেও তার নিজের অবদানের কথা একটা একটা করে খুলে বলা লেগেছিল তার সময়কার খারেজিদের সামনে। তাদের সমালোচনার সম্মুখে তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন যে
তিনি কোন কোন কাজের জন্য প্রসংসার উপযুক্ত ছিলেন, এবং সেসময় তিনি মুসলিমদের খলিফা ছিলেন।
শেষের দিকে
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের কাছে গেলেন এবং বললেন: “তোমার সেই দুই জন
সঙ্গীকে নিয়ে আসো যে
তোমাকে আমার বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়েছে… উসমান তাদের কাছে গেলেন এবং বললেন: আমি তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি আল্লাহ্ এবং ইসলামের নামে, তোমরা কি জানো যে-
প্রথমত: আল্লাহ্র রাসুল সাঃ যখন মদিনাতে এসেছিলেন তখন সেখানে রুমাহ কূপ ছাড়া মিঠা পানির আর
কোন উৎস ছিল না?
তখন নাবিজী সাঃ বলেছিলেন “কে আছে যে রুমাহ কূপ ক্রয় করে নেবে এবং এর
পানি মুসলিমদেরকে দিবে জান্নাতে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট একটি কূপের বিনিময়ে? তখন আমি আমার সম্পদ দিয়ে এটা কিনে নিয়েছিলাম, কিন্তু আজকে তোমরা আমাকে এর থেকে পান করতে বাঁধা দিচ্ছ যতক্ষণ না
আমি সমুদ্রের পানি পান করি?
তারা বললো: আল্লাহ্র
কসম, এই
কথা সত্যি।
দ্বিতীয়ত: মসজিদে সলাত আদায় করতে আসা সব লোকের যায়গা হতো না। আল্লাহ্র
রাসুল সাঃ বলেছিলেন: “কে
অমুকের জমিটি কিনে নিবে যাতে মসজিদ বড় করা যায়, জান্নাতে এর চেয়ে উত্তম একটি জমির বিনিময়ে?” তখন আমি আমার টাকা দিয়ে সেটি কিনে নিয়েছিলাম, কিন্তু আজকে তোমরা আমাকে সেখানে দুই রাকাত সলাত আদায় করতে দিচ্ছ না?
তারা বললো: আল্লাহ্র
কসম, এই
কথা সত্যি
তৃতীয়ত: “কষ্টের সময়ের” বাহিনীকে আমি আমার টাকা দিয়ে যুদ্ধের সরঞ্জাম কিনে দিয়েছিলাম।
তারা বলল: আল্লাহ্র
কসম, এই
কথাও সত্যি!
এরপরে তিনি বললেন: আমি তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি (আল্লাহ্ এবং ইসলামের নামে), তোমরা কি জানো
চতুর্থত: আল্লাহ্র রাসুল সাঃ সাবির (মক্কাহ এবং আরাফার মাঝখানে একটি পাহাড়) এর উপর ছিলেন আবু বকর, উমর, এবং আমার সাথে। তাই পাহাড়টি কাঁপতে লাগলো যতক্ষণ না
এর পাথরগুলো খসে পড়তে শুরু করলো।
তিনি সাঃ পাহাড়টিকে পা
দিয়ে আঘাত করলেন এবং বললেন: “ও
সাবির, শান্ত হও, কেননা তোমার উপর আছে একজন নবী, একজন সত্যবাদী ব্যক্তি, এবং একজন শহীদ। “তারা বলল: আল্লাহ্র
কসম, এই
কথা সত্যি।
তিনি বললেন: আল্লাহু আকবর, কা’বার রবের কসম, এরা সাক্ষ্য দিচ্ছে যে
আমি হচ্ছি একজন শহীদ (তিনবার)
► নোটঃ যে
কারণে তখনকার দিনের খারেজিরা আজকের দিনের খারেজিদের চাইতে উত্তম ছিল তা হচ্ছে এই যে,
আগেকার দিনের খারেজিরা অন্ততপক্ষে শাসকদের গুণাবলী এবং তাদের ভালো কাজগুলির কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতো, যেখানে আজকে তারা প্রত্যেক ভালো কাজ এবং অবদানের বিকৃত ব্যাখ্যা দাড় করায় এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলির ভালো উদ্যোগগুলিকেও ষড়যন্ত্র বানিয়ে ছাড়ে।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ মুলঃ শাইখ ফায়সাল বিন কাজ্জার!
■ অনুবাদঃ আবু আবরার।
● সম্পাদনাঃ আখতার বিন আমীর।
সমস্থ অডিও পেতে- https://salafimp3.blogspot.com/
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► ২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► ৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► ৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► ৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► ৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► ৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► ৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► ৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম ও শেষ পর্ব!
■ আরও পড়তে সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক -
খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-রাসিকুল ইন্ডিয়া serch rasikulindia সমস্থ অডিও পেতে- https://salafimp3.blogspot.com/
0 Comments