কি ভাবে খারিজিদের চিনবেন? চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের ৫ম পর্ব।
আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তাআ'লা-র
জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও
সালাম বর্ষিত হোক
সর্বশেষ নাবী ও
রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর
প্রতি।
► ওয়া'বাদ,
আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের ৫ম পর্ব।
উল্লেখ্য যে, যেকোন আল্লাহর বান্দা কপি করতে চাইলে তা কোনরুপ কাটছাট ছাড়াই অনুবাদিত আর্টিকেল-টি হবহু কপি করুন !
জায্বাকুমুল্লাহ।
● চিহ্নিতকারী বৈশিস্ট্যঃ ১৫:
"তারা তাদের ভুল ব্যাখ্যার দরুন লড়াই করে যতক্ষণ না ফিৎনার উৎপত্তি হয়, এর বিপরীত করার পরিবর্তে"।
✍ ইবনে
উমার রাঃ এর একটি অসাধারণ সুন্দর জবাব আছে, তাদের বিরুদ্ধে যারা জিহাদের আয়াত মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করে।
“বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে যে, আয-যুবায়েরের সংঘাত যখন চলাকালীন দুজন লোক ইবনে উমারের কাছে আসলো এবং তাকে বললো, “লোকেরা ঈমান-আমলের
ক্ষেত্রে ঘাটতিতে পরে গিয়েছে এবং আপনি হচ্ছেন উমারের ছেলে এবং আল্লাহ্র রাসুলের সাহাবী। সুতরাং
কোন জিনিস আপনাকে আল্লাহ্র রাস্তায় (জিহাদে) বেরিয়ে যাওয়া থেকে ঠেকাচ্ছে? তিনি বললেন, “আমাকে যা
বাঁধা দেয় তা হলো এই যে, আমার মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানোকে আল্লাহ্ আমার জন্য হারাম করেছেন”।
তারা বলল, “আল্লাহ্ কি
বলেননি:
(এবং তাদের সাথে লড়াই করো যতদিন না ফিতনা দূরীভুত হয় (কুফর এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যদের উপাসনা)”।
তিনি বললেন, “সত্যিই আমরা
লড়াই করেছি যতদিন না ফিতনা দূরীভুত হয়েছে এবং দ্বীন একমাত্র আল্লাহ্র জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তোমরা
লড়াই করতে চাও যতক্ষণ না ফিতনা তৈরি হয় এবং দ্বীন আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের জন্য সাব্যস্ত হয়!”
[রেফ: ইবনে কাসির সুরাহ বাকারার ১৯০-১৯৩ নং আয়াতের তাফসিরে এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন]
✍ ইমাম
ইবনে আল-জওজী আমাদেরকে বলছেন: ‘আলী রাযিঃ
সিফফিন থেকে ফেরত আসলেন এবং কুফায় প্রবেশ করলেন: খারেজিরা তার অনুসরণ করল না। বরং
তারা হারুরা নামক স্থানে বসতি স্থাপন করল। তারা
সংখ্যায় ছিল বার হাজার, এবং তারা (কুরআনের আয়াত এবং অন্যান্য লিখনীর অপব্যাখ্যা করছিল) এই বলে যে: ইনিল হুকমা ইল্লা লি’ল্লাহ – “কোন বিচার
হতে পারে না, আল্লাহ্র বিচার ছাড়া (তারা এই কথার মাধ্যমে আলী রাঃ এর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ তৈরি করে নিয়েছিল)। এভাবেই তাদের সুত্রপাত হয়।
[রেফ: তাবলিস ইবলিস (শয়তানের ধোঁকা) পৃষ্ঠা ৮৯]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৬:
"তারা কমবয়সী মেয়েদের, স্ত্রীদের, এবং পরিবারের সদস্যদের প্ররোচিত করে তাদের পরিবার এবং দায়-দায়িত্ব ফেলে তাদের তথাকথিত সাম্রাজ্যে যোগ দিতে"!
✍ ঈমাম
ইবনে কাসির রাহিমাহুল্লাহ, তার সময়কার খারেজিরা এবং তাদের সমর্থকগোষ্ঠী যুবক বয়সীরা কিভাবে আচরণ করত তার বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন:
« ثُمَّ خَرَجُوا يَتَسَلَّلُونَ وُحْدَانَا ; لِئَلَّا يَعْلَمَ أَحَدٌ بِهِمْ فَيَمْنَعُوهُمْ
مِنَ الْخُرُوجِ فَخَرَجُوا مِنْ بَيْنِ الْآبَاءِ وَالْأُمَّهَاتِ وَالْأَعْمَامِ
وَالْعَمَّاتِ وَفَارَقُوا سَائِرَ الْقِرَابَاتِ ، يَعْتَقِدُونَ بِجَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ
عِلْمِهِمْ وَعَقْلِهِمْ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ يُرْضِي رَبَّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ
، وَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّهُ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ وَالذُّنُوبِ الْمُوبِقَاتِ
، وَالْعَظَائِمِ وَالْخَطِيئَاتِ ، وَأَنَّهُ مِمَّا يُزَيِّنُهُ لَهُمْ إِبْلِيسُ
وَأَنْفُسُهُمُ الَّتِي هِيَ بِالسُّوءِ أَمَّارَاتٌ . وَقَدْ تَدَارَكَ جَمَاعَةٌ
مِنْهُمْ بَعْضَ أَوْلَادِهِمْ وَقَرَابَاتِهِمْ وَإِخْوَانِهِمْ فَرَدُّوهُمْ وَوَبَّخُوهُمْ
، فَمِنْهُمْ مَنِ اسْتَمَرَّ عَلَى الِاسْتِقَامَةِ ، وَمِنْهُمْ مَنْ فَرَّ بَعْدَ
ذَلِكَ فَلَحِقَ بِالْخَوَارِجِ فَخَسِرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ .»
“তারা বের হয়ে যেত, গোপনে এবং একাকী, যাতে করে তাদের ধরা পড়তে না হয় এবং যাতে কেউ তাদের চলে যাওয়া রোধ করতে না পারে। তারা
চলে যেত তাদের বাবাদের এবং মায়েদের মাঝ থেকে, তাদের চাচা এবং খালাদের মধ্য থেকে, আত্মীয়-স্বজনকে পেছনে ফেলে দিয়ে। তাদের
অজ্ঞতার কারনে তারা মনে করতো - (যেহেতু তাদের
জ্ঞান এবং উপলদ্ধি একদম নগণ্য ছিল) যে এরকম কাজ আসমান এবং জমিনের মালিকের কাছে পছন্দনীয় হবে, তারা বুঝতো না যে তারা সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ করে বসছে, যা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং সর্বনিকৃষ্ট পাপগুলোর একটি, আর তারা বুঝতো না যে এই কাজ তাদের কাছে নয়নপ্রীতিকর করে তুলেছে শয়তান এবং তাদেরই নিজেদের অহংবোধ, যা তাদেরকে নষ্টামিতে লিপ্ত হতে বদ্ধপরিকর হয়ে ফেলেছে। কেউ
কেউ তাদের সন্তান, আত্মীয়, এবং ভাইদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল, এবং তাদের ফেরত এনে তাদেরকে তিরস্কার করতে পেরেছিল। এরপর
এদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে ন্যায়পরায়নতার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, কিন্তু বাকিরা আবার পালিয়ে গিয়ে খারেজিদের সাথে যোগ দেয়, এবং এভাবে তারা কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়”।
[রেফ: আল-বিদায়া ওয়া’ল নিহায়া, খণ্ড ১০, পৃষ্ঠা ৫৮১]
সুবহানাল্লাহ এই ঘটনার সাথে এখন যা ঘটে চলেছে তার কি আশ্চর্য মিল! প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি এদের বৈশিষ্টগুলোকে বছরের পর বছর ধরে একই রকম রেখে দিয়েছেন যাতে আমাদের জন্য এদেরকে চেনা সহজ হয়।
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৭:
"তারা তাদের দাবীকৃত খিলাফার পক্ষে লড়াই করে যদিও তা করতে গিয়ে তাদের স্ফটিক স্বচ্ছ সুন্নাহর বিপরীতে যেতে হয়"।
✍ সাইদ
ইবনে জুবাইর বর্ণনা করেছেন: আবদুল্লাহ বিন উমার এসে আমাদের সাথে দেখা করলেন এবং আমরা আশা করতে লাগলাম যে তিনি হয়তো আমাদেরকে ভালো কিছু বর্ণনা করে শোনাবেন। এক
লোক তার কাছে আসলো এবং বলল: “ও আবু
আব্দুর রহমান, আমাদেরকে জুলুম-নির্যাতনের সময় লড়াই করা সম্পর্কে বলুন যেমনটা আল্লাহ্ বলেছেন: “এবং লড়াই
কর যতক্ষণ না অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হয়”। (২:১৯৩)
ইবনে উমার বললেন, “তোমরা কি
জানো অন্যায় অত্যাচার কি? তোমার মা যেন তোমাকে হারিয়ে শোকার্ত হন! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, শুধুমাত্র পৌত্তলিকদের সাথেই লড়াই করেছিলেন যেহেতু দ্বীন পালন করার ক্ষেত্রে তখন নির্যাতনের শিকার হওয়া লাগছিল। এটা
তোমরা যেভাবে শাসনক্ষমতা লাভ করার জন্য লড়াই করছো সেরকম নয়”।
[রেফ: সহিহ বুখারী ৬৬৮২]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৮:
"তারা দ্বীনের বিধান প্রয়োগ করতে চায় নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই"।
✍ ইমাম
গাজ্জালী আস-সুফী রাহিমাহুল্লাহ কিছু কথা বলেছিলেন যা খারেজিদের যুক্তিখণ্ডন করে এবং তাদের বানোয়াট, মনগড়া ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণিত করে!
তিনি রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন:
“দ্বীনের ব্যাপারগুলো ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশ লাভ করতে পারেনা যতক্ষণ না গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে নিরাপত্তা অর্জিত হয়। তা
না হলে, কেউ যদি তার সমস্ত সময় অত্যাচারীদের তলোয়ার থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যস্ত থাকে, এবং হামলাকারীদের হাত থেকে নিজের রিজিক উদ্ধারে ব্যস্ত থাকে, তাহলে কখন সে কাজ করবে আর কখন সে ইলম অন্বেষণ করবে, যা কিনা তার আখিরাতে সুখ-শান্তি অর্জন করার মাধ্যম!
সুতরাং, দুনিয়াবী বিষয়সমূহ ভালো অবস্থায় থাকা – এবং এর
দ্বারা আমি বোঝাচ্ছি মানুষের প্রয়োজনসমূহ পূরণ হওয়া – হচ্ছে দ্বীনি
ক্ষেত্রে ভালো অবস্থায় থাকার পূর্বশর্ত”।
[রেফ: আল-ইক্বতিসাদ ফিল ইত্বিকাদ]
এই একই কথা শায়েখ সালিহ আল ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বার বার বলছেন। নিরাপত্তা ছাড়া কখনো শান্তি আসতে পারে না। দেখুন
তারা মুসলিমদের ভূখণ্ডগুলোকে কি বানিয়ে ছেড়েছে। লক্ষাধিক মুসলিম তাদের জীবন হারিয়েছে, ঘরবাড়ি হারিয়েছে, সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়েছে, আয় উপার্জনের পথ হারিয়েছে, পরিবার হারিয়েছে… এর সবকিছু হয়েছে এই দলগুলোর একটা ৫০ বর্গফুটের খিলাফা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে।
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৯:
"তারা অমুসলিমদের দেশে বাস করতে থাকা তাদের সমমনা লোকদের এবং অনুসারীদেরকে আহ্বান জানায় যে তারা যেন তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। যদিও
অমুসলিম দেশে বাস করার ভিসা দেয়ার সময় তাদেরকে আইন মেনে চলতে রাজি থাকার শর্তে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে"।
এই যদি হয় একজন অমুসলিমের কাছ থেকে চুরি করার বিধান (যে আমাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করছে), তাহলে তাকে
হত্যা করার বিধান কি হতে পারে?
✍ ইমাম
শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) এমন লোকদের সম্পর্কে বলছেন যারা কাফিরদের ভুমিতে প্রবেশ করে এবং তাদের সম্পদের কিছু অংশ নিয়ে নেওয়ার সুযোগ তাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়: যদি কোন মুসলিম নিরাপত্তা নিয়ে দার আল-হারবে প্রবেশ করে (অর্থাৎ কাফির কতৃপক্ষের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে), এবং তাদের
কিছু সম্পদ নিয়ে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে তার জন্য এর কোন অংশ গ্রহণ করা বৈধ হবেনা, হোক তা কম কিংবা বেশী, কেননা সে তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছে, সুতরাং তাদেরও উচিৎ তার কাছ থেকে নিরাপদ থাকা। এবং
সম্পদ গ্রহণ করা নিষিদ্ধ বেশ কিছু ক্ষেত্রে:
১) যদি এর মালিক মুসলিম হয়,
২) যদি এর মালিক মুসলিম রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পেয়ে থাকে
৩) যদি এর মালিক কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরাপত্তা পেয়ে থাকে
[রেফ: আল-উম্ম, ৪/২৪৮]
✍ আল-সারকাসী
(রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: “নিরপত্তার প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত কোন মুসলিমের জন্য এটা সমীচীন নয় যে সে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, কেননা বিশ্বাসঘাতকতা করা হারাম”।
সে যদি তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং তাদের সম্পদ দার আল-ইসলামে (মুসলিম ভুমিতে) নিয়ে যায়, তাহলে কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ হবেনা যে সে তার কাছ থেকে জেনেশুনে এমন বস্তু ক্রয় করবে, কেননা এই জিনিস সংগ্রহ করা হয়েছে হারাম পন্থায়, এবং এই লোকের কাছ থেকে ক্রয় করা হলে সে এই একই কাজ আবার করার জন্য উৎসাহ পাবে, এবং কোন মুসলিমের জন্য এমনটা করা বৈধ হবেনা। এ
সম্পর্কে প্রাথমিক মূলনীতি হচ্ছে আল-মুঘিরা ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিস…
[রেফ: আল-মাসবুত, ১০/৯৬]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২০:
"এরা বাদশাহ/ শাসকের প্রতি আনুগত্যের দায়িত্বকে স্বীকার করে না।
✍ আবু
বকর মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক ইবনে খুযাইমাহ বলেছেন -
وسمعت الحاكم أبا عبد الله الحافظ يقول: سمعت أبا بكر محمد بن أحمد بن باكويه الحلاب
يقول: سمعت أبا بكر محمد بن إسحاق بن خزيمة يقول: سمعت أحمد بن سعيد الرباطي يقول:
قال لي عبد الله بن طاهر: يا أحمد إنكم …..تبغضون هؤلاء القوم جهلا، وأنا أبغضهم عن
معرفة. أولا: إنهم لا يرون للسلطان طاعة.
“আমি আহমাদ বিন সাইদ আর-রিবাতিকে বলতে শুনেছি “আবদুল্লাহ বিন তাহির আমাকে বলেছেন, “হে আহমাদ
(ইবনে সাইদ), নিশ্চয়ই তোমরা
ওই দলটিকে (মুরজিয়াদের) ঘৃণা করো, অজ্ঞতার ভিত্তিতে, আর আমি তাদের ঘৃণা করি জ্ঞানের ভিত্তিতে।
প্রথমত, (তাদের চিহ্ন
হচ্ছে) তারা বিশ্বাস করে না যে শাসকের আনুগত্য করা একটি কর্তব্য…”
[রেফ: ইমাম আবু উসমান আস-সাবুনি (মৃত্যু ৪৪৯
হিজরী রাহিমাহুল্লাহ) এর কিতাব, ‘আকিদাতুস সালাফ
ওয়া আসহাবুল হাদিস’ থেকে ]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২১:
"এরা মূর্তি পূজারীদের ছেড়ে দিবে কিন্তু মুসলিমদের হত্যা করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে না"
✍ রাসুলুল্লাহ ছাঃ বলেছেন -
يقتلون أهل الإسلام ويدعون أهل الأوثان
তারা (খারিজিরা) মুসলিমদেরকে হত্যা করবে এবং মূর্তিপূজকদেরকে ছেড়ে দেবে/ বাঁচিয়ে রাখবে।
[রেফ: সহিহ আল-বুখারী, খণ্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৫৫৮; সুনান আন-নাসাই, ২৫৭৮]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২২:
"এদের কাজকর্ম এত বেশী বিশৃঙ্খলা তৈরি করে যে এদেরকে সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি বলা হয়েছে"।
✍ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু, খারেজী বিদ্রোহীদেরকে আল্লাহ্র সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টি কবলে মনে করতেন!
[রেফ: সহিহ আল-বুখারী ৬৫৩১]
✍ ইমাম
ইবনে হাজার আল-আসকালানী বলেছেন:
এই হাদিসের ইসনাদ সহিহ। এছাড়াও
ইমাম মুসলিমের সহিহ মারফু হাদিস থেকে প্রমাণিত, যেখানে তিনি আবু যার রাঃ এর কাছ থেকে খারেজিদের বৈশিষ্টসমূহ বর্ণনা করেছেন, সেই হাদিস বলছে যে: “তারা হচ্ছে
সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রকৃতির সৃষ্টি”। এবং ইমাম আহমাদও একই ধরনের একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন আনাস বিন মালিক রাঃ এর কাছ থেকে, যেই হাদিসটির ইসনাদ মজবুত। ইমাম
বাযযার (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আয়িশা রাঃ এর কাছ থেকে, যিনি আল্লাহ্র রাসুল সাঃ এর কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন: “তারা হবে
আমার উম্মাহের মধ্যে নিকৃষ্ট এবং তাদেরকে হত্যা করবে যারা আমার উম্মাহের শ্রেষ্ঠ! এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের ধারা হাসান।
[রেফ: ফাতহুল বারী, খণ্ড নং ১৬, পৃষ্ঠা নং ১৬৮-৯]
❒ মুলঃ
শাইখ ফায়সাল বিন কাজ্জার!
■ অনুবাদঃ আবু আবরার।
●
সম্পাদনাঃ আখতার বিন আমীর।
সমস্থ অডিও পেতে- - https://salafimp3.blogspot.com/
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► ২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► ৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► ৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► ৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► ৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► ৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► ৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► ৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম ও শেষ পর্ব!
■ আরও পড়তে সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক -
খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-রাসিকুল ইন্ডিয়া serch rasikulindia
0 Comments