খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য" ৬ষ্ঠ পর্ব!
সমস্থ অডিও পেতে- - https://salafimp3.blogspot.com/
আসসালা-মু
'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি
ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র
জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর
প্রতি।
► ওয়া'বাদ,
আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজি চিহ্নিতকরণ ও
তাদের বৈশিষ্ট্য" সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের ৬ষ্ঠ পর্ব!
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৩
"তারা মুসলিমদেরকে পরীক্ষা করে যে তারা তাদের পক্ষে কিনা এবং যদি তারা তাদের সমর্থক না হয়
(এমনকি রাজনৈতিকভাবেও) তাহলে খারেজিরা তাদের হত্যা করা হালাল মনে করে"!
✍ ইতিহাসবিদ ঈমাম আল-তাবারী এবং ইমাম ইবনে কাসীর রাহিমাহুমুল্লাহ অত্যন্ত সুক্ষ ও
ভীতিকর বর্ণনা সংরক্ষণ করে গিয়েছেন যে
কিভাবে খারেজিরা সন্ত্রাসবাদ, হানাহানি আর রক্তপাত ঘটিয়ে বেড়াতো।
৩৭ হিজরি/ ৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার ইতিহাস তারা বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন, যখন খারেজিরা নাহারাওয়ান এবং ইরাকের আশেপাশের এলাকাগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে।
তারা সেখানে যাকে ধরতো তাকে এক
“ইমতিহান” বা
প্রশ্নোত্তরের ভেতর দিয়ে যেতে হতো।
“যদি প্রশ্নগুলোর উত্তর তাদের পবিত্রতা, বা
জজবার ধারণার সাথে যথেষ্ট পরিমাণে না
মিলতো, অথবা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যার সাথে মিলে না যেত, তাহলে এর
শাস্তি ছিল "মৃত্যু"।
পরিস্থিতি চরম অসহনীয় হয়ে উঠল যখন তারা একেবারে প্রথম দিকের সাহাবী, খাব্বাব আল-আরাতের ছেলে, আব্দুল্লাহকে তাদের পরবর্তী শিকার হিসাবে বেছে নিল।
কিছুসংখ্যক খারেজি রসদ সংগ্রহের জন্য ঘোড়া চালিয়ে তার গ্রামে এসে উপস্থিত হলো এবং তারা ভাবলো যে
আবদুল্লাহকে দিয়ে তারা এক
দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তারা তাকে তাদের তির্যক সব প্রশ্ন করতে শুরু করলো! প্রথমে তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল আবু বকর, উমার, এবং উসমানের খিলাফতের ব্যাপারে। আবদুল্লাহ তাদের ব্যাপক প্রশংসা করলেন এবং তাদের প্রত্যেকের খিলাফারও প্রশংসা করলেন। এই পর্যন্ত সব কিছু ভালোই ছিল।
এরপর তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল আলি রাঃ এর
ব্যাপারে, এবং তিনি ‘তাহকিম’ বা মধ্যস্ততা করার পূর্বে ও পরে তার অবস্থা সম্পর্কে তারা তার কাছে জানতে চাইলো।
আবদুল্লাহ জবাব দিলেন, “তিনি আল্লাহ্ সম্পর্কে তোমাদের চাইতে অনেক ভালো জ্ঞান রাখেন, এবং তিনি তোমাদের চাইতে অনেক বেশী ধার্মিক এবং তার দ্বীন সম্পর্কে উপলদ্ধিও তোমাদের চেয়ে ঢের বেশী”। এবং এই কথার দ্বারা, তার পরিণতি নির্ধারিত হয়ে গেল।
তারা তাকে এবং তার গর্ভবতী স্ত্রীকে বাঁধলো এবং তাদের হেঁচড়ে এক খেজুর বাগানে নিয়ে আসলো, যা
গাছে পরিপূর্ণ ছিল এবং যার পাশ দিয়ে একটি নদী প্রবাহিত ছিল। যখন তারা তাকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, এমন সময়ে একটি খেজুর মাটিতে এসে পড়লো, এবং খারেজিদের একজন সেটা মাটি থেকে তুলে মুখে দিয়ে দিল।
এমতাবস্থায় তার খারেজি সতীর্থদের একজন বলল “তুমি কি
এটা মালিকের অনুমতি ছাড়াই করলে আর
এর দাম না দিয়েই এমন করলে?” সে তৎক্ষণাৎ খেজুরটি মুখ থেকে ফেলে দিল।
অপর এক
খারেজি যে
আক্রমণাত্মকভাবে তার তলোয়ার ঘোরাচ্ছিল, সে দুর্ঘটনাবসত তার পেছনে চড়ে বেড়াতে থাকা একটা গরুর শরীরে আঘাত করে পশুটিকে মেরে ফেলল। তার সঙ্গীরা জোর দাবি জানালো যে
সে এর
মালিককে খুঁজে বের করুক এবং তাকে পশুটির পূর্ণ মূল্য বুঝিয়ে দিক। সে এর
দাম শোধ করে আসা পর্যন্ত তারা তার জন্য অপেক্ষা করল।
এভাবে, একটা খেজুর এবং একটা গরুর ব্যাপারে সর্বোচ্চ ন্যায়পরায়নতা দেখিয়ে, তারা আবদুল্লাহকে জবাই করে হত্যা করল এবং তার স্ত্রীর পেট চিরে ফেলল।
খজুর ফেলে দিয়ে, গরুর দাম শোধ করে দিয়ে, স্বামী, স্ত্রী এবং অনাগত শিশুকে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে, একদম পরিস্কার বিবেকসহ তারা তাদের রসদ কিনে সেখান থেকে চলে গেল”।
[রেফ: আত-তাবারী, তারিখ আল-রাসুল ওয়া’ল-মুলুক (মিসর: দার আল-মা’রিফাহ, ১৯৬৪); ৫:৮১-২;
ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়া’ল-নিয়াহা (দার আল-হিজর, ১৯৯৮) ১০:৫৮৪; আরও দেখুন এই
শিরোনামযুক্ত পিডিএফ “Selected Examples from the Characteristics of the Extremist
Khawaarij” (চরমপন্থী খাওয়ারিজদের নির্বাচিত বৈশিষ্টসমূহের উদাহরণ) যা
সংকলন করে প্রস্তুত করেছেন তালিবুল ইল্ম, আদিল বিন আলি আল-ফুরাইদান, এবং যার সম্পাদনা এবং সত্যায়ন করেছেন শায়খ সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান এবং শায়খ মুহাম্মাদ বিন আব্দির-রাহমান আল-খুমায়্যিস]
✍ ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ এক মাথামোটা খারেজীকে তার নিজের বিদআত দিয়েই ঘোল খাইয়ে দিলেন যখন কুফায় খারেজিদের আবির্ভাব ঘটল, তখন তারা আবু হানিফাহ রাহিমাহুল্লাহকে নিয়ে এসে বলল, “কুফর থেকে তওবা করুন ও
শায়খ!”
তিনি তাদেরকে বললেন, “আমি আল্লাহ্র
কাছে তাওবা করছি সকল কুফর থেকে” তখন খারেজিরা তাকে ছেড়ে দিল। এরপর যখন তিনি চলে যেতে নিলেন তখন তাদেরকে বলা হল,
“তিনি কুফর থেকে তওবা করেছেন, কিন্তু এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন তোমরা যার উপর আছো সেটাকে, অতএব তাকে ফেরত নিয়ে আসো”। সুতরাং তাদের নেতা তাকে বললেন, “হে শায়খ! আপনি কুফর থেকে তওবা করেছেন, আপনি কি (কুফর দ্বারা) সেই জিনিস বুঝিয়েছেন যার উপর আমরা আছি?” আবু হানিফা তাকে বললেন, “তুমি কি
এই কথা ধারণা থেকে বলছো নাকি নিশ্চিত জ্ঞান থেকে বলেছো?” সে বলল, “ধারণা থেকে” সুতরাং আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ বললেন, “মহান আল্লাহ্ বলেছেন “ও তোমরা যারা ঈমান এনেছো, অতিরিক্ত [নেতিবাচক] ধারণা করা (যাউন) থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয়ই, কোন কোন ধারণা করা হচ্ছে গুনাহ”।
(৩৯:১২)। এবং এ
হচ্ছে তোমার তরফ থেকে হওয়া এক
গুনাহ, এবং তোমাদের মতানুসারে, প্রত্যেক গুনাহ ই হচ্ছে কুফর। সুতরাং তোমাকে অবশ্যই কুফর থেকে তওবা করতে হবে”। সে
বলল, “আপনি সত্যি কথাই বলেছেন হে
শায়খ, আমি কুফরি থেকে তওবা করছি”।
রেফারেন্সঃ
মানাকিব আবি হানিফাহ, আল-মুওয়াফফাক আল-মাক্কি (পৃষ্ঠা ১৫১-১৫২)
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্য' ২৪
"এরা অধিকাংশই বয়সে তরুন হয়, জ্ঞানী, শিক্ষিত, এবং বয়োবৃদ্ধ আলেমরা এদের সঙ্গে থাকেন না
এবং যারা তা করেন তারা ভয়
থেকে করেন যেহেতু এরা তাদের ভুমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়"।
✍ ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ তার ইসনাদে আলী রাঃ এর
কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন
“আমি নাবী সাঃ কে
বলতে শুনেছি: “সময়ের শেষের দিকে এমন কিছু লোক বের হবে যারা বয়সে হবে তরুণ এবং চিন্তায় হবে অপরিপক্ক (হুদাসা আল-আসনান ওয়া সুফাহা আল-আহলাম), কিন্তু তারা এমনভাবে কথা বলবে যেন তাদের কথা হচ্ছে সকল সৃষ্টজীবের মধ্যে সেরা”।
✍ ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন “খারেজিরা; কিভাবে তারা এই
সিদ্ধান্তে পৌঁছলো যে যারা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা কাফের, যে
কারণে তারা তাদের রক্তকে হালাল বলে ঘোষণা করে… এবং তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ এবং তাদের হত্যা করায় লিপ্ত হয়? এর
সব কিছু হচ্ছে ওই
সমস্ত লোকদের চিন্তাধারা থেকে উদ্গত যারা অজ্ঞতার উপরে থেকে ইবাদত করে; যাদের হৃদয় জ্ঞানের আলোয় বিকশিত হয়নি, আর
না তারা ইল্মের রশিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছে।
[রেফ: ফাতহুল বারী, ১৫:
৩৯৪]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৫:
"এদের মধ্যে প্রকৃত আলেমরা থাকবেন না"!
✍ আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এদের সম্পর্কে বলেছেন:
" الذين ليسوا بقراء للقرآن ولا فقهاء في الدين ولا علماء في التأويل ولا لهذا
الامر بأهل في سابقة الاسلام، والله لو وُلُّوا عليكم؛ لعملوا فيكم بأعمال كسرى وهرقل"
“তারা না
কুররা (কুরআনের তিলাওয়াতকারী যারা এর আদেশ মোতাবেক জীবনযাপন করে) আর
না তারা দ্বীন সম্পর্কে গভীর জ্ঞানসম্পন্ন লোক। না তারা কুরআনের ব্যাখ্যা করার শাস্ত্রে দক্ষ আলিম, আর না
তারা এই
কাজের উপযুক্ত (যা কিছু ইসলামে ইতোমধ্যে হয়ে গেছে) আল্লাহ্র
কসম! তাদেরকে যদি তোমাদের উপর স্থলাভিষিক্ত করা হয়,
তাহলে তারা তোমাদের মাঝে খসরু আর
হেরাক্লিয়াসের কাজকর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।
[রেফ: ৩/১১৭ - تاريخ الطبري ]
ঠিক এজন্যেই ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের সাথে তার বিতর্কের সময় তাদেরকে বলেছিলেন: আমি তোমাদের কাছে এসেছি [এমন আলেমদের কাছ থেকে যারা] মুহাজিরিন এবং আনসার, এবং আল্লাহ্র
রাসুল সাঃ এর মেয়ে-জামাই। তাদের উপরে কুরআন নাযিল হয়েছিল। তারা এর
অর্থ সম্পর্কে তোমাদের চাইতে অধিক জ্ঞাত; এবং তাদের একজনও তোমাদের সাথে নেই!!
[রেফ: সিলসিলাহ আস-সাহিহাহ (৫/১২-১৩)]
● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৬:
তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িত, রক্তাক্ত, ৫০ মিটারের তথাকথিত খিলাফা এর সীমানার ভেতরে হত্যা থেকে শুরু করে হুদুদ কার্যকর করা পর্যন্ত, প্রত্যেকটি কাজে তারা বাড়াবাড়ি করে"।
✍ আনাস বিন মালিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে
বলা হয়েছিল যে,
قيل لأنس بن مالك رضي الله عنه : إن أناسا إذا قرئ عليهم القرآن
يُصعقون فقال : ذاك فعل الخوارج.
নিশ্চয়ই এমন কিছু লোক আছে, যাদের সামনে যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,
তখন তারা অজ্ঞান হয়ে পরে, তিনি বললেন: “এই
(বাড়াবাড়ি) রকমের কাজ হচ্ছে খারেজিদের কাজের অন্তর্ভুক্ত”।
[রেফ: তাবলিস ইবলিস ১৮৯]
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ মুলঃ শাইখ ফায়সাল বিন কাজ্জার!
■ অনুবাদঃ আবু আবরার।
●
সম্পাদনাঃ আখতার বিন আমীর।
সমস্থ অডিও পেতে- - https://salafimp3.blogspot.com/
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► ২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► ৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► ৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► ৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► ৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► ৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► ৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► ৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম ও শেষ পর্ব!
■ আরও পড়তে সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক -
খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-রাসিকুল ইন্ডিয়া serch rasikulindia