Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

খাওয়ারিজদের বিভ্রান্তির মূল কারণ সমুহ


               খাওয়ারিজ-দের বিভ্রান্তির মূল কারন 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা- জন্য এবং অসংখ্য সলাত সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি
প্রিয় দ্বীনি ভাই বোনেরা
ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, সাহাবীগণের পন্থাই ইসলাম প্রতিষ্ঠা সংস্কারের সঠিক পন্থা অন্যায়ের পরিবর্তনের আবেগ, দ্রুত ফল অর্জনের উদ্দীপনা বা অন্যায়ের প্রতি অপ্রতিরোধ্য ঘৃণা ইত্যাদি কারণে আবেগী হয়ে যারা যুদ্ধ, সন্ত্রাস, সহিংসতা বা হঠকারিতার পথ বেছে নিয়েছে তারা কখনোই ইসলামের কোনো কল্যাণ করতে পারেন নি খারিজীগণ, বাতিনীগণ অন্যান্য সন্ত্রাসী বা জঙ্গিবাদী গোষ্ঠি তাদের অনুসারীদের অনেক গরম আবেগী কথা বলেছেন এবং অনেকপরিবর্তনেরস্বপ্ন দেখিয়েছেন কিন্তু তারা স্বল্প সময়ের কিছু ফিতনা করা ছাড়া কিছুই করতে পারেন নি পক্ষান্তরে মধ্যপন্থা অনুসারী আলিমগণ বিদ্রোহ, উগ্রতা শক্তিপ্রয়োগ, জোরপূর্বক সরকার পরিবর্তন ইত্যাদি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ সরকারকে ন্যায়ের আদেশ অন্যায়ের নিষেধের মাধ্যমে যুগে যুগে মুসলিম সমাজের অবক্ষয় রোধ করেছেন
এক্ষেত্রে আল্লামাহ আলবানি রাহঃ বলতেন
বর্তমানে মুসলমানরা এমন কিছু শাসকের শাসনাধীনে রয়েছে যাদেরকে ধরে নেওয়া যায় যে তারা মুশরিকদের মত সুস্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত যদি এটা ধরে নেয়া হয় তবে আমি বলব, আজকের যুগের শাসকদের অধীনে মুসলমানরা যে অবস্থায় জীবন-যাপন করছে, এটা রাসূল (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামের মাক্কী জীবনের ন্যায় রাসূল (ছাঃ)-কে তার মাক্কী জীবন কাফের-মুশরিকদের ত্বাগূতী শাসনের অধীনেই অতিবাহিত করতে হয়েছিল যারা রাসূল (ছাঃ)-এর দাওয়াতকে এবং কালেমায়ে ত্বাইয়েবার আহবানকে সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করত এমনকি রাসূল (ছাঃ)-এর চাচা আবু তালিবও জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার দাওয়াতকে অস্বীকার করে বলেছিলেন, যদি আমার কওম আমার ব্যাপারে কটূক্তি না করত, তাহলে আমি অবশ্যই কালেমা উচ্চারণ করে তোমার চক্ষু শীতল করতাম

তারা ছিল নবী (ছাঃ)-এর দাওয়াতের প্রকাশ্য অস্বীকার কারী অথচ রাসূল (ছাঃ) তাদের শাসনাধীনেই বসবাস করতেন তিনি তাদেরকে কোন কথাই বলতেন না কেবল একটি দাওয়াত ছাড়া, তা - ‘তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কারো শরীক করো না

অতঃপর তিনি মাদানী জীবনে পদার্পণ করলেন শারঈ বিধি-বিধান নাযিল হতে লাগল মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের যুদ্ধ শুরু যার ইতিহাস সুবিদিত

কিন্তু মাক্কী জীবনে কোন বিদ্রোহ ছিল না যেমনটি বর্তমানে অনেক অমুসলিম দেশে মুসলমানরা করছে এরূপ বিদ্রোহ মূলতঃ রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ ছিল না যার অনুসরণের জন্য আমরা নির্দেশিত হয়েছি”!
(
আল্লামাহ আলবানি রাহঃ ক্যাসেট থেকে অনুদিত)


খারিজিদের বিভ্রান্তির মুল কারণ সমুহঃ
(
). রাসূলুল্লাহ e এর ব্যবহারিক-প্রায়োগিক সুন্নাত, বাণী সাহাবীগণের মতামত অস্বীকার করে কুরআন মানতে যেয়ে সবচেয়ে মারাত্মক যে বিভ্রান্তিতে খারিজীগণ নিপতিত হয় তা ছিল রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন না করা ফলে তারা তিনটি বিভ্রান্তির মধ্যে নিপতিত হয়

প্রথমত্ব, অন্যায়ের প্রতিবাদ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মধ্যে পার্থক্য না করা ফলে তারা কাল্পনিক বা প্রকৃত অন্যায়ের প্রতিবাদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সমাজ বিচ্ছিন্নতায় লিপ্ত হয়

দ্বিতীয়ত্ব, রাষ্ট্রের আনুগত্য সাধারণ পাপীর পাপের সমর্থনের মধ্যে পার্থক্য না করা ফলে তারা রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের সাধারণ আনুগত্যকে পাপীর আনুগত্য পাপের সমর্থন বলে গণ্য করে এই অপরাধে সকল সাধারণ নাগরিক মুসলিমকে কাফির বলে দাবি করে অথচ সুন্নাতের আলোকে প্রথমটি ইসলাম নির্দেশিত ইবাদত দ্বিতীয়টি পাপ অন্যায়

তৃতীয়ত্ব, রাষ্ট্রীয় ফরয ব্যক্তিগত ফরযের মধ্যে পার্থক্য না করা ফলে তারা বিচার জিহাদকে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ইবাদত বলে গণ্য করে ব্যক্তিগত বা দলগত ভাবে জিহাদ পরিচালনার নামে হত্যা, লুণ্ঠন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়

(
). রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের ক্ষেত্রে উগ্রতা পরিহারের নির্দেশ দিয়েছেন মুসলিমের ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালনের ক্ষেত্রে যেমন ভুলত্রটি, পাপ ইসলামী বিধান লঙ্ঘন হতে পারে তেমনি রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিচালনায়ও ইসলামী বিধিবিধানের লঙ্ঘন ঘটতে পারে ব্যক্তি মুসলিমকে যেমন পাপের কারণে কাফির বলা যায় না, রাষ্ট্রকেও তেমনি পাপ বা অন্যায়ের কারণেকাফিরবলা যাবে না বা বিদ্রোহ করা যাবে না বরং শান্তিপূর্ণভাবে পাপ, অপরাধ বা অন্যায়ের প্রতিবাদ সহ রাষ্ট্রীয় সংহতি, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে ইবনু আব্বাস (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন:

من رأى من أميره شيئا يكرهه فليصبر فإنه ليس أحد يفارق الجماعة شبرا فيموت إلا مات ميتة جاهلية

কেউ তার শাসক বা প্রশাসক থেকে কোন অপছন্দনীয় বিষয় দেখলে তাকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে কারণ যদি কেউ জামাআতের (মুসলিম সমাজ বা রাষ্ট্রের ঐক্যের বা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির সিদ্ধান্তের) বাইরে এক বিঘতও বের হয়ে যায় এবং এই অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, তাহলে সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করল

আবু হুরাইরা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন:

من خرج من الطاعة وفارق الجماعة فمات مات ميتة جاهلية

যে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় আনুগত্য থেকে বের হয়ে এবং জামাআত বা মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু বরণ করল সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করল

৬০ হিজরীতে হযরত মুআবিয়ার (রা) ইন্তেকালের পরে ইয়াযিদ শাসনভার গ্রহণ করেন এবং চার বছর শাসন করে ৬৪ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন তার শাসনামলে ৬৩ হিজরীতে মদীনার অধিবাসীগণ ইয়াযিদের জুলুম-অত্যাচার, ইমাম হুসাইনের শাহাদত ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আনুগত্যের অস্বিকৃতি করেন তাদের অস্বিকৃতির মুল কারন ছিল যুক্তিসঙ্গত এবং একান্তুই আল্লাহর ওয়াস্তে অন্যায় পরিবর্তন প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা নিয়ে কিন্তু তা সত্বেও সে সময়ে জীবিত সাহাবীগণ বিদ্রোহে রাজী ছিলেন না সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রা) মদীনাবাসীদের বিদ্রোহের নেতা আব্দুল্লাহ ইবনু মুতি নিকট গমন করেন তিনি তাকে সম্মানের সাথে বসতে অনুরোধ করেন ইবনু উমর বলেন: আমি বসতে আসিনি আমি তোমাকে একটি হাদীস শুনাতে এসেছি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে বলতে শুনেছি:

من خلع يدا من طاعة لقي الله يوم القيامة لا حجة له ومن مات وليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية

যে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় আনুগত্য থেকে নিজেকে বের করে নিল সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হলে নিজের জন্য কোন ওজর আপত্তি পাবে না আর যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করল যে, তার গলায় কোন বাইয়াত বা রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের শপথ নেই সে ব্যক্তি জাহিলী মৃত্যু বরণ করল

উম্মু সালামা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন,

إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلا نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لا مَا صَلَّوْا

অচিরেই তোমাদের উপর অনেক শাসক প্রশাসক আসবে যারা ন্যায় অন্যায় উভয় প্রকারের কাজ করবে যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়কে ঘৃণা করবে সে অন্যায়ের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে আর যে ব্যক্তি আপত্তি করবে সে (আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে) নিরাপত্তা পাবে কিন্তু যে সকল অন্যায় কাজ মেনে নেবে বা তাদের অনুসরণ করবে (সে বাঁচতে পারবে না)” সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? তিনি বলেন, “না, যতক্ষণ তারা সালাত আদায় করবে

এভাবে আমরা দেখছি যে, যদি কোনো নাগরিক তার সরকারের অন্যায় সমর্থন করেন, অন্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন বা অন্যায়ের ক্ষেত্রে সরকারের অনুসরণ করেন তবে তিনি তার সরকারের পাপের ভাগী হবেন এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা, চাকরী, কর্ম বা রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের কারণে কোনো নাগরিক পাপী হবে না কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউসূফ () কাফির ফিরাউনের অধীনে স্বেচ্ছায় কর্মগ্রহণ করেছেন এজন্য কোনো অবস্থাতেই তাঁকে ফিরাউনের কুফর, শিরক বা আল্লাহর আইন বিরোধিতায় সহযোগী বলে কল্পনা করা যায় না

যালিম, পাপী বা অন্যায়ে লিপ্ত শাসক বা প্রশাসকের অন্যায়ের প্রতি আপত্তি সহ তার আনুগত্য বজায় রাখাই ইসলামের নির্দেশ যালিম বা পাপী শাসক, প্রশাসক বা সরকার যদি পাপের নির্দেশ দেয় তবে তা মান্য করা যাবে না অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আনুগত্য সংহতি বজায় রাখতে হবে আউফ ইবনু মালিক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ r বলেছেন,

ألا من ولي عليه وال فرآه يأتي شيئا من معصية الله فليكره ما يأتي من معصية الله ولا ينزعن يدا من طاعة

তোমরা হুশিয়ার থাকবে! তোমাদের কারো উপরে যদি কোনো শাসক-প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং সে দেখতে পায় যে, উক্ত শাসক বা প্রশাসক আল্লাহর অবাধ্যতার কোনো কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, তবে সে যেন আল্লাহর অবাধ্যতার উক্ত কর্মকে ঘৃণা করে, কিন্তু আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না

অন্য বর্ণনায়:

إذا رأيتم من ولاتكم شيئا تكرهونه فاكرهوا عمله ولا تنزعوا يدا من طاعة

যখন তোমরা তোমাদের শাসক-প্রশাসকগণ থেকে এমন কিছু দেখবে যা তোমরা অপছন্দ কর, তখন তোমরা তার কর্মকে অপছন্দ করবে, কিন্তু তার আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিবে না

আরো অনেক হাদীসে পক্ষপাতিত্ব, যুলুম পাপে লিপ্ত শাসক বা সরকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় আনুগত্য বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এরূপ শাসক বা সরকার কোনো ইসলাম বিরোধী নির্দেশ প্রদান করলে তা পালন করা যাবে না আবার অন্যায় নির্দেশের কারণে বিদ্রোহ বা অবাধ্যতাও করা যাবে না বরং রাষ্ট্রীয় সংহতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে তবে শাসক বা প্রশাসক সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত সুস্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত হলে বিদ্রোহ বা আনুগত্য পরিত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে
খিলাফতে রাশিদার পর থেকে সকল ইসলামী রাষ্ট্রেই রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামী বিধিবিধানের কমবেশি লঙ্ঘন ঘটেছে শাসক নির্বাচন রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের পরামর্শ গ্রহণ, জনগণের নিকট জবাবদিহিতা, মানবাধিকার, আমানত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আইন প্রয়োগ ইত্যাদি অগণিত ইসলামী নির্দেশনা কম বা বেশি লঙ্ঘিত হয়েছে এসকল রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান বা শাসকগণ নিজেদেরকেই আইন বা আইনদাতা বলে মনে করেছেন কুরআনী বিধিবিধান আইনকে বেপরোয়াভাবে অবহেলা করেছেন এমনকি সালাতের সময় পদ্ধতিও পরিবর্তন করা হয়েছে

উমাইয়া শাসনামলে সাহাবীগণ এরূপ অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছেন কিন্তু কখনোই তারা কারণেরাষ্ট্রবা সরকারকে জাহিলী, কাফির বা অনৈসলামিক বলে গণ্য করেন নি বরং তাঁরা সাধ্যমত এদের অন্যায়ের আপত্তি জ্ঞাপন সহ এদের আনুগত্য বহাল রেখেছেন এদের পিছনে সালাত আদায় করেছেন এবং এদের নেতৃত্বে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন পরবর্তীকালেও কোনো মুসলিম ইমাম, ফকীহ বা আলিম কারণে সকল রাষ্ট্রকেদারুল হরব’, ‘অনৈসলামিক রাষ্ট্রবাজাহিলী রাষ্ট্রবলে মনে করেন নি তারা তাদের সাধ্যমত সংশোধন পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় আনুগত্য সংহতি বজায় রেখেছেন পাশাপাশি তাঁরা সর্বদা শান্তিপূর্ণ পন্থায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে উৎসাহ দিতেন এবং জিহাদ বা আদেশ নিষেধের নামে অস্ত্রধারণ, শক্তিপ্রয়োগ, রাষ্ট্রদ্রোহিতার উস্কানি ইত্যাদি নিষেধ করতেন বিষয়ে তাঁদের অগণিত নির্দেশনা হাদীসগ্রন্থ- সমূহে সংকলিত হয়েছে
(
জিহাদ,সন্ত্রাস জংগীবাদ প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য)

(
). ফ্বিসক যুলুমের মত কুফরও দুইভাগে বিভক্ত খারেজীদের বিভ্রান্তির মূল আরেকটি কারণ হল তারা ইত্তিহলালী ক্বলবী ইত্তিহলালী আমালী কুফরকে এক করে ফেলছে অথচ ইত্তিহলালী আমালি কুফরের কারণে কোন মুসলিম কাফের হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত তা ইত্তিহলালী ক্বলবী হবে অর্থাৎ আন্তরিকভাবে (মন থেকে আকীদাগতভাবে) কোন হারাম কাজকে যদি হালাল মনে করে তবেই কাফের হয়ে যাবে যদি কোন ব্যক্তি বা শাসক সুদ কিংবা মদকে আমলগতভাবে হালাল করে কিন্তু আকীদাগতভাবে হারাম মনে করে তবেই এইক্ষেত্রে হুকুম হল তাকে কাফের বলা যাবে না
একটা বিখ্যাত হাদিস আমরা সবাই জানি যেইখানে একজন সাহাবী যুদ্ধের ময়দানে এক মুশরিক সেনাকে হত্যা করতে চাইলে ওই মুশরিক কালেমা পাঠ করে কিন্তু সাহাবীরা তারপরেও তাকে হত্যা করে ফেলে! এই কথা রাসুল(সা) শুনলে বারবার ওই সাহাবীকে তিরস্কার করতে লাগলেন উক্ত সাহাবী অজুহাত পেশ করলেন মৃত্যু ভয়ে ওই ব্যক্তি কালেমা পড়েছিল রাসুল (সা) তাকে বলতে লাগলেন, তুমি কি তার অন্তর ছিঁড়ে দেখেছিলে (দেখুন: মিশকাত /৩৩০৩ হাদিস)
এই হাদিসটা একদম জ্বলন্ত প্রমাণ যখন কেউ কালেমার স্বীকৃতি দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কাফের বলা যাবে না যদিও সে আমলগত কুফরে লিপ্ত থাকে যদি আকীদাগত কুফর তার কাছ থেকে মুখ দ্বারা কিংবা কাজে প্রকাশ পায় তবেই তখন কেবল তার উপর তাকফীরের হুকুম প্রযোজ্য হবে
এইরকম আরেকটা উদাহরণ হল: রাসুল(সা) বলেছেনমুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী আর তার সাথে ঝগড়া করা কুফরি” (সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮)
এইখানে যদি এই কুফর আকীদাগত কুফর হয় তবে অধিকাংশ মুসলিম তো কাফের হয়ে যাবে অথচ উক্ত হাদিসে কুফর বলতে বুঝানো হয়েছে আমালী কুফর

হে যুবক সম্প্রদায়!
মুসলিমকে তাকফীর করা খুবই ভয়াবহ ব্যপার আর সেই মুসলিম যদি শাসক হয় তাহলে তাকে তাকফীর করা তো আরো ভয়ানক কেননা, শাসকদের অনিচ্ছা স্বত্বেও অনেক কাজ করতে হয় যা কুফর পর্যায়ের শাসক নামাজ পড়ছে, যাকাত দিচ্ছে, হজ্জ করছে ব্যক্তিগতভাবে ইসলামের বিধান পালন করছে তাহলে কিভাবে আপনি শাসককে তাকফীর করার সাহস দেখান? শাসক তো জনগণের প্রতিচ্ছবি যেমন জনগণ তেমন শাসক আপনি জনগণকে পাল্টান শাসকও পাল্টে যাবে!(ইনশা আল্লাহ)
লেখকঃ আখতার বিন আমীর!সহযোগীতায়ঃ মাসুদ আত আছারী ইবনে আহম্মদ

সমস্থ অডিও পেতে- https://salafimp3.blogspot.com/ 

 ► ১ম পর্বঃ বা ব্লগে পড়ুন

খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-1
► ২য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pai 2
► 
৩য় পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-3
► 
৪র্থ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-4
► 
৫ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-5
► 
৬ষ্ঠ পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্pa-6
► 
৭ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-7
► 
৮ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্ pa-8
► 
৯ম পর্বঃ
খারিজি চিহ্নিতকরণ  তাদের বৈশিষ্ট্য ৯ম  শেষ পর্ব!
■ আরও পড়তে 
সকল পর্ব পেতে লিঙ্কে ক্লিক -

খারেজীদের বিভ্রান্তির মুল কারণসমুহঃ
লিংকঃ ►https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1026321017528650&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি বোমা হামলা কি জায়েজ?
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110488659111885&id=100004522838130
► 
আত্নঘাতি হামলার বিধানঃ
আল্লামাহ সালিহ আল ফাউজান হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1110113882482696&id=100004522838130
► 
নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার বিধানঃ
শাইখ ছলেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিয্বাহুল্লাহ -
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1112068558953895&id=100004522838130

বল,এটিই আমার পথস্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটেhttps://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার  আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-রাসিকুল ইন্ডিয়া serch rasikulindia